Home » লায়ন্স ক্লাবের ব্যাতিক্রমী হাট বাজার

লায়ন্স ক্লাবের ব্যাতিক্রমী হাট বাজার

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে চা বাগান শ্রমিকদের মন জয় করে নিয়েছে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব। তাদের যৌথ উদ্যোগে শারোদৎসবের প্রাক মূহুর্তে হাসি ফুটিয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ হাজারের উপর বাগান শ্রমিক,গরিব ও দুস্থদের মধ্যে।পুজো শুধু শহরের নয়,গ্রামের ও বটে। পুজো শুধু আমার আপনার নয়,ওদের ও বটে।ঠিক এই ভাবনাকে সামনে রেখে রবিবার চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ কর্মসুচি মেগা লায়ন হাট বাজার ও পূজার আহার ২.০।সকাল ৯টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও অনুষ্ঠান চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। মোট বারটি স্টলে শিশু থেকে বৃদ্ধ,পুরুষ থেকে মহিলা সবার জন্য ছিল নতুন বস্ত্র। শিশুদের নতুন খেলনা,জুতা, ঘরে ব্যাবহারের জন্য বিভিন্ন রকমের সামগ্রী,মেয়েদের জন্য কসমেটিক্স,বাসনপত্র সহ একাধিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়।সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের পছন্দ মত জিনিস নিতে পেরেছে আজ বাগান শ্রমিকরা।দ্বিতীয় বারের মত কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাব এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অভিনব এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে হালাইছড়া টি ই সিনিয়র বেসিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন যেন মিলন মেলায় পরিণত হয়। নিজের পছন্দের নতুন বস্ত্র, গৃহস্থের সামগ্রী,খেলনা, সাজগোজের জিনিস নিয়ে বাড়ি ফেরার যে তৃপ্তি ও আনন্দ তা প্রতিটি বাগান শ্রমিক ও পশ্চাদপদ অংশের মানুষের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। আকাশ বাতাস মুখরিত হয়েছে বাচ্চাদের বাঁশি ও নানান খেলনার সুমধুর শব্দে।শুধু তাই নয় সকলের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরনের আইটেম দিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা।যার নাম দেওয়া হয়েছে পূজার আহার।অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায়।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা শাসক দিলীপ কুমার চাকমা,লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর রাজেশ আগরওয়াল,কেবিনেট সেক্রেটারি দিলীপ কুমার সরব,ডেপুটি কেবিনেট সেক্রেটারি তাপস সাহা, কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি সুপ্রিয় দেবরায়, সম্পাদক প্রাণতোষ রায়, সার্ভিস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সঞ্জীব চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব ও লিও ক্লাবের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মন্ত্রী টিংকু রায় সহ অন্যান্য অতিথিরা। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি মন্ত্রী টিংকু রায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ঝা-চকচকে শহরের কোলাহল থেকে হালাইছড়া গ্রামে সত্যিকার অর্থে যাদের দিন আনতে পান্তা ফুরায় ঠিক তাদের কাছে গিয়ে তাদের পাশে থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসবে সকলের মধ্যে একরাশ হাসি ফোটাতে আনন্দে মেতে উঠতে লায়ন্স ক্লাব অব কৈলাসহর ও লিও ক্লাবের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।প্রতিদিন বন্যা কবলিত এলাকা থেকে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতেও অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান,বিনামূল্যে এম্বুলেন্স পরিষেবা সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।স্বাস্থ্য শিবির,চক্ষু অপারেশন শিবির,রক্তদান, সচ্ছ ভারত অভিযান,বৃক্ষ রোপন সহ বিপর্যয় কিংবা আনন্দের অনুষ্ঠান সর্বদাই সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করে কৈলাসহর লায়ন্স ক্লাব।

You may also like

Leave a Comment