প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর ও মহাকুমা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মনুভ্যালী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য শিবির এবং প্রশাসনিক শিবির ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়,জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস,ত্রিপুরা শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা। চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন সম্পা দাশ, ভাইস চেয়ারপার্সন বিনয় সিংহ,জেলাশাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা,সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের মেম্বার সেক্রেটারি স্বপন দাস।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল দাস।প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের জেলা পরিদর্শক বিদ্যাসাগর দেববর্মা এবং ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার।আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শতাধিক শিশুর হাতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে। মূলত শিশুদের অধিকার এবং তাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করার উপর সকল বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী মাতৃবন্ধন যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী মাতৃবন্ধন যোজনার মধ্য দিয়ে গর্ভবতী মায়েদের বাচ্চা প্রসবের পর আর্থিক সাহায্য করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন এই রাজ্যের একটা বড় অংশ গর্ভবতী হওয়ার পরও ১৮ বছরের নিচে থাকায় তাদের কোন সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না।তিনি জোর দিয়ে বলেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শুধুমাত্র আইন নয়,পুলিশ নয়,মহকুমা প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসন নয়,সকল নাগরিকদেরকে তাদের সন্তান-সন্ততিদের নজরে রাখতে হবে এবং যৌথ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে তার সচেতনতা বৃদ্ধি করে এই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।তিনি দপ্তরের অধিকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় শিশুদের শেল্টার হাউস থাকলেও উনকোটি জেলার কৈলাসহর কিংবা কুমারঘাটে কোনো ধরনের চাইল্ড শেল্টার হোম নেই।যেহেতু জেলা সদরে জেলা আদালত রয়েছে তাই কৈলাসহরে একটি হোম সেন্টার নির্মাণ হলে অনেকটাই সুবিধা হবে সকলের।এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহাকুমা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রশাসনিক শিবির এবং স্বাস্থ্য শিবিরে হাজারেরও বেশি বাগিচা শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেছেন।
35
next post