প্রতিনিধি মোহনপুর:-রাজ্য সরকারের নেশা মুক্ত ত্রিপুরার আহবানে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবুটিয়ার হরেন্দ্র নগর বাজার বস্তি এলাকায় গোরঙ্গ মহাপ্রভুর অষ্টপ্রহর নাম যজ্ঞ মহোৎসব সম্পন্ন হল জুয়া ও নেশা মুক্তভাবে।বিগত দু’বছর স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই উৎসবকে ব্যবহার করে জুয়া ও নেশার মাধ্যমে অর্থ কামাই করেছে। যার বিরুদ্ধে এবছর স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং নেশা ও জুয়া মুক্ত এই হরিনাম সংকীর্তন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।
বামুটিয়া বিধানসভা এলাকার অতি প্রাচীন একটি চা বাগান হরেন্দ্র নগর। এই চা বাগানের একটি অংশ বাজারটিলা বা বাজার বস্তি। বিগত তিন বছর যাবত বিশেষ করে চা বাগান এলাকার মানুষ এবং স্থানীয় অন্যান্য জনগণরা যৌথভাবে এই হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করে আসছেন। কিন্তু দেখা গেছে বিগত দুবছর স্থানীয় কতিপয় মুখোশধারী ভদ্রলোক এই হরিনাম সংকীর্তনকে ব্যবহার করে জোয়া ও নেশার মাধ্যমে নিজেদের মুনাফা হাসিল করেছে। উৎসব কমিটির কোষাধ্যক্ষ নিতু তাঁতি বলেন বিগত দিনে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উৎসব কমিটির সম্মতির বিরুদ্ধে গিয়েই উৎসবকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে নেশা ও জোয়ারিদের কাছ থেকে অর্থ কামাই করেছে। এবছর স্থানীয় জনগণ এই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। শুরু থেকে স্থানীয়রা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করে কোন ধরনের জুয়া খেলা বা নেশা বাণিজ্য এই এলাকায় হতে দেওয়া যাবে না। এরপরই এই উৎসবকে বানচাল করার জন্য উক্ত স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীরা বহু জায়গায় হাত-পা চালিয়েছে। কিন্তু অবশেষে সবার সহযোগিতায় স্থানীয়দের ইচ্ছা অনুসারেই নেশা ও জুয়া মুক্তভাবে সম্পন্ন হল হরিনাম সংকীর্তন। উৎসব কমিটির সম্পাদক জীতেন নায়েক বলেন এই এলাকায় নেশা ও জুয়া মুক্তভাবে হরিনাম সংকীর্তন করার ক্ষেত্রে শাসকদল বিজেপি এবং নেতৃত্বরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি সাধারণ চা বাগান এলাকায় নেশা এবং জুয়া খেলার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করে যেভাবে একটি প্রতিবাদের বার্তা দিয়েছে তা আগামী দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয়রা।
নেশা এবং জুয়ার বিরুদ্ধে হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে প্রতিরোধ হরেন্দ্র নগর চা বাগানে
110