প্রতিনিধি ধর্মনগর ,, আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাগবাসা নাকা চেকিং পয়েন্ট থেকে প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকার হেরোইন ধরা পরল। উত্তর জেলার বাগ বাসা পুলিশের কাছে খবর আসে যে একটি ওয়াগনার গাড়ি করিমগঞ্জ থেকে ত্রিপুরাতে আসছে যার মধ্যে হেরোইন থাকতে পারে। এই খবরে উপর বিশ্বাস করে বাগবাসা পুলিশ ও ডি সি এম টি মগ ,সহ উপস্থিতিতে থেকে অপেক্ষা করছিলেন সেই গাড়িটির। গাড়িটির নম্বর এ এস ১১ পি ৯২৯৬।এই গাড়িটির তে তল্লাশি করে পাওয়া যায় 12 টি সাবানের কেইসের মধ্যে থেকে ২১২ গ্রাম ব্রাউন সুগার যার বাজারজাত মূল্য ৬৪ লক্ষ টাকা। এরই সঙ্গে গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ । একজনের নাম সেলিম উদ্দিন ও অন্যজনের নাম রুবিন আহমেদ। এখন পুলিশ এদের বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেবে।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি মোহনপুর:- অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত কে জিজ্ঞাসাবাদ করে একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে সিধাই থানার পুলিশ। শনিবার দক্ষিণ জগতপুর এলাকার এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই অবৈধ পিস্তল। তাদের বিরুদ্ধে আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রক্রিয়া জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন মোহনপুরের এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ।
গত ডিসেম্বর মাসে সিধাই থানা এলাকার অন্তর্গত একটি নেশার আসর থেকে মান্দাইয়ের নিবাসী বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর মোহনপুর এলাকার আরো দুই অভিযুক্তের নাম অবৈধ অস্ত্র রাখার ক্ষেত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই মামলার রেস ধরেই গত ১৩ তারিখ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তরা হল পলাশ পাল এবং রাজকুমার দেবনাথ। তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রাজকুমার জানায় তার বাড়িতে একটি পিস্তল লুকিয়ে রেখেছে সে। সেই মোতাবেক শনিবার মোহনপুরের এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ, সিধাই থানার ওসি মঙ্গেশ পাটারি তার বাড়িতে অভিযান চালায় । উদ্ধার করা হয়েছে একটি পিস্তল। যদিও তার ভেতর কোন গুলি ছিল না বলে জানিয়েছেন এসডিপিও সব্যসাচী দেবনাথ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আর কে কে জড়িত রয়েছে এই বিষয়টিও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে শিথাই থানার পুলিশ।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পান্নালাল দাস বয়স ৩৩ পিতা প্রমোদ চন্দ্র দাস বাড়ি খোয়াই চেব্রি। এর বিরুদ্ধে কাঞ্চনপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় নাম্বার হলো case no 2019 kcp 016।ঘটনা শুরুতে জানা যায়, এই ঘটনাটি ঘটে ৮ জানুয়ারি ২০১৯ সালে তৃতীয় শ্রেণীর নাবালিকাছাত্রী বয়স নয় বছর। নাবালিকা ঐদিন অসুস্থ ছিল বলে বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি,তখন ওই ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক পান্নালাল দাস ঔষধ খাওয়ানোর ছলে নাবালিকার কাছে আসে এবং ধর্ষণ করে। নাবালিকাটি রতন মনি মেমোরিয়াল আশ্রমের বিদ্যালয়ে ছাত্রী এবং সে এই ছাত্রীবাসেই থাকতো। ছাত্রী তৃতীয় শ্রেণীর তারপর সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যালয় ও ছাত্রী বাসের কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না তারপর মেয়ের বাবা ২০/০১/২০১৯তারিখে যখন মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসে তখন মেয়ে তার বাবাকে সব কথা বলে। তখন নাবালিকার বাবা কাঞ্চনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আইও ছিলেন দীপাঞ্জনা সিনহা কিন্তু তিনি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি এই মামলার এবং অন্যান্য মামলা গুলিরও যার ফলে উনাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তদন্ত করেন ওসি পরিতোষ দাস ডিসেম্বর ২০১৯ চার্জ না করেন সিট জমা করেন। এবং দিনের শুনানির পর ১৪/০২/২০২৫শুক্রবারে এই বিশেষ আদালতের বিচারক অংশুমান দেববর্মা মহাশয় চূড়ান্ত রায় প্রদান করলেন মামলার আসামি পান্নালাল দাস কে u/s-376AB IPC এই ধারায় যাবত জীবন কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকার জরিমানা অনাদায় আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং U/S-4 of pocso এই ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকার জরিমান অনা দায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড case no. Spl.pocso-31/2019. লক্ষ্যনীয় বিষয় এই মামলায় দুইটি ধারায় আসামি সাজা পায়। এই মামলায় বিচারপতি লক্ষ্য করলেন অতদন্তের মধ্যে অনেক গাফিলতি আছে তদন্তকারীদের। তার জন্য ছাত্রীবাসের সুপার ও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের উপরও তদন্তের আদেশ করেন কাঞ্চনপুর থানাকে।