প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১১ই ফেব্রুয়ারী।দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির অভূতপূর্ব জয়ে সারা দেশের সাথে এ রাজ্যে ও ব্যাপক উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আম আদমি পার্টিকে পরাজিত করে দিল্লির মসনদে পদ্ম শিবিরের এই সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিজেপির এই জয়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে আজ কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের উদ্যোগে এক বিশাল বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র্যালিটি দাউছড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে কল্যাণপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথ পরিক্রমা করে মন্ডল কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিজেপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মসূচিতে অংশ নেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, মন্ডল সভাপতি নিতাই বল, বিজেপি নেতা সৌমেন গোপ, চয়ন রায়-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতৃত্ব। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী দিল্লির এই জয়কে “অভূতপূর্ব” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই বিজয় প্রকৃতপক্ষে উন্নয়নের পক্ষে সাধারণ মানুষের রায়। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে দুর্নীতির যে ছায়া ছিল, মানুষ তার অবসান চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপি যে উন্নয়নের রাজনীতি করছে, এই জয় তারই স্বীকৃতি।” মন্ডল সভাপতি নিতাই বল বলেন, “কল্যাণপুর প্রমোদনগর মন্ডলের প্রতিটি কর্মী আজ আনন্দিত। এই জয় আমাদের সকলকে আরও শক্তিশালীভাবে ভবিষ্যতে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।” বিজেপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়। দলীয় কর্মীরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে, দলীয় পতাকা হাতে নেচে-গেয়ে বিজয় উৎসব পালন করেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লিতে বিজেপির এই জয় শুধু রাজ্যের রাজনীতিতে নয়, সারাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।আজকের বিজয় মিছিলে কল্যাণপুর এলাকার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ত্রিপুরা
ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণের প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো লেম্বু ছড়ায় টি সমিতি হলে
প্রতিনিধি মোহনপুর:- ত্রিপুরায় ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণ করতে এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আটটি জেলায় ১৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। পিএমকেএসওয়াই এই প্রকল্পের অন্তর্গত শুরু হয়েছে জল সংরক্ষণের কাজ। নুডাল এজেন্সি হিসেবে এসএলএনএ ত্রিপুরায় কাজ করছে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে লেবু ছড়ায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
গোটা ভারতবর্ষের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যে ও ইতিমধ্যেই ভূগোলগ্রস্থ জল সংরক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এই ধরনের একটি প্রকল্প জারি রয়েছে ত্রিপুরাতে। চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় সমস্ত অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করার লক্ষ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এই দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা, হর্টিকালচার দপ্তরের অধিকর্তা, আরডির আধিকারিক এবং অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এধিন মন্ত্রী বলেন রাজ্যে আমাদের রাজ্যে একসময় প্রায় ২৫০টির বেশি ঝর্ণা ছিল। এখনো কিছু কিছু ঝর্ণা রয়েছে। যে সমস্ত ঝর্ণাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলোকে এই প্রকল্পের আওতায় পুনর্জীবিত করার জন্য কাজ করা হবে। পাশাপাশি বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, জলাশয় নির্মাণ এবং জলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। আগামী দিনে অন্যান্য রাজ্যের মত ত্রিপুরাতে জলের তীব্র সংকট যাতে না আসে তার জন্যই পূর্ব থেকে এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে এদিন বৈঠক শেষে স্পষ্টিকরণ দিলেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
