৭শে মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস গোটা বিশ্বের নাট্য শিল্পীরা উদযাপন করে থাকেন।নতুনতর ধারায় এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই শিল্পীদের এই অভিযাত্রা।কৈলাসহরের তিনটি নাট্য সংস্থা নির্ঘোষ নিক্কন,রেনেসা এবং সন্দীপন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডে উদযাপন করা হয় বিশ্ব নাট্য দিবস।সময়ের দাবীতে তিনটি সংস্থা এক হয়ে যৌথ নাট্য মঞ্চের মাধ্যমে বিশ্ব নাট্য দিবস পালন করেছে।যা এর পূর্বে কৈলাসহরে হয়তো এমনটা হয় নি।তবে নাট্য শিল্পীদের এই সংঘবদ্ধ উদযাপন অনুপ্রাণিত করেছে আগামী প্রজন্মকে।গাছে জল সিঞ্চন করে সূচনা হয় অনুষ্ঠানের।বিশ্ব নাট্য দিবসের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়,বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী অসীম চক্রবর্তী,সন্দীপন সংস্থার কর্নধার অরিন্দম চক্রবর্তী এবং কৈলাসহর প্রেস ক্লাবের সম্পাদক সুকান্ত চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাট্য কর্মী সুমন দে।যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই শহরের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম দিকপাল,যাদের আলোয় আলোকিত হয়েছে নাট্য অঙ্গন তাদের মধ্যে নারায়ন দেবনাথ,নারায়ন দাস,বিমান দাম,মৈত্রেয়ী দাম ও অরিন্দম চক্রবর্তী এই পাঁচজন নাট্য শিল্পীকে সংবর্ধিত করা হয়।বর্তমান সমাজে নাটকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন অতিথিরা।বর্তমান প্রজন্ম মুঠোফোনে আসক্ত আর তাই হয়তো নাটক দেখার প্রতি তাদের আগ্রহটা অনেকটাই কমে যাচ্ছে।তাই বর্তমান প্রজন্মকে নাটকের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করতে হবে।কেননা নাটক হল সমাজের দর্পণ।প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে অমরজিৎ সরকার এবং শুভাশিস চৌধুরীর নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত হয় নাটক “দ্য লাষ্ট হোপ”।মূলত আজকের যুবসমাজ যেভাবে নেশায় আসক্ত হয়ে ধংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তার ওপর গুরাত্বারোপ করেই অনুষ্ঠিত হয় “দ্য লাষ্ট হোপ”।যুব সমাজকে নেশা থেকে সরে এসে একটি সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ নিয়ে বাঁচার বার্তা দেয় এই নাটক।ছোট্ট পরিমন্ডলে এই অনুষ্ঠান নজর কেড়েছে সকলের।
যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে উদযাপিত বিশ্ব নাট্য দিবস
যৌথ নাট্য মঞ্চের উদ্যোগে উদযাপিত বিশ্ব নাট্য দিবস
by admin
written by admin
158
previous post