তদন্তের এত অবহেলা সত্বেও কিন্তু এই মামলার সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো অনেক অবহেলা থাকা সত্বেও অনেক তথ্য প্রমাণ সরিয়ে ফেললেও সত্বেও দক্ষতার সঙ্গে বিবেচনা করে এক দৃষ্টান্তমূলক বার্তা পৌঁছে দিলেন বিচারপতি মহাশয়। এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবীছিলেন সুদর্শন শর্মা।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- গ্রামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের মুড়াপাড়া শাস্ত্রীজি কলোনি এলাকায় । রাস্তাঘাটসহ আরো একাধিক সমস্যার বিষয়ে জানতে পেরে এবার নিজ বিধানসভা কেন্দ্রের এই গ্রামীন এলাকায় পরিদর্শনে যান বিধায়ক অভিষেক দেবরায় । সাথে ছিলেন পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন বিধায়ক পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন গোটা গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট । তিনি গ্রামবাসীদের কে আশ্বস্ত করেন পানীয় জলে যে সমস্যাটি রয়েছে তা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা হবে। পাশাপাশি এক কিলোমিটারের উপর যে রাস্তাটি রয়েছে , তা আগামী দিনে গোটা রাস্তাটিকে পাকা সড়কে নির্মাণ করা হবে। তিনি সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে জানান , বিগত সরকারের আমলে কখনো এইভাবে কোন বিধায়ক গ্রামীণ এলাকা পরিদর্শন করে সাধারণ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সমস্যার কথা শুনতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু বর্তমান সরকার সব সময় উন্নয়নের কথা বলে। তাই নিজ বিধান সভা কেন্দ্রে কোন ধরনের সমস্যা রয়েছে কিনা অথবা সাধারণ মানুষের আর কি কি সমস্যা রয়েছে সে সকল বিষয় অবহিত হওয়া । পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে জোর দেওয়া। তাহলে এলাকায় দ্রুত উন্নয়ন হবে। গ্রামীন এলাকা যদি উন্নয়ন হয় তাহলে গোটা বিধানসভা উন্নয়ন তা ধীরে ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। বিগত সরকারের আমলে এই ধরনের চিন্তা ভাবনা কখনো ছিল না। বিধায়ক এই দিন ঘুরিয়ে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধীদল বামেদেরকে। আগামী দিনে নতুন রাস্তা তৈরি হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ।
আগরতলা, ১৪ ফেব্রুয়ারি : ত্রিপুরার প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ মাছ খান। তাই মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে রাজ্যেই মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার আগরতলায় পূর্বাশা প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা মৎস্য উৎসব এর উদ্বোধন করে মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন।মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যবাসীর মাছের চাহিদা পূরণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে মৎস্য দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের মৎস্য চাষিদের আর্থিক সহ নানা সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।অনুষ্ঠানে মৎস্য দপ্তরের সচিব দীপা ডি নায়ার বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়নে মৎস্য চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাজ্যের মৎস্যচাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে মৎস্য দপ্তর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, প্রাণীসম্পদ ও বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা নীরজ কুমার চঞ্চল, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা সন্তোষ দাস, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা জয়ন্ত দে, কর্পোরেটর সম্পা সেন সরকার এবং কর্পোরেটর হিমানী দেববর্মা প্রমুখ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি:- গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডে সম্প্রতি দুষ্কৃতিকারীদের হামলার ঘটনায় পুরো এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, যখন গন্ডাছড়া থেকে একটি মালবাহী বোলেরো পিকআপ গাড়ি, যার নম্বর ছিল টিআর-০১ ডি ১৮০৫, ৩২ বস্তা গন্ধকি নিয়ে আমবাসার দিকে যাচ্ছিল। বিকেল ৪টা নাগাদ গাড়িটি জগবন্ধু-বড়বাড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছালে মুখে কালো কাপড় বাধা একদল দুষ্কৃতিকারী গাড়িটি থামিয়ে চালক, সহ-চালক এবং এক যাত্রীকে অপহরণ করে। এরপর তারা গাড়িটি প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং তিন লক্ষ টাকার মালপত্র লুটপাট করে। লুটপাট শেষে তারা অপহৃতদের জঙ্গলে বেঁধে রেখে চলে যায়।