ত্রিপুরা এম জি এন রেগা এমপ্লোয়ী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশান এর প্রথম দক্ষিণ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আজ।
প্রতিনিধি শান্তির বাজার: আজ অল ত্রিপুরার এম জি এন রেগা এমপ্লয়ী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রথম দক্ষিণ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শান্তিরবাজার মুকুট অডিটোরিয়ামে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে আজকের এই প্রথম জেলাভিত্তিক সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন দক্ষিণ জেলার সভাধিপতি দীপক দত্ত, উদ্বোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার, দক্ষিণ জেলা পরিষদের সদস্য তথা শিল্প দপ্তরের চেয়ারম্যান নীতিশ দেবনাথ, বিজেপি দক্ষিণ জেলা সভাপতি দ্বীপায়ন চৌধুরী , শান্তিরবাজার পুরো পরিষদের পুরো মাতা স্বপ্না বৈদ্য, শান্তির বাজার পুরো পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সত্যব্রত সাহা, শান্তির বাজার মন্ডল সভাপতি দেবাশীষ ভৌমিক , অল ত্রিপুরা এম জি এন রেগার এমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সভাপতি সঞ্জয় নিয়োগী, সম্পাদক অসীম মজুমদার সহ অন্যান্যরা। জানা যায় দক্ষিণ জেলার ১৬৯টি ভিলেজ থেকে প্রায় ২৯৮ জন প্রতিনিধি দক্ষিণ জেলা ভিত্তিক প্রথম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জিআরএস, কম্পিউটার অপারেটর, একাউন্ট এসিস্টেন্ট, প্রোগ্রামে এসিস্টেন্ট অফিসার। সারা রাজ্যে প্রায় ২৮০০ কর্মী এম জি এন রেগি প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন। আজকের এই দক্ষিণ জেলা ভিত্তিক প্রথম সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে শূন্য পদে নিয়োগ, রেগুলার, বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয় উপস্থিত অতিথিদের সামনে। পাশাপাশি আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে এসোসিয়েশান এর সদস্যরা দক্ষিন জেলার ৮ টি ব্লকে কর্মরত অবস্থায় থেকে এম জি এন রেগা প্রকল্পের মাধ্যমে কি কি কর্মসূচী করছেন তানিয়ে বিস্তারিত আলোচনাকরেন। আরো বলেন উনারা বক্ত্যের মাধ্যমে স্বীকারকরেনেন বিগত সরকারের তুলনায় বর্তমান রাজ্যসরকারের অধীনে থেকে উনারা বিনা আন্দোলনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাপেয়েছে। যেসকল সুযোগ সুবিধাথেকে উনারাবঞ্চীত সেইসকল সুযোগ সুবিধা পাবারলক্ষ্যে রাজ্যসরকারের নিকট আবেদনকরেন সম্মেলনে প্রতিনিধিরা। এসোসিয়েশান এর কর্মীদের এই আবেদন রাজ্যসরকারের নিকট পৌঁছেদেবার পতিশ্রুতি প্রদানকরেন জেলাসভাধিপতি দীপক দত্ত। তিনি সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিনহয়ে আজকের কর্মসূচীসম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন। আজকের এই সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ জেলাভিত্তিক নতুন কমিটি গঠন করা হয় সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন বিশ্বজিৎ নাহা, সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন গিরিশ রিয়াং, সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন সিমরণ পাল, সহ- সম্পাদক হন সজল কান্তি দেবনাথ, কোষাধক্ষ সুশান্ত দেবনাথ, মিডিয়া ইনচার্জ বিকাশ দত্ত। আজকের এই দক্ষিণ জেলা ভিত্তিক প্রথম সম্মেলনের কে কেন্দ্র করে শান্তির বাজার মুকুট অডিটোরিয়ামের হলের কানায় কানায় সম্মেলনে প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষনীয়।
