প্রতিনিধি। তেলিয়ামুড়া। ১৫ই ডিসেম্বর।তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমণ প্রতিনিয়ত বেরেই চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে হাতি আক্রান্তিত বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে।
একই রকম ভাবে গতকাল শেষ রাতের দিকে উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতে বন্যহাতি তাণ্ডব লীলা সংগঠিত করে। একের পর এক কৃষকের সবজি ক্ষেত থেকে শুরু করে বাড়ি ঘরে প্রতিনিয়ত হাতির আক্রমণ নিত্য নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত রাতের ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যায় একাধিক প্রান্তিক কৃষকের সবজি ক্ষেত গুলো প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, এছাড়াও একাধিক বাড়িতে হাতি রাতের আঁধারে আক্রমণ সংঘটিত করে প্রচুর পরিমাণে ধান যেমন খেয়েছে পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন সামগ্রীও হয়েছে।
এই সংক্রান্ত বিষয়ে এলাকার একাধিক সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তাদের দাবি বিগত প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর যাবত এই হাতির সমস্যা নিরন্তর ভাবে বেড়ে চলেছে, তাদের এটাও দাবি প্রশাসন থেকে একাধিকবার এই সমস্যার সমাধান কল্পে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। একই এলাকার জনৈক মিন্টু ভৌমিকের দু-দুটি গবাদি পশু প্রায় বছরখানেক আগে হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হওয়ার পর এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার উপস্থিতিতে বন দপ্তরের কর্তারা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা করেছিলেন, তবে ক্ষতিগ্রস্ত মিন্টু বাবুর দাবি হচ্ছে প্রায় এক বছর হতে চললেও শুধু আশ্বাস মিলেছে, ক্ষতিপূরণ এখনো পান নি।
অর্থাৎ সবমিলিয়ে দাবি করা যায় যেভাবে প্রতিনিয়ত কৃষ্ণপুর, উত্তর কৃষ্ণপুর সহ তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় হাতির আক্রমণ বেড়েই চলেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, অনতিবিলম্বে প্রশাসনকে কার্যকরী এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে , এমনটাই দাবি এলাকার দলমত নির্বিশেষে সকল অংশের।
আবারো বন্য হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো কৃষক পরিবার।
34