মসজিদের জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকায়। আহত এক পরিবারের দুই মহিলা সহ পাঁচজন। আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মিয়াপাড়া এলাকার একই পরিবারের সাত জনের বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই মসজিদে ওই এলাকার দুলাল মিয়া কিছু জায়গার দান করেছিল। তাছাড়া বাকি জায়গা যেগুলি রয়েছে খাস জমি। অভিযোগ ওই এলাকারই আবুল বাশার পরিবার নাকি সেই মসজিদের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছে। যা নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে দুলাল মিয়া বারবার আবুল বাশার পরিবারকে সেই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। অন্যদিকে আবুল বাশার পরিবার সাফ জানিয়ে দেয় সেই জায়গা কারো ব্যক্তিগত নয় ঘাস জমি বলে আমরা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছি। আর তা নিয়ে শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। এদিকে আবুল বাশার পরিবার সে জায়গা ছাড়তে রাজি নই শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকাল বেলা দুলাল মিয়ার পরিবারসহ তাকে জিজ্ঞেস করতে আসলে বাক বিতন্ডা শুরু হয়ে যাই। একটা সময় দুলাল মিয়ার সাথে আবুল বাশার পরিবারের হাতাহাতি রূপ নেই। পরবর্তী সময়ে তার বহিঃপ্রকাশ ঘঠতে থাকে। এদিকে দুলাল মিয়া তার পরিবারের শাহজাহান মিয়া, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মনির হোসেন সহ তার দুই ছেলেকে নিয়ে এসে নাকি আবুল বাশার পরিবারের উপর আক্রমণ চালায়। যার ফলে গুরুতর আহত হয় আবুল বাশার একই পরিবারের মহিলা আমেনা খাতুন ,সালমা খাতুন, কাদির মিয়া এবং বাবুল মিয়া। পরবর্তী সময়ে আহত পরিবারের লোকজনকে নিয়ে আসে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। অবস্থা গুরুতর হওয়াই জিবিপি হাসপাতালে রেফার করা হয়। পড়ে আবুল বাশার পরিবারের পক্ষ থেকে শাহজাহান মিয়া, দুলাল মিয়া, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, এবং মনির হোসেন সহ দুলাল মিয়ার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে যদিও ওই এলাকার সমাজ নিয়ে পরবর্তী সময়ে তা মিমাংশার জন্য সমাজের সকলকে নিয়ে সভা করা হয়। কিন্তু আবুল বাশার পরিবার তা মানতে নারাজ।যা নিয়ে এক প্রকার তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয় ওই এলাকার মধ্যে।
মসজিদের জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কমলাসাগর মিয়াপাড়া এলাকায়।
by admin
written by admin
133
previous post
গাঁজা বিরোধী অভিযানে সাফল্য বিশালগড় থানার পুলিশের।
next post