- প্রতিনিধি ধর্মনগর,,আটই ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমানিক এগারোটা নাগাদ বিলিতি মদের দোকান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ রাস্তা অবরোধে বসে স্বসহায়ল দলের নারীবাহিনী।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর থানার অন্তর্গত তিলথৈ বাজার সংলগ্ন এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, দুই প্রতাপশালী ব্যক্তিরার উদ্যোগে তিলথৈ বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিলিতে মদের কাউন্টার বসায় বিগত প্রায় এক বৎসর পুর্বে।এমতাবস্থায় স্থানীয় এলাকার লোকজন অভিযোগ করে জানায় বিলিতি মদের কাউন্টার টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি সহ সকল প্রকার নিতী নির্দেশিকা সম্বলিত প্রটোকল মেনে বসানো হলেও এলাকাটি জনবহুল হওয়া সহ তিলথৈ রুপচরন উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হওয়াতে স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলে যাওয়া আসা করতে গিয়ে ছাএ ছাএিদের প্রতিনিয়ত পড়তে হয় নানান ধরনের দৃষ্টি কটোর সমস্যায়।এছাড়াও তিলথৈ বাজারে গজিয়ে ওঠা দেশীয় মদের দোকান সহ বিলিতি মদ্যপায়ীদের তান্ডবে দিনের অধিকাংশ সময় তিলথৈ বাজার সহ স্কুল চত্বর চলে যায় মদ্যপদের দখলে।শুধু তাই নয়,মদ্যপ অবস্থায় পকেট খালি করে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী সহ পরিবার পরিজনদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালায়।এতে করে পরিবার সুখ শান্তি ধ্বংসের পথে কারুর যাচ্ছে বা কারো কারো ধ্বংসের হয়ে গেছে ।মাঝে মধ্যে মদ্যপদের বাইক সহ গাড়ি ঘোরার জানঝটের কারনে মদ কাউন্টারের সম্মূখে রাস্তা অবরোধ হয়ে পরে।এই ধরনের সামাজিক অবক্ষয় থেকে পরিএান পেতে স্থানীয় এলাকার সকল পরিবারের নারীরা স্থানীয় বিশেষ ব্যক্তিবর্গের কাছে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতিবাদ করার পরেও কোন সুরাহ পাচ্ছেন না বলে খবর। তার জন্য পরিবারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সামলানোর জন্য বাধ্য হয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে নারীবাহিনী আটই ফেব্রুয়ারী বিলিতি মদের কাউন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ তিলথৈ আনন্দবাজার রাস্তা অবরোধ করে।রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনা স্হলে পৌছায় পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌম্য দেব্বর্মা সহ পানিসাগর থানার ও,সি সুমন্ত ভট্টাচার্য সহ বিশাল পুলিশ ও টি,এস,আর বাহিনি।ছুটে আসে ধর্মনগর জেলা প্রশাসনের কর্মরত এক আধিকারিক।সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কথা বলা হয় রাস্তা অবরোধ কারি বীরাঙ্গনাদের সাথে।পরবর্তীতে আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সামাজিক অবক্ষয়ের বিষয়টি নিয়ে বিলিতি মদ ব্যাবসায়ীদের সাথে আলোচনা ক্রমে বিষয়টির সমাধান করবেন বলে সম্মতি দিলে রাস্তা অবরোধ মুক্ত করলে স্বাভাবিক হয় ।
প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৭ ফেব্রুয়ারি:- ধলাই জেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় শুক্রবার গন্ডাছড়ায় জেলা শাসক সাজু বাহেদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ পরিদর্শন ও রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এদিন গন্ডাছড়া মহকুমা শাসক , আর.