ধর্মনগর প্রতিনিধি। পানিসাগর কেবিকে সেন্টারের ইনচার্জ এবং ডাইরেক্টর এর দায়িত্বে রয়েছেন ডক্টর সৌমেন্দ্র কুমার। তিনি জানিয়েছেন বর্তমান কালো মুরগি অর্থাৎ কোরকনাথ নিয়ে বিশেষ সাক্ষাৎকার। এ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে ১২৪টি দিয়ে করোনা পিরিয়ডের ঠিক সময় এই কোরকনাথের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। মহিলা যেগুলি কালো মুরগি রয়েছে এগুলি এক কেজি, পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ওজন এক কেজি থেকে দেড় কেজি হয়। প্রতিটি মুরগি এক হাজার টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তাছাড়া বাস্তবে প্রতিটি মুরগির ডিমের মূল্য 15 টাকা অনায়াসে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ২৫ শতাংশ কম প্রোটিন রয়েছে, ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল নেই বললেও চলে। যেখানে বয়লার মুরগি প্রতিটিতে ১৭ থেকে ১৮ গ্রাম প্রতি কেজিতে প্রোটিন রয়েছে সেখানে ২৫% কম প্রোটিন রয়েছে এই মুরগিতে। বিশেষ কোন ধরনের যত্ন করতে হয় না সাধারণভাবে মুরগিদের যথাসময়ে ভ্যাকসিন টা ঠিকমত দিলেই সারে। সাধারণ ঘরের মুরগির মত এ মুরগির চাষ কৃষকের একান্ত প্রয়োজন এবং একান্ত নিজের। এখন ইদানিং গরম হয়েছে তাই ১০০ টা মুরগি থাকলে দুইটা ফ্যান চালিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাছাড়া জলের স্পে দেওয়া যেতে পারে। গরমের সময়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোলাইট দেওয়া যেতে পারে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। প্রতিবছর আড়াইহাজার থেকে ৩০০০ মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কে বি কে এর ডাইরেক্টর ডক্টর সৌমেন্দ্র কুমার। প্রতিটি মুরগির বাচ্চার দাম ১২০ টাকা আবার যদি ২৮ দিনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে প্রতিটি মুরগির দাম ১৫০ টাকা দাঁড়ায়। এখন পর্যন্ত 100 জন কৃষক কেভিকের এই কোরকনাথ জাতীয় মুরগির দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। এই মুরগির মাংসের কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় যারা হার্টের রোগীরা এবং কোলেস্টেরল রোগীরা মাংস খেতে সম্পূর্ণ বাধা-নিষেধ রয়েছে তারাও এই মুরগির মাংস সেবন করতে পারবেন বলে কেভিকে এর ডাইরেক্টর জানিয়েছেন।
166
previous post