প্রতিনিধি, বিশালগড় , ২৫ এপ্রিল ।।
বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত ডোমের অমানবিক জুলুমের শিকার হয়েছে মৃত ব্যাক্তির পরিবার। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে। মৃতের পরিবারের কাছে বেআইনী ভাবে তিন হাজার টাকা দাবি করে ডোম।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অমানবিক ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। জানা যায়, ঘনিয়ামারা এলাকায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে ব্যবসায়ী বিষ্ণু ঘোষ। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তনিষ্ঠা চৌধুরীর উপস্থিতিতে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়ার সময় ডোমের অমানবিক আচরণ শুরু হয়। পরিবারের কাছে ৩০০০ টাকা দাবি করে ডোমের দায়িত্বে থাকা অনন্ত দাস ও উনার ছেলে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় মৃতদেহ আটকে রাখে। শেষে তিন হাজার টাকা ডোমের হাতে দিয়ে লাশ নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে বিধায়ক সুশান্ত দেবের হস্তক্ষেপে ময়দানে নামে প্রশাসন। মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সদস্য এবং ডোম অনন্ত দাসকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মহকুমা হাসপাতালে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব, মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জে এম দাস, ওসি রানা চ্যাটার্জি। বৈঠকে নিজের ভুল স্বীকার করে মৃত ব্যাক্তির পরিবারের হাতে তিন হাজার টাকা ফেরত দেয় ডোম অনন্ত দাস। বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব জানান, এই ঘটনা নিন্দনীয়। বিশালগড়ের বদনাম করার সুযোগ কেউ পাবেনা। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে নজরদারি রাখবে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তিনি আরও জানান মাত্র পাঁচশ টাকার বিনিময়ে কাজ করে ডোম। ডোমের সাম্মানিক কিছুটা বাড়ানো যায় কি-না সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।
বিধায়কের হস্তক্ষেপে মৃতের পরিবারের হাতে টাকা ফেরত দিলেন ডোম
102
previous post