Home » দপ্তরের আধিকারিকদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের কাজকরার অভিযোগ উঠলো ঠিকেদার কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে।

দপ্তরের আধিকারিকদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের কাজকরার অভিযোগ উঠলো ঠিকেদার কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে।

by admin

প্রতিনিধি শান্তির বাজার: রাজসরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে স্বচ্ছতার বজায়রেখে কাজকরে এলাকার উন্নয়নকরতে। এরইমধ্যে শান্তির বাজার মহকুমায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমের রাস্তা নির্মানের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজকরেযাচ্ছে। এই প্রকল্পের মধ্যে শান্তির বাজার মহকুমায় দুইটি কাজের রাস্তা নির্মানের বিভিন্ন অভিযোগ উঠেআসছে। দুইটি কাজের দায়িত্ব পান ঠিকেদার কিশোর রায়। যারমধ্যে এন এইচ ০৮ টু ( মধ্য পাড়া বাজার ) টু কলসী রোড ( মাইছাফ্রু মগ পাড়া বাজার ) ভায়া নাজিরাই পাড়া বাজার পর্যন্ত ১০পয়েন্ট ১৩৯ কিমি রাস্তা নির্মান করাহচ্ছে। রাস্তা নির্মানের কাজ খুবই নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বিগত কিছুদিন পূর্বে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও জোলাইবাড়ী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রবি নমঃ এই রাস্তা নির্মানের কাজ পরিদর্শন করেন। উনারা দেখতে পান রাস্তাটি গুনগত মান বজায় নারেখেই কাজকরাহচ্ছে। এইবিষয়ে উনারা ঠিকেদারকে অবগত করেন। কিন্তু দেখাযায় ঠিকেদার নিজের প্রভাব কাটিয়ে কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য আধিকারিককে অর্থের বিনিময়ে ক্রয়করে নিম্নমানের কাজকরে যাচ্ছে এমনটাই অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানান এই বিষয়ে দপ্তরের আধিকারিকদের জানিয়েও কাজের কাজ কিছুইহয়নি। উনারা এও জানান কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকেদার কিশোর রায়কে নাপেয়ে উনারা মেনেজারের নিকট জানতে চাইলে মেনেজার জানান এই কাজদেখাশুনা করছেন গৌতম চৌঁধুরী নামে এক ব্যক্তি। তিনি বিলোনিয়ায় থাকেন। এলাকাবাসীর কোনোপ্রকারের অভিযোগ থাকলে বিলোনিয়ায় গিয়ে গৌতম চৌধুরীর নিকট সাক্ষাৎকার করতেন। অবশেষে এলাকাবাসী হতাশাগ্রস্থহয়ে কাজের গুনগতমান বজায় রাখতে সংবাদমাধ্যমের দারস্ত হন। উনারা সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিন হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করে জানান যাতেকরে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে স্বচ্ছতার সহিত গুনগতমান বজায়রেখে কাজটি করাহোক। অপরদিকে একই ঠিকেদার কিশোর রায় শান্তির বাজারে অপর একটি একই প্রকল্পের কাজ এন এইচ ০৮ টু আনন্দ দাস পাড়া যাতায়তের ৮ পয়েন্ট ৩৫৬ কিঃ মিঃ রাস্তা নির্মান করেন। এই রাস্তা নির্মানের সাইনবোর্ড লাগানো হলেও অর্থরাশি লেখাহয়নি। এই রাস্তা নির্মানে বিভিন্ন জায়গায় সাইডওয়াল দেওয়ার কথা থাকলেও সল্পব্যায়ে অধিক মুনাফার লক্ষ্যে সাইড ওয়াল নির্মান নাকরাতে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার চিত্র পরিদর্শনে আসেন কাজের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার প্রেমরঞ্জন বিশ্বাস। উনার কাছথেকে কাজের গুনগতমানের কথা জানতেচাইলে তিনি কোনোপ্রকার সৎউত্তর দিতে পারেননি। এই কাজের জন্য কত টাকা অর্থব্যায় করাহয়েছে তা জানতে চাইলেও তিনি সঠিককোনো উত্তর দিতেপারেননি। একপ্রকার বলাচলে সকলে ঠিকেদার কিশোর রায়ের কাছে বিক্রিহয়ে নিম্নমানের কাজে সহযোগীতার হাত বারিয়ে দিচ্ছে। এতেকরে ঠিকেদার সহ কিছু সংখ্যক লোকজনের পকেট ভারীহচ্ছে ও কাজের গুনগতমান নিম্ন মানের হচ্ছে। মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া কোনোপ্রকার অন্যায়কে পশ্রয় দেননা। বিগতদিনেও উনাকে বিভিন্ন কাজের গুনগতমান বজায়রেখে কাজ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যেতে দেখাগেছে। এখন সকলে আশাবাদী ঠিকেদার কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রী শুক্লাচরন নোয়াতিয়া ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনকরবেন।

You may also like

Leave a Comment