- উদয়পুর, ২৪ ডিসেম্বরঃ ২০২৪ ঃ- গোমতী জেলায় মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, বালি শ্রমিক, পশু খামার যাদের রয়েছে বা সেখানে যারা কাজ করেন তাঁদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিসিজি টিকা দেওয়া হবে। যক্ষ্মা রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে বলতে গিয়ে গোমতী জেলার টিবি আধিকারিক ডাঃ শৌমিক চক্রবর্তী যুক্তি দিয়ে বলেন যে নির্মাণ বা বালি শ্রমিকরা বালু নিয়ে কাজ করেন। যেখানে সিলিকাস কনা থাকে। এই ক্ষুদ্রকনা ফুস্ফুসে গিয়ে সিলিকোসিস তৈরি করে। তখন টিবি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রোগাক্রান্ত গভাদি পশুর শরীরে বোবাইন টিবির জীবানু থাকে যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। আজ জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে চিকিৎসকের কাছ থেকে যক্ষ্মা রোগের ব্যাখ্যা শুনে গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি দেবল দেব রায় আজ সব জেলার সব জন প্রতিনিধি, শ্রমিক সংঘটন, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী এবং কৃষক বন্ধুদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বিসিজি টিকা দেওয়নোর জন্য উদ্যোগী হতে আহ্বানও জানান। জেলার সভাধিপতি বিডিও এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই টিবি মুক্ত করার কথা ঘোষণা দেন। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলিত হয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে গত ৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের বিশেষ অভিযান চালু করে। ১০০ দিনের বিশেষ অভিযানকে সফল করার জন্য গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি আজ সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস সহ সব দপ্তরের আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানদের, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে বসেন।
জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সাপোর্টের আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত জেলা জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস জানান, স্ক্রিনিং আরও বাড়াতে হবে এবং সবাইকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এই মাসের মধ্যে জেলার ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অভিযান জোরদার করা হবে। এবং ১০০ শতাংশ বিসিজি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিডিও দেরকে নির্দেশ দেন। এই ২১টি গ্রাম পঞ্ছায়েতে টিবি রোগীর সংখ্যা বেশী। এইগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন জানান যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণের চেইনকে ভাঙ্গতে হবে। এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চিকিৎসকরা জানান, যে প্রথম ডোজ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের সংক্রমণের মাত্রা এবং ক্ষমতা কমতে থাকে। সুতরাং যে সব টিবি রোগীর চিকিৎসা চলছে তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ঠিক নয়। রোগীকে কেবলমাত্র মাস্ক পড়ে থাকলেই হবে।
সভাধিপতি দেবল দেবরায় জেলা, মহকুমা, ব্লক এবং গ্রাম স্থরের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক, জন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদেরকে নিঃক্ষয় মিত্র হওয়ার জন্য আহ্বান জানান । ৬ মাসের জন্য যে কোন একজন রোগীকে পৌষ্টিক সম্পূরক খাওয়ার দেওয়াটাই হল মূল লক্ষ। গোমতী জেলায় বর্তমানে ৩৩৪ জন টিবি রোগী রয়েছে যাদের চিকিৎসা চলছে। অফিস বা বিভিন্ন কর্মস্থলে ধূমপান বা তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পরামর্শ দেন।
ত্রিপুরা
