প্রতিনিধি কৈলাসহর:-করোনা কালীন সময়ে মানুষকে বাঁচানোর তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।তাদের সেবা এবং পরিষেবার কারণেই বহু রোগী সুস্থ হয়ে নতুন জীবন পেয়েছেন।তারাই যখন স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদান করতে গিয়ে শারীরিকভাবে আক্রান্ত হন তখন এই লজ্জা গোটা সমাজকেই কলঙ্কিত করে।দা হোপ সংস্থা পরিচালিত ঊনকোটি হাসপাতালে গত রাতে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনার পর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মিলিত হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার রাজীব রায়,ইনটেনসিভ ও ইমারজেন্সি স্পেশালিস্ট ডাঃ হরসিমরন সিং,ডাঃ দ্বৈপায়ন কর্মকার এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সঙ্গিতা বৈদ্য।রাজীব রায় জানান, পানিসাগরের এক গর্ভবতী রোগীকে গতকাল ধর্মনগর হাসপাতাল থেকে রেফার করলে ঊনকোটি হাসপাতালে নিয়ে আসে রোগীর পরিবার। ইমারজেন্সিতে ভর্তি করার পর দেখা যায়,রোগী হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সোনোগ্রাফিতে জানা যায়,তার গর্ভের সন্তান দুদিন আগেই মারা গেছে। চিকিৎসকরা দ্রুত মাকে বাঁচানোর জন্য অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন এবং পরিবারের অনুমতি নিয়ে সার্জারি সম্পন্ন করেন।কিন্তু রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তিনি বিকেল আনুমানিক ৪-৪০ মিনিট নাগাদ মারা যান।
রোগীর মৃত্যুর পর,রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ৫০-৭০ জন উশৃঙ্খল যুবক মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে হামলা চালায়।পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আত্মরক্ষার্থে হাসপাতাল ছেড়ে হাসপাতালের দোতলার একটি ঘরে আশ্রয় নেন।
রাজীব রায় অভিযোগ করেন,উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রোগীর মৃতদেহ রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়েছে।তিনি বলেন, হাসপাতালটি ঊনকোটি জেলায় উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতিদিন বিনামূল্যে ২ ঘন্টা করে বহির্বিভাগ পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে,উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগের মাধ্যমে সেবার মান উন্নত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাসহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।মহিলা কর্মীদের উপর হামলা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে পৃথক মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
এখানে উল্লেখ্য,এই হাসপাতালের মধ্যে ১০০ জন কর্মী তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে সাথে হাসপাতালের পরিষেবার যেমন ক্রমোন্নতি হচ্ছে তেমনি ভাবে ঊনকোটি জেলা তথা অভিভক্ত উত্তর জেলার মধ্যে সবচাইতে বড় মাল্টি স্পেশালিটি এই হাসপাতালে বহিঃরাজ্য থেকেও রোগীরা এখানে এসে পরিষেবা নিচ্ছেন।
হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্তের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন
30
previous post