কল্যাণপুর প্রতিনিধি:
কানাডাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব পুলিশ গেমস ২০২৩এ একাধিক পদকপ্রাপ্ত কল্যাণপুরের সোনার মেয়ে মধুমিতাকে আজ লোটাস কমিডিটি হলে ত্রিপুরা কর্মচারী সংঘ এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী সংঘের তরফ থেকে জমকালো সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।এর আগে উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে এক জমকালো রেলি করে মধুমিতাকে রতিয়া থেকে কল্যাণপুর এর লোটাস কমিউনিটি হল চত্বরে নিয়ে আসা হয়। কল্যাণপুরের লোটাস কমিউনিটি হল আয়োজিত আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে পদক বিজয়িনী মধুমিতা দেব ছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, কল্যাণপুর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, কর্মচারী নেতৃত্ব গৌতম দেব রায়, রাজ্যের বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশিক্ষক স্বপনশীল প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের একেবারে শুরুতেই উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সহ উত্তরীয় এবং পুষ্পস্থবক নিয়ে যাবতীয় বরণ পর্ব সম্পন্ন করা হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান অতিথি বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী মধুমিতা দেবের এই বিরাট সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। বিধায়ক শ্রী চৌধুরী দাবি করেছেন বর্তমানে দেশের সরকার এবং রাজ্য সরকার যথাযথভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্র সহ সার্বিক ক্ষেত্রের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা বা পরিকল্পনা একের পর এক গ্রহণ করে চলেছেন বলে মধুমিতারা একে একে উঠে আসছে। যেভাবে দিনের পর দিন রাজ্য সরকার ২০১৮ এরপর থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়ে রাজ্যের ক্রীড়া ক্ষেত্রের আর্থসামাজিক তথা পরিকাঠামগত উন্নয়নে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে সেই বিষয়ের সুফল ধীরে ধীরে রাজ্যবাসী পেতে শুরু করেছে বলে দাবি বিধায়ক শ্রী দাস চৌধুরীর। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে সংবর্ধনায় আপ্লুত স্বল্পভাষী মধুমিতা দেব তাকে ঘিরে এই উচ্ছ্বাস প্রদর্শন করার জন্য সমগ্র কল্যাণপুরবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি মধুমিতা দেবে দাবি করেছেন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে নারাজ আগামী দিনের দেশের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন কল্যাণপুরের মধুমিতা।
একজন মাতৃশক্তির এহেন জয়জয়কারে এদিন উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কল্যাণপুর প্রেসক্লাব সহ সামাজিক সংস্থা দিনকাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফ থেকেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয় মধুমিতাকে। কল্যাণপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে সম্পাদক রাজিব ঘোষ এবং দিনকাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষে সভাপতি অমলেন্দু দেবরায় উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধিত করেন সোনার মেয়ে মধুমিতাকে। আজকের এই জমকালো অনুষ্ঠান থেকে শুধু একটাই আওয়াজ ওঠে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, সরকারের উৎসাহ এবং সার্বিকভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কল্যাণপুর তথা রাজ্যে আরো আরো অনেক মধুমিতা গড়ে উঠুক। গোটা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলতে কল্যাণপুরের স্থানীয় শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন।