Home » অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে গন্ডাছড়া রইস্যাবাড়ি বাসির।

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে গন্ডাছড়া রইস্যাবাড়ি বাসির।

by admin

প্রতিনিধি,গন্ডাছড়া:- অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে গন্ডাছড়া রইস্যাবাড়ি বাসির। ধলাই এবং গোমতী জেলা লাগুয়া রইস্যাবাড়ী-যতনবাড়ি রাস্তা। এই রাস্তাটি রইস্যাবাড়ি বাসীর লাইফ লাইন হিসেবেও পরিচিত। কারণ এই রাস্তা ধরে খুব কম সময়ে অমরপুর বায়া আগরতলা যাওয়া যায়। শুধু তাই না রইস্যাবাড়ি-যতনবাড়ি রাস্তার মাঝামাঝি রয়েছে তীর্থমুখ। সেখানে ১৯৬৯ সালে তৎকালীন দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ডম্বুর বাদের উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর থেকে তীর্থমুখ বা ডম্বুর পুণ্যার্থীদের পূর্ণ স্থান হয়ে উঠে। প্রত্যেক বছর পৌষ সংক্রান্তিতে তীর্থ মুখে ডম্বুর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যুগ যুগ ধরে বেহাল অবস্থা পরে থাকলেও এতকাল যাবত পূর্বতন কংগ্রেস বা সিপিআইএম সরকারের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। বর্তমান বিজেপি সরকার প্রথমবারের মতো ২০১৮ সালে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে একের পর এক নতুন নতুন রাস্তা তৈরি করছে। বাদ পড়ছে না প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকা গুলিও। এমনই একটি রাস্তা রইস্যাবাড়ি-যতন বাড়ি। ২০২১ সালে যতনবাড়ি পূর্ত দপ্তর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তা সংস্কারে হাত দেয়। দেখা যায় যতনবাড়ি থেকে মন্দির ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে রাস্তার দু’পাশে শত শত গাছ কাটা পড়ে। এরপর বনদপ্তরের আইনি জটিলতার কারণে প্রায় এক বছর রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল। শেষে বনদপ্তরের আইনি সমস্যা কাটিয়ে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কিশোর রায় কাজের গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে রাস্তায় ডিবিএম অর্থাৎ কার্পেটিং এর কাজ চলছে। এমত অবস্থায় যাত্রী সাধারণ এই রাস্তা ধরে খুব কম সময়ে সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারছে। এতে খুশি যান চালক থেকে শুরু করে যাত্রী সাধারন। পাশাপাশি তারা বর্তমান সরকারের উদার মানসিকতার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

You may also like

Leave a Comment