প্রতিনিধি ধর্মনগর,, সুপারি বাগানের মালিকের বক্তব্য অনুযায়ী,, জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে সুপারি বাগানে আগুন দিল দুষ্কৃতিকারীরা। সঙ্গে মারধরের অভিযোগ জানিয়ে কদমতলা থানার দ্বারস্থ হল অসহায় পরিবার। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন ইন্দো-বাংলা সীমান্তের প্রত্যেক রায় গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে। উক্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মিয়া(৪৪) (পিতা-মৃত আমজাদ আলী) জানান, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটা নাগাদ তারই প্রতিবেশী ভাই আব্দুল কালাম হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মিয়ার বাড়ির পাশের কুড়ি শতক জায়গা দখলের জন্য আসে। এতে আব্দুল মিয়া বাঁধা দিলে তাদের মারধোর করে এবং উক্ত জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। এতে সুপারি বাগান সহ আম ও বিভিন্ন ফলজাতীয় গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আব্দুল জানায় ওই জায়গা সে নিজের টাকায় খরিদ করলেও আব্দুল কালাম নামের তার এক কাকাতো ভাই এসে নিজের বলে দাবি করে এবং জবরদখল করতে চায়। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলতে থাকে। কিন্তু সেদিনের ওই চরম অবস্থা দেখে সে কদমতলা থানার দ্বারস্থ হয়েছে এবং আব্দুল কালাম ও তার দুই স্ত্রী পিয়ারা বেগম, রাজিয়া বেগম এবং তার ছেলে আছাদ উদ্দিনের নামে লিখিত মামলা করেন। যদিও সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি এবং ঘটনার কোন তদন্তই করেনি বলে অভিযোগ আব্দুল মিয়ার।এখন দেখার বিষয় যে এই নির্যাতিত পরিবার কখন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পায় এই কথা ই ভাবছেন এলাকার মানুষ।
ত্রিপুরা
প্রতিনিধি মোহনপুর:- সিধাই থানার অন্তর্গত বড়কাঠাল সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতৃত্ব ও সমর্থকদের বাড়িতে আক্রমণ চালায় দুষ্কৃতীরা। বিশেষ করে এলাকার প্রথম শাড়ির নেতৃত্বদের বাড়িতে করা হয়েছে ভাঙচুর। রক্তাক্ত হয়েছেন সিমনা বিধানসভার ৪১ নং বুথ সভাপতি অরুন দেববর্মা। তিনি বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বুধবার বড়কাঠাল এলাকায় ছিল গাঁও চলো অভিযান। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপি দলের নেতৃত্ব এবং কর্মী সমর্থকরা বাড়ি ফিরে গেছেন। রাত হতেই নেতৃত্বদের বাড়িতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি বাইক গিয়ে শুরু করে আক্রমণ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর এবং বাইক। বড়কাঠাল এলাকায় হেজামারা ব্লকের বিইসি ভাইস চেয়ারম্যান নিহার দেববর্মার বাড়িতে আক্রমণ করেছে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর। পাশাপাশি প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি যুগেন্দ্র দেববর্মা, বুথ সভাপতি অরুন দেববর্মার বাড়িতেও করা হয়েছে আক্রমণ। অরুণ দেববর্মাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তিপ্রামথা দলের দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে। আহত অরুন দেববর্মা বর্তমানে জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রতিনিধি, বিশালগড় , ।। সিপিএমের ঘাতকদের নৃশংসতার শিকার হয়েছিলেন বিশালগড়ের তরুণ বিধায়ক পরিমল সাহা। ১৯৮৩ সালে আজকের দিনে বিশালগড়ের অফিসটিলায় জাতীয় সড়কে প্রকাশ্যে দিবালোকে তৎকালীন বিধায়ক পরিমল সাহা এবং তাঁর সহযোগী জিতেন সাহা কে নিশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল । সোমবার প্রয়াত বিধায়কের ৪২ তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয় বিশালগড়ে। এদিন পরিমল সাহার হাতে তৈরি বিশালগড় সিলভার এরো ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, প্রাক্তন মন্ত্রী মতিলাল সাহা, বিশালগড় পৌরপরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ, কাউন্সিলর রতন দেব, ব্রজ গোপাল দেবনাথ সহ আরো অনেকে। প্রয়াত বিধায়ক পরিমল সাহার প্রতিকৃত্তিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব সহ উপস্থিত সকলে। বিজয় নদের তীরে প্রয়াত বিধায়কের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, প্রাক্তন মন্ত্রী মতিলাল সাহা প্রমূখ। এছাড়া এদিন প্রয়াত বিধায়ক পরিমল সাহার স্মরণে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এক স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। প্রয়াত বিধায়কের অনুজপ্রতিম মিহির লাল সাহা জানান কয়েকশো সাধারন মানুষ শিবিরে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েছেন।
রাজ্যের মন্দির গুলোকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ব্রহ্ম কুণ্ড মেলার উদ্বোধন করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিনিধি মোহনপুর:- রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলোকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা দেশে এই কর্মযজ্ঞ চলছে। শুক্রবার ব্রহ্ম কুন্ডু মেলার উদ্বোধন করে বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহা।
রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবং মোহনপুর মহকুমা প্রশাসন ও মেলা কমিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ব্রহ্মকুণ্ড মেলা। শুক্রবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে মেলার শুভ সূচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহা। এই মেলার উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত ভাষণ রাখতে গিয়ে সিমনার বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষ কেতু দেববর্মা বলেন এই মেলাটি বর্তমানে শুধুমাত্র সিমনা এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। গোটা রাজ্যের মানুষ সমবেত হয় এই মেলাতে। ইতিমধ্যেই এই মেলা প্রাঙ্গণকে আরো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য পর্যটন দপ্তর থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে তার কাজ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আহ্বান রাখেন সিমনা বিধানসভা এলাকার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমানে দেশের সরকার সমস্ত ধর্মীয় স্থানগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তার থেকে ব্যতিক্রম নয় এই ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাও। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি তার পাশেই একান্ন পিঠের আদলে কাল্পনিক মন্দির তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কসবেশ্বর কালীবাড়ি, চৌদ্দ দেবতা বাড়িকেও সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলোকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেলার উদ্বোধনের পাশাপাশি সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল গুলো উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিটিএএডিসির ইএম রবীন্দ্র দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, জেলাশাসক ডক্টর বিশাল কুমার, মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত সহ অন্যান্যরা।
বামুটিয়ায় উদ্বোধন হলো বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের, কৃষকদের দেওয়া হলো বিভিন্ন উপকরণ
- প্রতিনিধি মোহনপুর:- বামুটিয়ার তেবাড়িয়াতে নবনির্মিত বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো বুধবার। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথের হাত ধরে উদ্বোধন হয়েছে এই বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের। পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রাংশ। বামুটিয়া এলাকাতে বিশেষ করে ধানের বীজ প্রক্রিয়াকরণের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি ইউনিট। তেবাড়িয়া এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। ফিতা কেটে এবং ফলক উন্মোচন করে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়েছে বুধবার। এছাড়াও এদিন এলাকার কৃষকদের মিনি ট্রাক্টর, পাওয়ার ওইডার, ব্রুশকাটার, স্প্রে মেশিন এবং অন্যান্য কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সামগ্রিক গুলো তুলে দিয়েছেন রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
এদিন মন্ত্রী বলেন বর্তমানে কোন কৃষক তার সন্তানকে কৃষক বানাতে চায় না। এটা তার দোষ নয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারতের কৃষকদের কোন সরকার সঠিক মূল্যায়ন করেনি। বর্তমান দেশের প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দেশের কৃষক দের। এটি বিশাল পাওনা বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি কৃষকদের আহ্বান করেছেন পরম্পরাগত কৃষির পাশাপাশি আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার সাথে নিজেদের যুক্ত করার জন্য। যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি করে নিজেদের কাজ কি আরো সহজ করার জন্য আহবান করলেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান দীপক সিংহ, প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ ধনদাস, কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা ফনি ভূষণ জমাতিয়া সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।