উদয়পুর প্রতিনিধি : সাত সকালে আবারো যান দুর্ঘটনার শিকার এক বাইক আরোহী । ঘটনার বিবরণে জানা যায় , মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১০: ৩০ টায় উদয়পুর রাজধরনগর সড়কে পন্য বোঝায় অটো গাড়ি ও বাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এর ফলে TR 08 F 5061 নাম্বারের বাইকে থাকা চালক মুহূর্তের মধ্যে ছিটকে পড়ে রাস্তায় । কিন্তু দুর্ঘটনার সাথে সাথে পণ্য বোঝায় গাড়ি চালক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় । পরবর্তী সময়ে পথ চলতি সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ খবর দেয় উদয়পুর দমকল বিভাগে । দমকল কর্মীরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসা করানোর জন্য । বর্তমানে আহত বাইক চালক ইমাম হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিদিন যেভাবে উদয়পুরে বাড়ছে বাইক ও গাড়ি দুর্ঘটনা তাতে করে রাস্তায় চলাচল করি নিত্য পথযাত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য দূরপাল্লার যাত্রীদের মধ্যে এর ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।
বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা।
বাঁশের খুঁটি আর লোহার পাইপ পুতে তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা। অবৈধভাবে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে পুরো টাকা হাফিজ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট নিগম অফিসে কর্মরত বেসরকারী সংস্থার কর্মী তপন দাসের বিরুদ্ধে। দাবী উঠছে তদন্তের। বিদ্যুৎ লাইন নামাতে গিয়ে পাকা খুঁটির বদলে এখন গ্রাহকরা পাচ্ছেন বাঁশের খুটি এবং নলকূপে ব্যাবহৃত লোহার সরু পাইপ। হ্যা, এসবের উপর ভর করেই গ্রাহকদের বাড়ীতে এখন বিদ্যুতের পরিষেবা পৌছে দিচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। আর এরজন্য গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে পনেরো হাজার টাকা। এই ঘটনা বিদ্যুৎ নিগমের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট অফিসের অধীন নিদেবী দুই নম্বর ওয়ার্ডে।
অভিযোগে জানাগেছে এলাকার বাসিন্দা অনিতা দাস তার বাড়ীতে নতুন বিদ্যুৎ লাইন নামানোর জন্য ছুটে যান নিগমের কুমারঘাট অফিসে। পরে অফিস থেকে তপন দাস নামের এক বেসরকারী সংস্থার কর্মীকে পাঠানো হয় তার বাড়ীতে জায়গা পরিদর্শনের জন্য। অনিতা দাস জানিয়েছেন, লাইন নামাতে গিয়ে অনেক ঝামেলার জুজু দেখিয়ে মহিলার কাছ থেকে সরকারীভাবে খুঁটি সমেত লাইন নামানোর কথা বলে পনেরো হাজার টাকা নেয় বিদ্যুৎ নিগমের অধীনে থাকা তপন দাস নামের ঐ বেসরকারী সংস্থার কর্মী। এরপরই ঐ মহিলার বাড়ীতে স্থায়ী খুঁটির বদলে নলকূপের পাইপ এবং বাঁশের খুটি পুতে বিদ্যুৎ নিগমের মিটার এবং সার্ভিস তার লাগিয়ে ন্যুনতম একশো মিটার লাইন টেনে দেয় তপন দাস সহ আরো এক কর্মী। আর লোহার পাইপ দিয়ে রাস্তার উপর লাইন এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যাতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। মহিলা জানান, লাইন নামাতে গিয়ে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে দিয়েছে সংস্থার কর্মীরা। এতে রিচার্জ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। শুধু তাইনয়, পনেরো হাজার টাকা দেবার বিষয়টি কারো কাছে না জানিয়ে গ্রাহককে চেপে যাবার আবেদন করেছেন ঐ সংস্থার কর্মী। নিগমের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ জানান ঐ মহিলা গ্রাহক।সুত্রের খবর এই সার্ভিস কানেকশন বাবদ কোন তথ্য বা টাকা জমা পড়েনি কুমারঘাটের নিগম অফিসের সরকারী খাতায়। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের দায় সারাতে কর্তৃপক্ষ দাবী করবে অফিস থেকে দেওয়া হয়নি এই বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন। প্রশ্ন হলো, তাহলে দপ্তরের অনুমতি ব্যাতিত নিগমের মিটার এবং তার কিভাবে লাগানো হলো পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে? অফিসের পদস্থদের সবুজ সংকেত ছাড়া কিভাবেই বা অফিসের স্টোর থেকে বের হলো নিগমের এতো এতো তার এবং মিটার?
