প্রতিনিধি, বিশালগড়, ২০ এপ্রিল।। ব্যানার ছিল জন অধিকার সংগ্রাম মঞ্চ। কার্যত হলো বামগ্রেসের রাজনৈতিক মঞ্চ। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদের মুখ ও মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেল। রবিবার বিশালগড় রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জন অধিকার সংগ্রাম পরিষদ। পুলিশের অনুমতি না থাকায় মিছিল বাতিল হয়ে যায়। মাঠেই হয়েছে সভা। লক্ষ্যমাত্রা দশ হাজার থাকলেও উপস্থিতির সংখ্যা আটকে যায় আড়াই হাজারে। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। পার্শ্ববর্তী কমলাসাগর, বক্সনগর, চড়িলাম, উদয়পুর প্রভৃতি এলাকা থেকে সংখ্যালঘুরা সমাবেশে অংশ নেন। অরাজনৈতিক সমাবেশের কথা থাকলেও আড়ালে কল কাঠি নেড়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। সিপিএম কংগ্রেসের ছলচাতুরি আগেই ধরে ফেলেছিলেন বিশালগড়ের সংখ্যালঘুরা । তাই সমাবেশ মুখী হয়নি বিশালগড়ের সংখ্যা লঘুরা। বেলা দুইটাই সমাবেশ শুরু হওয়ার পর আচমকায় সভা মঞ্চে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ভানু লাল সাহা, সিপিএমের মহকুমা সম্পাদক পার্থ প্রতিম মজুমদার, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গোপীনাথ সাহা। মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে মঞ্চে ভাষণ দেন পুরুষোত্তম রায় বর্মন। অন্যদিকে মঞ্চে ছিলেন তিপরা মথার সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। এ নিয়েও গুঞ্জনের অন্ত নেই। এদিকে সংখ্যালঘুদের আন্দোলনে বাম কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ লিখছে করোনা মহামারী সময়ে হিন্দু মুসলমান কারোর পাশেই ছিলেন না সিপিএমের নেতারা। আবার কেউ প্রশ্ন তুলছে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় কোথায় ছিলেন সিপিএম কংগ্রেসের নেতারা ? আবার কেউ লিখছে ওরা অসুবিধাবাদী। যখন যেমন, তখন তেমন। অনেকেই বলছে শান্ত বিশালগড় কে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা। সংখ্যালঘু মোর্চা লিখেছে কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা তাদের রাজনৈতিক পতাকা হাতে নিয়ে সমাবেশে আসলেই পারতেন। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে বিরোধীদলের মাতব্বরিতে অখুশি সংখ্যালঘুরাও। কংগ্রেস সিপিএমের নেতারা যে সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন তা গোপন রেখেছে আয়োজকরা। যদিও বিশালগড়ের সংখ্যালঘু নাগরিকরা তা আগেই টের পেয়েছেন। তাই বামগ্রেসের ফাঁদে পা দেননি। এদিকে অনুমতি না থাকলেও মিছিল করার চেষ্টায় ছিলেন আয়োজকরা। পুলিশ প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন। পুলিশ টিএসআর সিআরপিএফ মোতায়েন ছিল । জল কামান , রাবার বুলেট নিয়ে যুদ্ধ সাজে ছিল পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার রাজিব সূত্রধর, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দুলাল দত্ত, থানার ওসি সনজিত সেন সকাল থেকেই যে কোন অশান্তি এড়াতে প্রস্তুত ছিলেন। জম্পুইজলা এবং আগরতলা থেকেও বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার দায়িত্ব সামলিয়েছেন।
16