এদিকে, ঘটনাটি জানার পর গন্ডাছড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং গোটা এলাকা চিরুনি তল্লাশি চালায়। একপর্যায়ে, তারা গভীর জঙ্গল থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং উদ্ধার করে ২২ বস্তা গন্ধকি। তবে, দুষ্কৃতিকারীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় গাড়ির চালক থানায় একটি মামলা করেন, এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
দুষ্কৃতিকারীদের এই হামলার ঘটনা নতুন নয়। গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডে প্রায় প্রতিদিনই এরকম লুটপাটের ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এলাকাবাসী এতদিন দুষ্কৃতিকারীদের ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায়নি। কিন্তু গত বুধবারের অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা করার পর, এলাকার সাধারণ মানুষ এখন পুলিশের প্রতি আশাবাদী। তারা মনে করছেন যে পুলিশ যদি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এই হামলার ঘটনা রোডে চলাচলকারী যানবাহন চালক থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবাইকে উদ্বিগ্ন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এলাকাবাসী এখন তাকিয়ে আছেন, পুলিশ এই ধরনের অপরাধ দমনে কোন পদক্ষেপ নেয়, এবং যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কি ভূমিকা গ্রহণ করে।
এছাড়া, গন্ডাছড়া-আমবাসা রোডের অবস্থা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কোনো বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে যে কোনো সময় আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
একই দিনে শান্তিরবাজার দুটি স্কুলেই দুঃসাহসিক চুরি, তদন্তে নেমেছে শান্তিরবাজার থানার পুলিশ ।
প্রতিনিধি শান্তিরবাজার : গতকাল রাতে শান্তিরবাজার মহকুমা শান্তির বাজার মডেল বালিকা বিদ্যালয়ে এবং শান্তির বাজার বয়েজ হাই সেকেন্ডারি স্কুলেদুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত করেন নিশি কুটুম্বের দল। সকালবেলা শিক্ষকেরা যখন প্রাত বিভাগে জন্য শান্তির বাজার বালিকা বিদ্যালয়ে আসেন তখন তারা দেখতে পান বিদ্যালয়ের মেইন গেটের সঙ্গে ছোট গেটের দরজার তালা ভাঙ্গা অবস্থা। তারপরে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের ভিতর প্রবেশ করলে সেখানেও দেখতে পান বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা ক্লাস রুমের , অফিস , স্টাফ রুমের, তালা ভাঙ্গা অবস্থা পাশাপাশি স্টাফ রুম, অফিস কক্ষের প্রত্যেকটা আলমারি লকার ভাঙ্গা অবস্থা। তাই বিদ্যালয়ের এই অবস্থা দেখে খবর দেয়া হয় শান্তিরবাজার শান্তির বাজার থানায়। ছুটে আসেন শান্তির বাজার থানার এসআই নারায়ন নারায়ণ পাল । জানা যায় ওই স্কুলে কম্পিউটার ল্যাপটপ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী থাকা সত্ত্বেও নিশি কুটুম্বের দল নিয়ে যায় বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কাছ থেকে ফরম ফিলাপের জন্য যেই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা নিয়ে যায় নিস্কুটূপের দল প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । অপরদিকে একইদিনে শান্তির বাজার বয়েজ হাই সেকেন্ডারি বিদ্যালয়েও চুরি সংঘটিত হয় বলে জানা যায়। সেই বিদ্যালয়েও নিশি কুটুম্বের দল বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষ এবং স্টাফ রুমের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় বলে খবর । এই দুঃসাহসিক চুরি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খবর পেয়ে ছুটে যান স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শান্তিরবাজার পুরো পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা ।শান্তির বাজার জনবহুল এলাকায় এই বিদ্যালয় দুটি থাকা সত্ত্বেও একই দিনে এই ধরনের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্তে নেমেছে শান্তির বাজার থানার পুলিশ।
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-সোনালী ফসলের অঞ্চল রাঙ্গাউটি গ্ৰামীন এলাকায় কৈলাসহরের খাওড়াবিল চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে আজ ঐতিহ্যবাহী মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব ও মেলার শুভ সূচনা হয়েছে।এই পবিত্র তিথিতে ভক্ত সমাগমে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ,ধূপের সুগন্ধ আর মন্ত্রোচ্চারণে পরিপূর্ণ পরিবেশ যেন এক অপার আধ্যাত্মিক শান্তির বার্তা বহন কর চলেছে দশকের পর দশক ধরে।এই পবিত্র তিথিতে দেব দেবীদের আশীর্বাদে সবার জীবন শান্তি,সমৃদ্ধি ও শুভ শক্তিতে উজ্জীবিত হোক এই প্রার্থনা সকলের-ই।চতুর্দশ দেবতার মহিমায় ভক্তদের হৃদয় পরিপূর্ণ হোক ভক্তি ও আনন্দে।সকলের জীবন শুভ হোক,পূণ্য তিথির আলোয় আলোকিত হোক সকলের জীবন পথ।আজকের এই উদ্বোধনী সমারোহে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা,চ্যায়ারপার্সন চপলা দেবরায়,জেলা পরিষদের সদস্য বিমল কর, মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির সভাপতি নলিনী কুমার পাল এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা মেলা কমিটির সদস্য নীতিশ দে।প্রায় দুইশত বছরের প্রাচীন এই ১৪ দেবতার মেলা যুগ যুগ ধরে মানুষের সুখ শান্তি এবং মঙ্গলার্থে আয়োজিত হয়ে চলেছে।হাজারেরও অধিক দর্শনার্থীদের সমাগম, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীদের বিপনন পসরা এবং সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই উৎসবের গরিমা বৃদ্ধি করেছে।
প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১১ই ফেব্রুয়ারী।দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির অভূতপূর্ব জয়ে সারা দেশের সাথে এ রাজ্যে ও ব্যাপক উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আম আদমি পার্টিকে পরাজিত করে দিল্লির মসনদে পদ্ম শিবিরের এই সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির এই জয়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে আজ কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের উদ্যোগে এক বিশাল বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র্যালিটি দাউছড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ পরিক্রমা করে মন্ডল কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিজেপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, মন্ডল সভাপতি নিতাই বল, বিজেপি নেতা সৌমেন গোপ, চয়ন রায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ব। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী দিল্লির এই জয়কে “অভূতপূর্ব” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই বিজয় প্রকৃতপক্ষে উন্নয়নের পক্ষে সাধারণ মানুষের রায়। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে দুর্নীতির যে ছায়া ছিল, মানুষ তার অবসান চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপি যে উন্নয়নের রাজনীতি করছে, এই জয় তারই স্বীকৃতি।” মন্ডল সভাপতি নিতাই বল বলেন, “কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের প্রতিটি কর্মী আজ আনন্দিত। এই জয় আমাদের সকলকে আরও শক্তিশালীভাবে ভবিষ্যতে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।” বিজেপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়। দলীয় কর্মীরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, দলীয় পতাকা হাতে নেচে-গেয়ে বিজয় উৎসব পালন করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লিতে বিজেপির এই জয় শুধু রাজ্যের রাজনীতিতে নয়, সারাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।আজকের বিজয় মিছিলে কল্যাণপুর এলাকার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো লেম্বু ছড়ায় টি সমিতি হলে
প্রতিনিধি মোহনপুর:- ত্রিপুরায় ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ করতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আটটি জেলায় ১৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। পিএমকেএসওয়াই এই প্রকল্পের অন্তর্গত শুরু হয়েছে জল সংরক্ষণের কাজ। নুডাল এজেন্সি হিসেবে এসএলএনএ ত্রিপুরায় কাজ করছে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে লেবু ছড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে ও ইতিমধ্যেই ভূগোলগ্রস্থ জল সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এই ধরনের একটি প্রকল্প জারি রয়েছে ত্রিপুরাতে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এই দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা, হর্টিকালচার দপ্তরের অধিকর্তা, আরডির আধিকারিক এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এধিন মন্ত্রী বলেন রাজ্যে আমাদের রাজ্যে একসময় প্রায় ২৫০টির বেশি ঝর্ণা ছিল। এখনো কিছু কিছু ঝর্ণা রয়েছে। যে সমস্ত ঝর্ণাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় পুনর্জীবিত করার জন্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, জলাশয় নির্মাণ এবং জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যের মত ত্রিপুরাতে জলের তীব্র সংকট যাতে না আসে তার জন্যই পূর্ব থেকে এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে এদিন বৈঠক শেষে স্পষ্টিকরণ দিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।