যদিও এধরনের ঘটনা নিগমের একাংশ অফিসে হামেশাই চলে আসছে বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের। আর এভাবে তার বিক্রির মাধ্যমে একাংশ বড়োবাবু থেকে ছোটবাবুরা তাদের পকেট ভরার ফলে অফিসে প্রায়শই মেলেনা তার এবং মিটার। ফলে ন্যায্য টাকা জমা দিয়ে বৈধ কানেকশন নিতে গিয়ে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরতে হয় অধিকাংশ গ্রাহককেই।
দাবী উঠছে কুমারঘাটের এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে সর্ষের মাঝে লুকানো ভূতকে বের করুক বিদ্যুৎ নিগম।
উদয়পুর প্রতিনিধি : ডাক্তারের পরিবারে উদার মানসিকতায় উপকৃত হবে রোগীরা। এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোমতী জেলা টেপানিয়া হাসপাতাল । শনিবার দুপুর দুইটায় টেপানীয়া জেলা হাসপাতালে ডাক্তার বিশ্বজিৎ পাল সহ এবং অন্যান্য ডাক্তারদের সহযোগিতায় ডাক্তার এস এম দাসের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে । মৃত্যুবার্ষিকীতে ডক্টর এস এম দাসের ছেলে ডাক্তার কনক দাস ও তার পরিবার ডক্টর এস এম দাসের করা বিভিন্ন অপারেশনের যন্ত্রপাতি আজকের এই মৃত্যুবার্ষিকীতে টেপানিয়া জেলা হাসপাতালে এম এস এর হাতে তুলে দেন । ছোট্ট পরিসরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক অভিষেক দেবরায় বলেন , পূর্ব পাকিস্তানে জন্ম হয়েছিল ডাক্তার এস এম দাসের । পরবর্তী সময় শিলচরে চলে আসে পরিবার। দেশ ভাগ হওয়ার পর লেখাপড়ায় কোন ধরনের বাধাপ্রাপ্ত হয়নি উনার। পরে আসাম মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস নিয়ে পড়াশুনা করেন। তারপর চাকুরীতে যোগদান করে। তিনি প্রথম ত্রিপুরার কুলাই হাসপাতালে চাকুরীর কর্মকান্ড হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময় সালেমা , কমলপুর সহ আরো একাধিক হাসপাতালে তিনি চাকরি করেন। এছাড়া তিনি পশ্চিমবঙ্গের আরজিকর মেডিকেল কলেজেও পড়াশুনা করেছেন বলে জানান বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। তার কর্মজীবনে রয়েছে বহু অপারেশন। বহু রোগীকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন। আজকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আরও একটি কর্মস্থলে যন্ত্রপাতি দিয়ে তার পরিবার উদার মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে দাবি করেন সকল অতিথিরা। এদিনের অনুষ্ঠানে এই ছাড়া ছিলেন, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার , জিলা সভাধিপতি দেবল দেবরায়, পৌর চেয়ারম্যান শীতলচন্দ্র মজুমদার সহ টেপানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন ঝর্ণা রানী দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান সহ টেপানিয়া জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তাররা।
উদয়পুর প্রতিনিধি : শুক্রবার দুপুর তিনটায় রাজ্যের কৃষি মন্ত্রীর হাত ধরে মহারানী প্রাথমিক গ্রামীণ বাজার উদ্বোধন হলো । এদিন মন্ত্রী ফলক উন্মোচন ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে নতুন দালান বাড়ির শুভ উদ্বোধন করেন । এদের মন্ত্রীর সাথে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, জীতেন্দ্র মজুমদার, জিলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিক এবং স্থানীয় নেতৃত্ব সহ প্রমুখ । মন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, মহারানী প্রাথমিক বাজারটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে দুই কোটি ২৮ লক্ষ টাকা । এর ফলে গ্রামীণ বাজারের একদিকে যেমন সৌন্দর্য বেড়েছে অন্যদিকে ঝড়-বৃষ্টি থেকে ব্যবসায়ীরা আরো নিরাপদ জায়গায় বসে তার ব্যবসা করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন । প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকালে চাইছে গ্রাম শক্তিশালী হয়ে উঠলে এই রাজ্য এবং দেশ আরো শক্তিশালী হবে । তাই সরকার প্রতিটা সময় তার কাজ করে চলেছে সকলকে পাশে নিয়ে। আগামী দিনে এই মহারানী এলাকাকে আরো উন্নত করা হবে বলে তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন । পরে কৃষিমন্ত্রী ফিতা কেটে ঘুরে দেখেন প্রাথমিক বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘরগুলি । এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহারানী এলাকার গ্রামীণ মানুষের ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় ।
গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবনের শুভ দ্বারোদঘাটন করেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
উদয়পুর প্রতিনিধি : কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গোমতী জেলার গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবনের শুভ দ্বারোদঘাটন করেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন , বিধায়ক অভিষেক দেবরায় , জীতেন্দ্র মজুমদার ও পৌর চেয়ারম্যান শীতল চন্দ্র মজুমদার, কৃষি আধিকারিক অজয় দেববর্মা সহ প্রমূখ । এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয় তৈরি হয়েছে এই নতুন দালান বাড়িটি। মন্ত্রী বলেন , কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। তাদের উন্নয়ন ছাড়া কৃষিপ্রধান ভারতবর্ষের বিকাশ কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। এই আদর্শকে মাথায় রেখে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে গোমতী জেলার গর্জিতে ‘কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র’-এর নবনির্মিত ভবন করা হয় ।
পাশাপাশি কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয় কৃষি মন্ত্রীর হাত ধরে । আগামী দিনে কৃষকদের জন্য কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্রটি অনেকটাই লাভবান হবে বলে তিনি আশাবাদী । এই দিনের অনুষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় গর্জি এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
প্যাথলজিক্যাল এন্ড রেডিওলজিক্যাল ক্লিনিকস অ্যাসোসিয়েশান এর গোমতী জেলা কমিটির ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উদয়পুর প্রতিনিধি : অমরপুর বিবেকানন্দ ক্লাবের সভাগৃহে অল ত্রিপুরা প্যাথলজিক্যাল এন্ড রেডিওলজিক্যাল ক্লিনিকস অ্যাসোসিয়েশান এর গোমতী জেলা কমিটির ষষ্ঠ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সহ গোমতী জেলার সদস্য/সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সাংগঠনিক আলোচনা করা হয় এবং পুরানো কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আগামী দুবছরের জন্য সতের জনের নতুন কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে সভাপতি হিসেবে সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভঞ্জন বিশ্বাস এবং কোসাধ্যাক্ষ হিসেবে অজয় চক্রবর্তী নিযুক্ত হয়েছেন। সম্মেলন কে কেন্দ্র করে ত্রিপুরা প্যাথলজিক্যাল এন্ড রেডিওলজিক্যাল ক্লিনিকস সদস্য এবং সদস্যাদের উপস্থিতি ছিল সারা জাগানো
উদয়পুর প্রতিনিধি : ৫১ শক্তি পীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে মহারাজা ধন্য মানিক্য কর্তৃক নির্মিত হয় । ধর্মীয় পীঠস্থান এর পাশাপাশি এই মন্দিরের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা ভারতবর্ষের প্রাচীনতম মন্দির গুলির মধ্যে অন্যতম । এই মন্দিরের ব্যতিক্রমী আকর্ষণীয়তার কারণে ভারতের নানা প্রান্তের লক্ষ লক্ষ ভক্ত আজও এই মন্দিরে মায়ের কাছে উপাসনা করতে আসেন । ত্রিপুরা সুন্দরী মাকে প্রণাম করে ভক্তরা মায়ের প্রণামী বাক্সে নিজেদের সাধ্য মতো প্রনামী দিয়ে থাকেন । কয়েক মাস পর পর মায়ের প্রনামী বাক্স খোলা হয় এবং তার হিসাব নিকাশ করা হয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে । বৃহস্পতিবার একমাস কুড়ি দিন পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বলয়ের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরে প্রণামী বাক্স খোলা হয়েছে। এদিন দুপুরে গোমতী জেলাশাসক অফিসের ডেপুটি কালেক্টর ঘোষের উপস্থিতিতে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মায়ের প্রণামী বাক্সের সমস্ত টাকা-পয়সার হিসাব নিকাশ করা হয়। তিনি জানান , আগের তুলনায় এখন যেহেতু পূণ্যার্থীদের ভিড় হচ্ছে মাতারবাড়িতে । তাই প্রণামী বাক্স গুলি পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে কিছুদিন পর পর । এর ফলে আজকে সম্পূর্ণ খোলা হয়েছে প্রণামি বাক্সটি। শ্রী ঘোষ জানিয়েছেন , সমস্ত টাকা পয়সার হিসাব করে ম্যানেজারের হাতে তুলে দেওয়া হবে আজ রাতের মধ্যেই। তার কারণ পাহাড় সমান পয়সা এবং টাকা তৈরি হয়েছে। এই প্রনামীর টাকাগুলি দিয়ে আগামীদিনে মন্দির এবং মায়ের পুজোর কাজে লাগানো হবে বলে তিনি জানান সংবাদ মাধ্যমকে।
জিরানিয়া সরকারি খাদ্য গুদামে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর ও খাদ্য দপ্তর যৌথভাবে কৃষকদের সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল লাল নাথ বলেন এখন পর্যন্ত রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মাননিধি ২ লাখ ৭৬ হাজার কৃষক পেয়েছেন। ১৮ কিস্তিতে তারা ৭০ কোটি টাকা পেয়েছেন। কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তার জন্য সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়, কৃষি ঋণ , কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান , কৃষি বাজার, ভর্তুকিতে সার বীজ প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কৃষকদের আত্মনির্ভর করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭২ হাজার কৃষককে কৃষি ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তাতে কৃষকরা পেয়েছেন ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা। তিনি বলেন সরকার সব সময় কৃষক বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রীর চাইছেন কৃষক, মহিলা ,যুবক যুবতী ও গরী ব মানুষকে আত্মনির্ভর করে তোলার মধ্য দিয়ে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলা। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন রাজ্য সরকার জনমুখী সরকার। রাজ্যকে দেশের অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কেন্দ্র সরকার সব রকম সহযোগিতা করছেন। আগামী দিনে ও খাদ্য দপ্তর ও কৃষক কৃষি কল্যাণ দপ্তর মিলিতভাবে রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাবে। অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন জিরানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন সহ খাদ্য ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। ধান ক্রয় ছাড়াও অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ করা হয়
গভীর রাতে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত থেকে আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিক। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে !
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর:– বর্তমান বাংলাদেশে অস্থির পরিবেশের মধ্যেও অবাধে অবৈধ বাংলাদেশীর আনাগোনা চলছে ভারতে। একমাত্র ত্রিপুরা রাজ্যকে করিডোর বানিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবাধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবেশ করছে এই বাংলাদেশী নাগরিকেরা। তবে বাংলাদেশে নথিপত্র ছাড়াই মোটা অর্থের বিনিময়ে কিছু দালাল চক্র একাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই সব দালাল চক্র মুখে ভারত প্রেম দেখালেও আদৌ অর্থের কাছে দেশের নিরাপত্তাকে বিক্রি করতে দ্বিধাবোধ করছে না। এতে প্রায় পুলিশ প্রশাসনকে অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে এই চোরা চক্রটি। এদিকে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত দুইটা নাগাদ ইন্দো-বাংলা সীমান্তের কদমতলা থানা এলাকার ইচাই টুলগাঁও এলাকায় পুলিশের পেট্রোলিংয়ের টহলধারীর সময় অপরিচিত এক বৃদ্ধা ও নাবালিকাকে ঘুরাঘুরি করতে দেখে, কর্তব্য পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে তারা ওই এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে কোন এক দালাল চক্রের মাধ্যমে। তখন এএসআই ডি,এম চাকমা তাদের আটক করে কদমতলা থানায় নিয়ে যান এবং জোর জিজ্ঞাসাবাদের পর বাংলাদেশী নাগরিক নিশ্চিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ৮১/২৪ নম্বরে ও ১৯২০ সালের ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের ০৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।ধৃত মহিলার নাম মোছা রুবেয়া (৬০) ও অপরজন পনেরো বছরের এক নাবালিকা। দুজনের বাড়ি বাংলাদেশের নিরা থানাধীন সিন্ডারপারা গ্ৰামে। বুধবার কদমতলা পুলিশ ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করেছে বলে জানা যায়। এদিকে এই ঘনঘন বাংলাদেশী অবৈধ নাগরিক ভারতে প্রবেশ করায় জেলা প্রশাসন অনেকটা হুমকির মুখে রয়েছে। বারবার প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপর ! এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কি করে বাংলাদেশী নাগরিক দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করছে ? তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির পরিবেশের কারণে সীমান্তো অনেকটা আঁটোসাঁটো রয়েছে, কিন্তু এতেও বাংলাদেশী প্রবেশ কমছে না। বরং চলছে অবাধ বিচরণ। এখন দেখার জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।