Home » বিশালগড় গোলাঘাটিতে সাংগঠনিক সভা করেন প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব

বিশালগড় গোলাঘাটিতে সাংগঠনিক সভা করেন প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১৪ মার্চ।। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা দিয়ে সারা দেশে বেশ এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। দিশেহারা বিরোধী শিবির। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব প্রতিটি বিধানসভায় সাংগঠনিক বৈঠক করে রণকৌশল স্থির করে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিশালগড় এবং গোলাঘাটিতে সাংগঠনিক বৈঠক করেন বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গোলাঘাটি মন্ডলে। গোলাঘাটি কমিউনিটি হলে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় বিজেপির পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদিকা মৌসুমি দাস, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ। প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব দলের কার্যকর্তাদের পরামর্শ দেন সকল ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রণাম সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলো সাধারণ মানুষের কাছে অতি সহজে পৌঁছে গিয়েছে। বিগত সরকারের অন্যায় অত্যাচারের কথা সকল ভোটারদের কাছে বলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিতে সকলের প্রতি আহবান জানাতে হবে।
দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় বিশালগড়ে। বিশালগড় টাউন হলে আয়োজিত কার্যকর্তা বৈঠকে প্রার্থী বিপ্লব দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা যুব মোর্চার প্রদেশ সভাপতি সুশান্ত দেব, জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, বিশালগড় পুর পরিষদের চেয়ারম্যান অঞ্জন পুরকায়স্থ প্রমুখ। ভাষণে বিপ্লব দেব বলেন ২০১৮ সালে সামান্য ভুলের কারণে বিশালগড়ে বিজেপি জয়ী হতে পারেনি। তৎকালীন প্রদেশ সভাপতি হিসাবে নির্বাচনের পাঁচ দিন আগে প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কিন্তু ২০২৩ সালে পরিবর্তন করে দেখিয়েছে কার্যকর্তারা। এবার লোকসভা নির্বাচনে আরও মানুষের সমর্থন পাওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন বিগত বামফ্রন্ট সরকার যুব শ্রমিক মহিলা কৃষক বয়স্কদের জন্য একটি প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপি মহিলাদের চাকরি ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে। পার্লামেন্টে সংরক্ষণ দিয়েছে। চার লাখ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং রোজগার করছে। বয়স্কদের ভাতা দুই হাজার টাকা করেছে। কৃষকদের উৎপাদিত ধান ক্রয় করছে সরকার। কৃষাণ সম্মান নিধি পাচ্ছে কৃষকরা। কর্মচারীদের চতুর্থ কমিশনে আটকে রেখেছিল সিপিএম। বিজেপি সপ্তম পে স্কেল দিয়েছে। ২৫ শতাংশ ডিএ পেয়েছে। যুবকদের বিকল্প রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে সরকার। পানীয় জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর ইত্যাদি প্রকল্প সকল পরিবারে পৌঁছে যাচ্ছে। পঁচিশ বছরে মানুষকে পানীয় জল দিতে পারেনি। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই দিতে পারেনি সিপিএম। শুধু বিভাজনের রাজনীতি, চাঁদা সংস্কৃতি, সন্ত্রাস ইত্যাদি অনৈতিক কাজ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অত্যাচার করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। এগুলো মানুষকে মনে করিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন কার্যকর্তাদের। তিনি বলেন এবার সারা দেশে নয়া রেকর্ড তৈরি হবে। আরও বেশি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদি। ত্রিপুরায় দু’টি আসনে বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে। সভা শেষে বিরোধী দলের বিশাল সংখ্যক সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। নবাগতদের বরণ করেন বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব এবং বিধায়ক সুশান্ত দেব।

You may also like

Leave a Comment