প্রতিনিধি ধর্মনগর : এবার ধর্মনগরের এক যুবকের নামে ফেইক একাউন্ট বানিয়ে ফেসবুকে মেয়েদের সাথে অকথ্য আচরণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লো এক প্রতারক l এই প্রতারক যুবকের নাম প্রসেনজিৎ নম পিতা শৈলেন্দ্র নম বাড়ি বাগবাস থানাধীন গঙ্গানগরে l ঘটনার বিবরণে জানা যায় বিগত ৩ বছর যাবৎ প্রসেনজিৎ নম ধর্মনগরের এক যুবক অনীশ পালের নামে জাল ফেসবুক একাউন্ট তৈরী করে ফেসবুকে মেয়েদের সাথে ফস্টিনস্টি অকথ্য আচরণ নীল ছবি পাঠানো ইত্যাদি বিভিন্ন আচরণ সংগঠিত করে চলছে অবিরতিই l পরবর্তীতে অনীশ এই ঘটনার হদিশ পেয়ে ধর্মনগর থানায় ওই ফেইক একাউন্টের আসল লোকটি কে সেই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আবেদন রাখেন l তার আবেদনে সারা দিয়ে প্রশাসনের তরফে ওই ফেইক একাউন্টটি হ্যাক করে নেওয়া হয় l পরোববর্তীতে লোকেশন ট্র্যাগিংয়ের মাধ্যমে ওই জাল ফেসবুক একাউন্টের আসল মালিকের নাম এবং ঠিকানা বের করে নেয় পুলিশ l গতকাল রাতে পুলিশ ধৃত প্রসেনজিৎ নমকে কল করে থানায় ডাকে l পরবর্তীতে ধৃত প্রসেনজিৎ পুলিশের ডাকে সারা দিয়ে তার বাবা শৈলেন্দ্র নমকে সাথে নিয়ে থানায় হাজির হয় এবং ঘটনাটির সত্যতা শিকার করে l পরবর্তীতে তার বাবা শৈলেন্দ্র নমো ধর্মনগর থানায় একটি লিখিত আবেদন জানান l তার বাবার বক্তব্য অনুসারে ওই আবেদন পত্রে লিখা ছিল যে ভবিষ্যতে যদি তার ছেলে প্রসেনজিৎ নমো আর কারোর সাথে এমত অকথ্য আচরণ বা অসামাজিক কাজ সংগঠিত করে তাহলে প্রশাসন যাতে তার ছেলের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন l আর সেই সময় তিনি প্রশানকে তার তরফ থেকে ব্যক্তিগত ভাবে যা সাহায্য প্রয়োজন হয় তা তিনি করবেন বলে প্রশাসনের কাছে তিনি আবেদন রাখেন l ছেলের এই কুরুচিকর কাণ্ডে বাবার ক্ষমাপ্রার্থী বিষয়টি সহানুভূতির নজরে নিয়ে বাবার আবেদন পত্র গ্রহণ করে বাবার দায়িত্বে প্রশাসনিক নিয়ম অনুসারে প্রসেনজিৎ কে ছেড়ে দেয় পুলিশ l
গ্রামীন কৃষকদের উৎসাহিত করতে মহকুমা ভিত্তিক পশু পাখি মেলা আয়োজন জোলাই বাড়ি।
- শান্তির বাজার প্রতিনিধি: আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের
জাতীয় লাইভস্টক মিশন প্রকল্পে পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের পরিকল্পনায় এক দিবসীয় মহকুমা ভিত্তিক গবাদি পশু-পাখি মেলা-২০২৫ এর আয়োজন করা হয় শান্তিরবাজার মহকুমায় জোলাই বাড়ি ব্লকের অন্তর্গত জোলাই বাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ।প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে আজকের এই এক দিবসীয় মহকুমা ভিত্তিক গবাদি পশু-পাখি মেলার শুভ সূচনা করেন টিআরপি, পিটিজি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, উদ্বোধকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিল দক্ষিণ জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপক দত্ত, শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বকাফা পঞ্চায়েত সমিতি সমিতির চেয়ারম্যান কৃষ্ণাবতী রিয়াং,জোলাই বাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্ত, শান্তিরবাজার পুরো পরিষদের পুরো মাতা স্বপ্না বৈদ্য, ভাইস চেয়ারম্যান সত্য ব্রত সাহা, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুজিত দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান কেশব চৌধুরী, দপ্তর আধিকারিক সহ অন্যান্যরা। এই মেলা যারা বিভিন্ন গবাদি পশু পাখি নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের উৎসাহিত করতে সকলকে দপ্তরের তরফ থেকে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়। মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া আলোচনা করতে গিয়ে এই মেলার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন মেলায় উপস্থিত সকলের মধ্যে।শ্রী মন্ত্রী আরো বলেন সরকারের লক্ষ্য কৃষকদের আই দ্বিগুণ করা সেটিকে বাস্তবায়ন করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন পাশাপাশি আরো বলেন এ ধরনের মেলাকে কেন্দ্র করে আগামী দিন অনেকটা উৎসাহিত হবেন গ্রামীণ গবাদি পশু পাখি পালকরা। এই মেলাতে কেন্দ্র করে স্ব-সহায়ক দলের দলের মহিলারা বিভিন্ন স্টল খুলেন তাদের নিজের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে। জাতীয় লাইভস্টক মিশন প্রকল্পে এক দিবসীয় মহকুমা ভিত্তিক গবাদি পশু-পাখি মেলাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত সকলের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করাগেল।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-এক সময় পানীয় জলের জন্য হাহাকার ছিল রাজ্যের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে। তৎকালীন ২৫ বছরের বাম শাসনে এই রাজ্যের মানুষ পানীয় জলের জন্য কখনো নেতাদের দুয়ারে আবার কখনো দপ্তরের দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছে । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া তৎকালীন অর্থ কোথায় এবং কিভাবে খরচ করা হয়েছে তা কোন হিসাব পাওয়া যায়নি সেই সময়। ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় পালা বদলের পর রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে বিশুদ্ধ পানীয় জল। তারপর থেকে শুরু হয় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পানীয় জল দপ্তর থেকে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে অটল জলধারা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ। পানীয় জল দপ্তরের উদ্যোগে এবার বিশালগড় মহকুমাধীন পূর্ব লক্ষ্মীবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসীদের বাড়িতে চলছে পানীয় জলের নল বসানোর কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫০ টি গ্রামীণ বাড়িতে বসানো হচ্ছে পানীয় জলের নল। রাজ্যের এক উন্নয়ন যেভাবে দ্রুত গতিতে চলছে বিশালগড় জুড়ে তা কখনো বামের শাসনে এই বিশালগড় দেখতে পাইনি বিগত দিনে। এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিষেবা , স্কুল ,কলেজ ইত্যাদি দ্রুতভাবে কাজ চলছে পূর্ব লক্ষ্মী বিল এলাকাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য । তৎকালীন বাম নেতা ভানুলাল সাহা খাস তালুকে যেভাবে পদ্মের বিস্তার হয়েছে তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে। বিরোধী ভোটাররা দুহাত ভরে ভারতীয় জনতা পার্টিকে যেভাবে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। আর অন্যদিকে বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে পূর্ব লক্ষী বিল এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামবাসীরা। এমনই এক চিত্র উঠে আসলো এই গ্রামীন এলাকা থেকে। আগামী দিনে আরও উন্নয়ন হবে গোটা গ্রাম জুড়ে এমনটাই আশা প্রকাশ করেন পূর্ব লক্ষ্মী বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষ।
প্রতিনিধি। ২২শে মার্চ।গুলি কান্ডের ঘটনায় টানটান উত্তেজনা তেলিয়ামুড়ায়! উদ্ধার দুই রাউন্ড কার্তুজ। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন কুইসার টিলা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা রাতে।
ঘটনার বিবরণে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ জানায়, তেলিয়ামুড়া থানাধীন সাউথ পুলিনপুর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস নামের এক যুবক শনিবার সন্ধ্যা রাতে পিস্তল হাতে শশুর বাড়িতে পৌঁছে স্ত্রী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের উদ্দেশ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। গুলির বিকট শব্দ পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসে এলাকার লোকজন। এলাকাবাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ওই যুবক অভিজিৎ দাস। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অভিজিৎ ড্রাগসের নেশায় আসক্ত, সে দীর্ঘদিন ধরেই তার স্ত্রীকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। অবশেষে বিগত কিছুদিন পূর্বে স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা সীমাহীনতায় পৌঁছে গেলে বাধ্য হয়ে স্ত্রী অভিজিতের বাড়ি ছেড়ে তেলিয়ামুড়া থানাধীন কুইসার টিলা স্থিত নিজ পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অভিজিৎ চাইছিল তার স্ত্রীকে পুনরায় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান হয়তো এই উদ্দেশ্যেই অভিজিৎ দাস শনিবার সন্ধ্যা রাতে পিস্তল হাতে কুইসার টিলা স্থিত শশুর বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং এই গুলি কাণ্ড সংঘটিত করে। পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে অভিজিতের কাছে থাকা পিস্তলটি অত্যাধুনিক, তৎসঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
অন্যদিকে এই গুলি কাণ্ডের ঘটনার খবর চাউর হতেই গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।।
প্রতিনিধি, উদয়পুর :-বিগত ২৫ বছরের রাম শাসনে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে কখনো বিধানসভা নির্বাচন আবার কখনো লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পাড় হয়েছিল বামেরা । কিন্তু উন্নয়ন যেন রাস্তায় হারিয়েছিল সেই সময় তা বর্তমানে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে রাস্তার বেহাল অবস্থা চিত্র। বর্তমান সরকারের বিধায়ক অভিষেক দেবরায় মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় লাভ করার পর এই বিধানসভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে জনগণের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবার নিজ বিধানসভার গর্জি শুকনাছড়া এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল এই এলাকার জনগণের চলাফেরার কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করে পাকা রাস্তায় রূপান্তরিত করার জন্য । জনগণের দাবি মেনে দপ্তরের আধিকারিক এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের শাসকদলের বিধায়ক অভিষেক দেবরায়। ঘুরে দেখেন এলাকার কাঁচা রাস্তাটি । দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে বিধায়ক আশ্বস্ত করেন আগামী দিনে এই রাস্তা খুব সহসায় এক উন্নয়নের নতুন চিত্র হয়ে উঠবে বলে তিনি গ্রামবাসীদের কে আশ্বস্ত করেছেন। যেভাবে রাজ্য সরকার চাইছে গোটা রাজ্যকে সুন্দরভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রায়ই সেই মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মানুষকে ভুল বুঝে চলছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিধায়ক অভিষেক দেবরায় ।