
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-কৈলাসহর কালীপুর এলাকায় অত্যন্ত নিম্ন মানের সরকারি কাজ করার ফলে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে যেতে পারতো। আজকের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কতটা নিম্ম মানের কাজ হলে নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়তে পারে।এখানে উল্লেখ্য যে,পুরপরিষদের ১২ নং ওয়ার্ডের কালীপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয়জলের সমস্যা বিদ্যমান।এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায় এবং পানীয় জল ও স্বাস্থ বিধান দপ্তরের আধিকারিকের কাছে লিখিত ভাবে এবং মৌখিক ভাবে দাবীও জানানো হয়েছিলো একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য।সে মোতাবেক অবশেষে দপ্তরের পক্ষ থেকে কালীপুর এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।কালীপুর এলাকায় বিগত ১ মাস ধরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বিল্ডিং ঘরের কাজ শেষ করে ৭ই জুন বুধবার বিকেলে ঘরের ভিতরে মোটরের মেশিন বসাতে গিয়ে ঘটে যায় এই মারাত্মক বিপত্তি।এমনকি এই বিপত্তির ফলে মৃত্যুও ঘটে যেতে পারতো বলে এলাকাবাসীর অভিমত।এর পেছনে মূল কারন হলো, সরকারি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রনামী দিয়ে ম্যানেজ করে অতি নিম্নমানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের বিল্ডিং ঘর নির্মান করা।যার ফলে ঘরের ভিতরে শ্রমিকরা যখন মোটর মেশিন বসানোর জন্য কাজ করছিলেন সে সময়-ই ঘরের ফ্লোর ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যায়।আর এই পাপের ফলে ঘরের ভিতরে কাজের সময় ধ্বস পড়ে দুই শ্রমিক মাটির নীচে পড়ে যায়।এরপর-ই শুরু হয় পাড়া প্রতিবেশীর চেচামেচি। শ্রমিকদের চিৎকারে এলাকাবাসীরা ছুটে আসে। ভাগ্যিস সেই সময় বিদ্যুৎ ছিলো না।সেইসময় বিদ্যুৎ থাকলে দুই শ্রমিকের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ছিলো বলেই সকলের ধারনা।এই ঘটনার সময় ঠিকাদার কিংবা দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো ইঞ্জিনিয়ার কিংবা দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো আধিকারিক ছিলোই না।এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী দাবী তোলেছেন অবিলম্বে এই বিল্ডিং ঘর ভেঙ্গে পুনরায় দপ্তরের গাইড লাইন মেনে নতুন করে ঘর নির্মান করে মোটরের মেশিন বসানো হউক।কারণ এই ঘরে পুনরায় মেশিন বসানো হলে খুব শীঘ্রই আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে বলে এলাকাবাসীর অভিমত। এখানে উল্লেখ্য যে,এধরনের নিম্মমানের কাজ শুধুমাত্র কালীপুর এলাকায় নয়। প্রতিটি ওয়ার্ডেই কম বেশি রয়েছে।তবে এখন-ই যদি দপ্তর উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ গুলোকে সনাক্ত করে তাহলে বহু প্রান বেঁচে যাবে।