ডি এক্সিকিউটিভ, ডুম্বুর নগর ব্লকের বিডিও, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং এবং সমাজসেবকদের উপস্থিতিতে নারায়ণপুর চৌমুহনি বাজারের মার্কেট স্টলের কাজ পরিদর্শন করেন। এরপর গন্ডাছড়া বাজারের দৈশ্যরাম সুপার মার্কেটের কাজ এবং মাছ বাজারের প্রস্তাবিত কাজের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয়। পরবর্তীতে, গন্ডাছড়া বাজার লেকের প্রস্তাবিত কাজের বিষয়ে পরিদর্শন ও খোঁজ নেওয়া হয়। পরিদর্শন শেষে, সকাল ১১টায় মহকুমার সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের অধিকর্তা, বিএসি চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এমডিসি, এমএলএ, এসসি ও ওবিসি সাব কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এই মিটিংয়ে ডিএম সাহেব প্রত্যেকটি লাইন ডিপার্টমেন্টের কাজের আপডেট নেন এবং যেখানে সমস্যা বা খামতি রয়েছে তা নোট করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিএম সাহেব আরও জানান যে, চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একযোগভাবে কাজ করতে হবে যাতে কোনো অযথা বিলম্ব না হয়। কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা শেষে, মিটিংয়ে দুপুর ১২টার সময় মহকুমা শাসককে কাজ শেষ করার দায়িত্ব ভার দেওয়া হয়। এরপর, বিশেষ প্রয়োজনে মিটিং থেকে এমএলএ ও ডিএম চলে যান। এই রিভিউ মিটিংয়ের মাধ্যমে কাজের তীব্র মনিটরিং এবং প্রশাসনিক পদক্ষেপের প্রতি গুরুতর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে, যাতে উন্নয়ন কাজগুলো যথাসময়ে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়। পরবর্তী রিভিউ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত ১২ ফেব্রুয়ারি গৃহীত হবে, যাতে কর্ম পরিকল্পনা পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনে সংশোধন করা যেতে পারে। এমতাবস্থায়, প্রশাসন স্থানীয় বাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে, এবং জনগণের কল্যাণে তার কার্যক্রমগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে বলে আশাবাদী।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ৬ ফেব্রুয়ারি।। চার বছর পর আবারও বিশালগড়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মেধা মনন ও সৃজনের উৎসব বইমেলা। বিধায়ক সুশান্ত দেবের উদ্যোগে বিশালগড় পৌর পরিষদের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে বই মেলা। বৃহস্পতিবার বিশালগড় পৌর পরিষদের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বইমেলা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, বিশালগড় পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, ডি সি এম দেবযানী চৌধুরী, ব্লকের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তপন দাস সহ পৌর পরিষদের সকল সদস্য সদস্যা এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী বৈঠকে বইমেলাকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মহকুমার সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দপ্তর, ক্লাব সামাজিক সংস্থাকে বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হবে। বইমেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশনার ভাবনা রয়েছে। বিশালগড় টাউন বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে চলতি মাসে এই বইমেলা আয়োজনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রস্তুতি কমিটি গঠন সহ প্রতিটি সাব কমিটি গঠন করে সকল বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান তিন দিনের বইমেলায় সেমিনার, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কবি সম্মেলন ইত্যাদি করার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বইমেলা সফল করতে মহকুমার সকল অংশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন বিধায়ক সুশান্ত দেব।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,,৩১শে জানুয়ারি সাত সকালে একটি চুরি কান্ডের ঘটনা প্রত্যক্ষ করলো পানিসাগর এলাকার জনগন।এবারকার চুরি কান্ডটি সংঘটিত হয় পানিসাগর থানাধীন পশ্চিম পানিসাগর পাঁচ নং ওয়ার্ড এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,পশ্চিম পানিসাগর এলাকার বাসিন্দা অশোক দাস ও অনিক দাস,পিতা অজয় চন্দ্র দাস এর বাড়িল লোকজন সাত সকালে ঘুম থেকে উটে দেখতে পায় যে,ওদের উটানে থাকা বেশ কিছু রাবারের সিট সহ স্কেপ নেই।পরবর্তীতে বাড়িতে লাগানো সি,সি,ক্যামেরা ফুটেজ প্রত্যক্ষ করে সম্ভাব্য অভিযুক্ত চোর কে সনাক্ত করে।