প্রতিনিধি কৈলাসহর:-মৃতদহ নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন বাবুরবাজারে হামলায় নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার ও বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকরা।সংবাদে প্রকাশ শ্রীনাথপুর ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা ফয়ারুন নেছার পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে ওই এলাকায়।অভিযোগ ওই একই এলাকার বাসিন্দা আরমান আলী উনার জায়গাটি জবরদখল করার চেষ্টা করে।উক্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নাই।অভিযোগ গত ১৪ই এপ্রিল শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং যুবরাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত মিলে বাবুরবাজারে একটি সালিশি সভা ডাকে।উক্ত সালিশি সভায় উভয়পক্ষ মারপিটে লিপ্ত হয়ে যায়।এতে করে ফয়ারুন নেছা সহ উনার পাঁচ ছেলে গুরুতরভাবে আহত হয়।যার মধ্যে উনার এক ছেলে জাইফর আলী গুরুতর ভাবে আহত হয়।তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কৈলাশহর ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল থেকে আসাম রাজ্যের শিলচরে রেফার করা হয়। আসাম রাজ্যের শিলচরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৯ এপ্রিল সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।গত ১৪ই এপ্রিল ফয়ারুন নেছার পরিবারের পক্ষ থেকে ইরানি থানায় আরমান আলী সহ মোট দশ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ এ মর্মে আরমান আলী সহ মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করে।পরবর্তী সময় ১৯শে এপ্রিল রাত ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ কৈলাশহর থানায় আসামি গ্রেফতারের দাবিতে অভিনব কায়দায় মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষুব প্রদর্শন করে। মৃতর পরিবার ও বিজেপি দলের নেতৃত্বরা পরবর্তী সময় কৈলাশহর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ ওদেরকে আশ্বাস দেয় যে অতিসত্বর যারা অধরা আসামি রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর মৃতদেহ নিয়ে চলে যাওয়া হয় শ্রীনাথপুর ১নং ওয়ার্ড এলাকায় জাইফর আলীর নিজ বাড়িতে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা কৈলাশহর মহকুমায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
106