Home » ৪৩ বছর বয়সে চিরতরে দুই সন্তানকে রেখে ঘুমিয়ে গেলেন ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ম্যানেজার মানস সিংহ।

৪৩ বছর বয়সে চিরতরে দুই সন্তানকে রেখে ঘুমিয়ে গেলেন ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ম্যানেজার মানস সিংহ।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি। অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। এমন দুঃসংবাদ প্রকাশের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার জ্বলেবাসা গ্রামের গর্বের সন্তান মানস সিংহ। বয়স মাত্র ৪৩ বছর। ত্রিপুরা স্টেট কোপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের ধর্মনগর শাখায় সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত ২৬ মে ২০২৪ গলব্লাডার স্টোন পিনহোল অপারেশনের জন্য শিলচর ভ্যালি হাসপাতালে ভর্তি হন। গলব্লাডার স্টোন ছাড়া অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতা ছিল না। গতকাল ২৮ মে রাতে যথারীতি পিনহোল অপারেশন হয়। অপারেশনের পরও ভালোই ছিলেন। কিন্তু আজ ২৯ মে সকাল সাতটা নাগাদ হঠাৎ শরীরটা ভীষণ খারাপ হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা এসে সাথে সাথে আইসিইউ’তে নিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চিকিৎসকরা আর শেষ রক্ষা করতে পারেননি। সকাল আটটা নাগাদ তার নিথর দেহ আইসিইউ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
ইতিমধ্যে প্রয়াত মানস সিংহ ‘র শবদেহ নিয়ে পরিবার পরিজনরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। বেলা ৩টার মধ্যে শবদেহ বাড়ি পৌঁছে যাবে বলে আশা করা যায়। পরিবার সূত্রে জানা গেছে জ্বলেবাসাতেই আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
অত্যন্ত সহজ সরল অমায়িক স্বভাবের মানস সিংহ ‘র মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।
মানস সিংহ মৃত্যুকালে রেখে গেছেন মাতা-পিতা, স্ত্রী, ১০ বছর ও ১৩ বছরের দুই নাবালক পুত্র সন্তান, এক বিবাহিতা বোন সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধু -বান্ধব , সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী।
মানস সিংহ ‘র মা সুরধনী সিংহ বর্তমানে জ্বলে বাসা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
মানস সিংহ ছিলেন TSCBEU -এর সদস্য।পিতা নীলকান্ত সিংহ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। কর্মরত অবস্থায় TGEA অবিভক্ত ধর্মনগর মহকুমা এবং পরবর্তী সময়ে পানিসাগর মহকুমা কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সিপিআই(এম) পানিসাগর মহকুমা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। বয়সজনিত কারণে পরবর্তী সময়ে মহকুমা কমিটি থেকে অব্যাহতি নেন।
মানস সিংহ ‘র অকাল প্রয়াণে পরিবার যেমন হারালো তাদের প্রিয় সন্তান ও প্রিয়জনকে। সমাজ হারালো একজন দায়িত্বশীল সমাজসেবী কে।
ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড হারালো তাদের একজন দক্ষ সৎ নিষ্ঠাবান অফিসার কে। ব্যাংকের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মচারীরা হারালো তাদের একজন প্রিয় সহকর্মীকে।

You may also like

Leave a Comment