Home » পুরানো কথাকে ধরে রাখলে খুশি উধাও হয়ে যায়

পুরানো কথাকে ধরে রাখলে খুশি উধাও হয়ে যায়

by admin

পুরানো কথাকে ধরে রাখলে খুশি উধাও হয়ে যায়। কোন কথা, ঘটনা, সিনকে মন বুদ্ধিতে ধরে রাখলে আলসার, এসিডিটি, ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি অসুখ আসবে , টেনশন বাড়বে। এর থেকে বাঁচার জন্য এই দৃঢ় সংকল্প করুন – “ছেড়ে দাও – ছেড়ে দাও , কোনো কথা নয়, আগে বাড়তে থাকো।” নিজেকে বোঝান। জীবনের লক্ষ্য হলো প্রেম, খুশি, আনন্দ। ধরে যদি রাখেন তাহলে ঈশ্বর যে সুযোগ দিচ্ছেন তার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন না। উক্ত কথা ইন্দোর থেকে আসা প্রখ্যাত টেনশন মুক্তি বিশেষজ্ঞা ব্রহ্মাকুমারী পুনম বেহেনজী ( সি. এস) প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয়, জ্ঞানদর্পণ ভবন, ধর্মনগর শাখার দ্বারা আয়োজিত “বিদায় টেনশন ” নিঃশুল্ক শিবিরের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে বলেছেন। আপনি আগে বলেছেন যে খুশিতে থাকার জন্য মূল কথা এটা স্মরণে থাকে যে সুখ – দুঃখ , মান – অপমান , স্বাস্থ্য বা ব্যাধিগ্রস্ত শরীর — তার থেকেই খুশিতে থাকার জন্য রাস্তা বের করতে হবে। নিজের খুশির রিমোট অন্যকে দেবেন না। খুশি হলো দুনিয়ার সবথেকে বড় সম্পদ। এটা এমন এক সম্পদ যাকে আপনি টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। খুশিকে ডাক্তাররা ঔষধও বলেন কারণ মনের খুশি ঔষুধের কাজ করে। মন খুশিতে থাকলে শরীরে ইনডরফিন হরমোন নির্গত হয় যার ফলে ঘুম ভালো আসে, মন শান্ত থাকে, উৎসাহ- উদ্দীপনা বজায় থাকে।
ব্রহ্মাকুমারী পুনম বেহেনজি আজকের দিনকে “খুশির উৎসব” এর রূপে পালন করে সর্বদা খুশিতে থাকার জন্য আজকের স্পিরিচুয়াল ইনজেকশন ( মন্ত্র ) দিয়েছেন – ” আমি হলাম খুশির সাগর পরমাত্মার সন্তান, খুশির খাজানার মালিক। যতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকবো খুশিতে থাকতেই হবে।” এর স্পষ্টীকরণ করে উনি বলেছেন যে নাম , পদ , টাকা, সম্পর্ক ইত্যাদি দ্বারা স্বল্পকালীন খুশি প্রাপ্ত হয়। সত্য, অবিনাশী, আন্তরিক খুশি তো শুধুমাত্র অবিনাশী পরমাত্মার সঙ্গে যুক্ত হলেই প্রাপ্ত হয়। পরমাত্মা হলেন খুশির সাগর , দাতা। বাচ্চা হলো বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী। পরমাত্মার বাচ্চা হওয়ার জন্য আমরাও খুশির খাজানার মালিক। উনি নিজের ২৫ বর্ষের আধ্যাত্মিক জীবনের অনুভব থেকে বলেছেন যে যদি আমরা মন্ত্রকে ১০৮ বার অনুভবের সাথে ২১ দিন লিখে নেই তাহলে বড় – বড় ডিপ্রেশনের কেস ঠিক হয়ে যায়। নিজেকে নিজেই বোঝাতে হবে যে পরিস্থিতি – সমস্যা থেকেও আমি হলাম অধিক শক্তিশালী কারণ আমি সর্বশক্তিমান পরমাত্মার সন্তান। সময় হলো পরিবর্তনশীল। কথা এসেছে তো চলেও যাবে। উনি সকলকে পাক্কা প্রমিসও করিয়েছেন যে ” সর্বদা খুশি থাকবো, আর খুশি বাটবো।” কারণ খুশি বাটলেই বাড়ে।
উনি কার্যক্রমের শুরুতে মনোবল বাড়ানোর একটি গীত – “তোকে চলতে হবে …… ” সকলকে ড্যান্স করিয়েছেন, হাততালি বাজিয়েছেন। তারপর যোগ কমেন্ট্রি এবং ভিডিও দৃশ্যের মাধ্যমে পরমাত্মা পিতার খুশির ঝর্নাকে নিজের মধ্যে প্রবাহিত করার আর নিজের চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃষ্টিগোচরের দ্বারা সকলকে অনেক সুন্দর এবং গহন অনুভূতিও করিয়েছেন। শেষে ছোট – ছোট বাচ্চাদের বেলুন হাতে নিয়ে খুশির ড্যান্স করানো হয়েছে যাতে সকল উপস্থিত জনতারাও অংশগ্রহণ করেছেন। “বাঁচতে হলে হেসে বাঁচো….., “পাখি হয়ে উড়তে থাকি……” ও “আজকের থেকে পূর্বে আর আজকের থেকে বেশি…..” আদি গানের সঙ্গে ড্যান্স করে চারিদিকে খুশির প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়েছেন। সবশেষে কি চিন্তা করতে হবে – “যা হবে দেখা যাবে …….” গানে সর্বদা খুশিতে থাকা এবং খুশি বাটার জন্য দৃঢ়তার সাহায্যে পাক্কা করানো হয়েছে।
আগামীকাল নিজের পরিচয় সম্পর্কে বলা হবে এবং সমস্ত ধর্মনগরবাসীদের এই শিবিরে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আজকের দিনের কার্যক্রমে হাজারের থেকে বেশি সংখ্যকেরা লাভ নিয়েছেন।

You may also like

Leave a Comment