জানা যায় যে,অশোক এবং অনিক এরা দুই ভাই বিগত বেশ কিছু বৎসর যাবৎ রাবারের বাগান সহ রাবার সিট ও স্কেপ এর ব্যাবসা করতো।বাড়ি মালিক জানায় সি,সি,ফুটেজের সময় সূচি অনুযায়ী গতকাল রাএি বারোটা ২৩ মিনিটে চুরি কান্ডটি সংঘটিত হয়।এই মর্মে ৩১শে জানুয়ারি সাত সকালে চুরি কান্ডের বিষয়ে পানিসাগর থানায় অভিযোগ জানালে পানিসাগর থানার পুলিশ গিয়ে চুরি কান্ডের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয় ।ধারনা করা হচ্ছে পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে আসল চোরের সন্ধান বেরিয়ে আসবে।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,,পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ সহ নিরবিছিন্ন জল পরিষেবা পেতে ৩০শে জানুয়ারি সকাল আনুমানিক নয়টা নাগাদ পানিসাগর থানাধীন জনজাতি অধ্যুষিত ভাল্লুক ছড়া পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় দামছড়া জলাবাসা প্রদান সড়করি অবরোধে বসে স্থানীয় এলাকার লোকজন।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,বর্তমান শুখা মরশুমের শুরুতেই পানীয় জলের আহাকার পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে রাজ্য জোরে সর্বএই।তবে জনজাতি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকা গুলোতে এর প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বেশি।ভাল্লুক ছড়া এলাকাটি পাহাড়ি অধ্যুষিত হওয়াতে পানীয় জলের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।জানা গেছে ঐ এলাকায় একটি জলের গভীর নলকূপ রয়েছে।এটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় এলাকার লেনা হালাম ও সলিরাম রিয়াং।এলাকা বাসিরা অভিযোগ করে জানায় ভাল্লুক ছড়া বাজার সংলগ্ন এলাকার লোকজন বিগত বেশ কিছু দিন যাবৎ পানীয় জল থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত।এরা দুজন অপারেটরের সাথে কথা বলে জানতে পারে মেশিন খারাপ।অথচ খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে এলাকার একটা অংশ পানীয় জল পেলেও বেশিরভাগ অংশই বঞ্চিত।ধারনা করা হচ্ছে হয়তোবা জলের লাইন ফেটে গিয়ে জল ঐ এলাকায় পৌছায় নি।দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা অবরোধের ফলে অবরোধ স্থলের উভয় প্রান্তে ছোট বড় যান বাহন দাড়িয়ে পড়ে।এতে করে নিত্য যাএি সহ দূরদূরান্ত থেকে আগত যানবাহনেরা পড়ে গভীর বিপাকে।অবরোধের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবরোধ স্থলে পৌছায় পানিসাগর থানার পুলিশ।অবরোধ কারিদের সাথে আলোচনা করতে ছুটে যায় পানিসাগর মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর সুকুমার রিয়াং সহ পানিসাগর ডি,ডব্লিও,এস দপ্তরের আধিকারিকেরা।ডি,ডব্লিউ,এস দপ্তরের আধিকারিক জানায় তিনি সবসময় দায়িত্ব প্রাপ্ত দুজন অপারেটরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।অপারেটরা নাকি ওনাকে এই নিয়ে কোন কিছু জানায়নি।বরং সকলেই পানীয় জল সরবরাহ সঠিক ভাবে পাচ্ছে বলে জানায়।এলাকাবাসীরা জানায় স্থানীয় দুই অপারেটরের খামখেয়ালি পনায় ভাল্লুক ছড়া এলাকার লোকজনেরা পানীয় জল থেকে বঞ্চিত।এলাকাবাসিদের অভিযোগ প্রায় সময় মেশিন খারাপ বলে জল সরবরাহ বন্ধ করে রাখে অপারেটর দ্বয়।এমনকি জলের পাইপ লাইন ফেটে গেলে সারাই করতে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা তো দূরের কথা দপ্তরকে জানাতে পর্যন্ত কর্তব্য বোধ করেনি।পরবর্তীতে পানিসাগর ডি,ডব্লিও,এস দপ্তরের আধিকারিকের আশ্বাসে আজকের মধ্যেই স্থায়ী সমাধান সহ দুজন অপারেটর এর বিরুদ্ধে যতুপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহন করবে বলায় বিক্ষুব্ধ অবরোধ কারিরা রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে।