Home » ত্রিপুরা সরকারের বনদপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার গন্ডাছড়ায় দ্বিতীয় তম পরিযায়ী পাখির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

ত্রিপুরা সরকারের বনদপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার গন্ডাছড়ায় দ্বিতীয় তম পরিযায়ী পাখির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

by admin

প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া ৩০ ডিসেম্বর:- ত্রিপুরা সরকারের বনদপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার গন্ডাছড়ায় দ্বিতীয় তম পরিযায়ী পাখির উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এদিন ডুম্বুর জলাশয়ের নারিকেল কুঞ্জে অনুষ্ঠিত উৎসবের শুভ সূচনা করেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুম্বুরনগর ব্লক চেয়ারম্যান প্রেম সাধন ত্রিপুরা, রইস্যাবাড়ি ব্লকের ভাইস চেয়ারম্যান কস রঞ্জন ত্রিপুরা, রইস্যাবাড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ বনদপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকগণ। এছাড়া এদিন ৮টি জে এফ এম সি এবং ১৭টি এস এইচ জি গ্রুপের মহিলাদের ১৭ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হয়। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন পরিযায়ী পাখিগুলো ত্রিপুরা বা ভারতের না। ত্রিপুরা রাজ্যসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বিদেশ থেকে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে আবার একটা সময় পাখিগুলো চলে যায়। বাড়ি ঘরে মানুষ যেমন অতিথি হিসেবে আসে তেমনি পাখিরাও। পরিযায়ী পাখি গুলো দেখতে সুন্দর। তিনি বলেন প্রকৃতিতে তার ভারসাম্য থাকা দরকার। বন, জঙ্গল, প্রকৃতি এবং মানুষ সামাজিক। মনুষ্য সমাজে তাদের একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের মধ্যে যদি ভারসাম্য হারিয়ে যায় তাহলে মনুষ্য সমাজের পাশাপাশি প্রকৃতিরও বিপর্যয় নেমে আসে। তিনি বলেন পাকিস্তানের অনেক কীটপতঙ্গ ভারতে এসে ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি করে। আর কীটপতঙ্গ গুলিকে খাওয়ার জন্য পাখি দরকার। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় পাখি,পশু, জন্তু জানোয়ারের শিকার হয়। কারণ মানুষ মাংস খাওয়ার লোভে তাদের হত্যা করে। অনেকে আবার কারণে-অকারণেও শিকার করে। তিনি বলেন সবাই মিলে পশু পাখির শিকার বন্ধ করতে হবে। এদিন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বনদপ্তরের এই ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

You may also like

Leave a Comment