প্রতিনিধি কৈলাসহর:-স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পুনরায় আর জিএম হাসপাতালে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ চালু হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। আজ সন্ধ্যা নাগাদ প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিরঞ্জীব দেবের তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে । মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালে বাম সরকারের আমলে শহরবাসীকে ঘুমে রেখে রাতের অন্ধকারে আর জি এম হাসপাতাল থেকে প্রসূতি বিভাগ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আরজিএম হাসপাতালে সমস্ত পরিষেবা পঙ্গু করে দেওয়া হয়।গত ৫ই অগাস্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে কৈলাসহর ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক ইন্টেন্সিফায়েট মিশন ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন জিবি হাসপাতালের লোড কমাতে হলে প্রতিটা জেলার জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালকে আরো বেশি সক্রিয় করে তুলতে হবে।উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই এই হাসপাতালের লোড অনেক বেশি রয়েছে।সাধারণ কোন রোগের ক্ষেত্রেও ডাক্তার বাবুরা জেলা হাসপাতাল থেকে জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেয়।আগামী দিনে এই প্রবণতা যাতে বন্ধ হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।সেই মোতাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা উদ্বোধনী ভাষণ রাখতে গিয়ে তিনি বলেন এক মাসের মধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠবে মহকুমা হাসপাতালে এবং কিছুদিনের মধ্যেই আরজিএম হাসপাতালে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মেডিসিন বিভাগ সহসাই চালু হবে।কথা দিয়ে কথা রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর সাহা।গত ২৩ শে অগাস্ট স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি নির্দেশিকা বের হলে জেলা হাসপাতাল থেকে আরজিএম হাসপাতালে রেফার করে আনা হয় প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিরঞ্জীব দেব এবং মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার প্রীতম দেবনাথ কে। আজকের সন্ধ্যায় নর্মাল ডেলিভারি হয়েছে আর জিএম হাসপাতালে ডাক্তার চিরঞ্জিব দেবের তত্ত্বাবধানে। কৈলাসহরের বুকে আরজিএম হাসপাতাল পুনরায় চালু হওয়ায় খুশি প্রকাশ করেছেন কৈলাসহরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সমস্ত অংশের মানুষ। কীর্তনতলী এলাকার বাসিন্দা তুলি চৌধুরী প্রসবের পরে তিনি এবং তার নবজাতক সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন।
176