পরবর্তীতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :- শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রদেবের ১৬৫ তম আবির্ভাব তিথি ও বাৎসরিক উৎসব উদয়পুর গিরিধারী পল্লীস্থিত শ্রী শ্রী রামঠাকুর সেবা মন্দির প্রাঙ্গনে শুরু হচ্ছে উৎসব আগামী পাঁচই ফেব্রুয়ারি থেকে । এই বছরই প্রথম ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় গঙ্গা আরতি করা হবে রাজ্যের প্রধান নদী গোমতী নদী জয়রাম ঘাটে । আশ্রমের পাশেই অনুষ্ঠিত হবে এই আরতি। উৎসব নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাম ঠাকুর আশ্রমের সভাপতি তথা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। শ্রী রায় বলেন , ৫ই ফেব্রুয়ারি বেদবাণী ও গীতা পাঠ করা হবে। গঙ্গা আবহন অনুষ্ঠিত হবে প্রতিবছরের মতো। এছাড়া প্রতিদিন অহোরাত্র নাম যজ্ঞ , সকালে বাল্যভোগ , মধ্যাহ্নে অন্য ভোগ ও সন্ধ্যায় থাকছে সত্যনারায়ণের সেবা ও পূজা । চার তারিখ থেকে শুরু করে আগামী ৯ই ফেব্রুয়ারি চলবে উৎসব এবং ১০ ই ফেব্রুয়ারি সকালে নগর পরিক্রমা মাধ্যমে উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। প্রতিদিন উৎসব চলাকালীন সময় ভক্তদের জন্য অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী । পরে মন্ত্রী রামঠাকুর আশ্রমে দূরপাল্লা থেকে আসা ভক্তদের জন্য গড়ে ওঠা নতুন দালান ঘর ঘুরে দেখেন। কথা বলেন আশ্রম কমিটির সাথে। উৎসবে মেতে উঠতে শুরু করেছে উদয়পুর রাম ঠাকুর আশ্রম।
ত্রিপুরার অধ্যক্ষ শ্রী সেন ধর্মনগরে নিজেই ক্রিকেট খেলে উদ্বোধন করলেন সিনিয়র লীগের ক্রিকেট ম্যাচে ।।
প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের অনুপ্রেরণায় ও ধর্মনগর পুরো পরিষদের উদ্যোগে ধর্মনগর শহরে অনুষ্ঠিত হয় খেলো ধর্মনগর-২০২৪ । দেড় মাস ব্যাপী চলা খেলো ধর্মনগরের বিভিন্ন খেলার সমাপ্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল ১লা ফেব্রুয়ারি শনিবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাসদর ধর্মনগর শহরে। সমাপ্তি দিনে সিনিয়র লীগের ক্রিকেট ম্যাচ দুইটি ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। যথাক্রমে রাইজিং সান এবং সোনালী শিবির এই দুই ক্লাবের মধ্যে টানটান উত্তেজনার মধ্যে ম্যাচটি সম্পন্ন হয়। প্রথম ইনিংসে রাইজিং সান ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৯৬ রানের টার্গেট দেয়। জবাব দিতে দ্বিতীয় ইনিংসে সোনালী শিবির মাঠে নামে। সোনালী শিবির ১০ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করে রাইজিং সান এর কাছে হেরে যায়। রাইজিং সান এর খেলোয়ার ইকবাল হোসেন ১০২ রান করে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়। অপরদিকে রাইজিং সানের জয় পাল দুর্ধর্ষ বোলিং করে। জয় ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে,১টি মেইডেন ওভার দিয়ে ৫ উইকেট সংগ্রহ করে।
ধর্মনগর পুরো পরিষদের উদ্যোগে দেড় মাস ব্যাপী খেলো ধর্মনগরের বিভিন্ন খেলার সমাপ্তি দিনে সিনিয়র লিগের ক্রিকেট ম্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মাননীয় অধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন মিতালী রানী দাস সেন, পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারপারসন মঞ্জু নাথ, খেলো ধর্মনগরের আহ্বায়ক শ্যামল নাথ, পুর পরিষদের কাউন্সিলারগণ সহ অন্যান্যরা।এই খেলা দেখার জন্য প্রচুর সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে বিবিআই মাঠ কোনায় কোনায় ভরে উঠে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে এই খেলাকে উপভোগ করতে দেখা গেছে খেলা প্রেমীদের। স্কুল লীগের খেলায় শ্রেষ্ঠ বেটসম্যান হয় প্রদীপ পাল,শ্রেষ্ঠ বোলার প্রসেনজিৎ সেন,ম্যান অফ দ্যা সিরিজ প্রদীপ পাল। সিনিয়র ডিভিশনে শ্রেষ্ঠ বেটসম্যান হয় দিলীপ নাথ,শ্রেষ্ঠ বোলার জয় পাল,ম্যান অফ দ্যা সিরিজ ইকবাল হুসেন,শ্রেষ্ঠ ক্যাচ জয়দীপ দত্ত,স্টাইলিস্ট প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজ হয় সমশুভ্র দে,ফেয়ার প্লে এওয়ার্ড পায় ওয়ার্ড নং ২ । অত্যন্ত সফলতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হল এই খেলো ধর্মনগর ২০২৪ ।