43
- উদয়পুর, ২৪ ডিসেম্বরঃ ২০২৪ ঃ- গোমতী জেলায় মোটর শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, বালি শ্রমিক, পশু খামার যাদের রয়েছে বা সেখানে যারা কাজ করেন তাঁদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিসিজি টিকা দেওয়া হবে। যক্ষ্মা রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে বলতে গিয়ে গোমতী জেলার টিবি আধিকারিক ডাঃ শৌমিক চক্রবর্তী যুক্তি দিয়ে বলেন যে নির্মাণ বা বালি শ্রমিকরা বালু নিয়ে কাজ করেন। যেখানে সিলিকাস কনা থাকে। এই ক্ষুদ্রকনা ফুস্ফুসে গিয়ে সিলিকোসিস তৈরি করে। তখন টিবি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রোগাক্রান্ত গভাদি পশুর শরীরে বোবাইন টিবির জীবানু থাকে যা মানুষের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। আজ জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে চিকিৎসকের কাছ থেকে যক্ষ্মা রোগের ব্যাখ্যা শুনে গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি দেবল দেব রায় আজ সব জেলার সব জন প্রতিনিধি, শ্রমিক সংঘটন, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী এবং কৃষক বন্ধুদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বিসিজি টিকা দেওয়নোর জন্য উদ্যোগী হতে আহ্বানও জানান। জেলার সভাধিপতি বিডিও এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই টিবি মুক্ত করার কথা ঘোষণা দেন। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলিত হয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মাধ্যমে গত ৭ই ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ দিনের বিশেষ অভিযান চালু করে। ১০০ দিনের বিশেষ অভিযানকে সফল করার জন্য গোমতী জেলার জেলা সভাধিপতি আজ সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস সহ সব দপ্তরের আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানদের, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে জেলা টিবি ফোরামের বৈঠকে বসেন।
জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সাপোর্টের আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত জেলা জেলা শাসক বিনয় ভূষণ দাস জানান, স্ক্রিনিং আরও বাড়াতে হবে এবং সবাইকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এই মাসের মধ্যে জেলার ২১টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অভিযান জোরদার করা হবে। এবং ১০০ শতাংশ বিসিজি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিডিও দেরকে নির্দেশ দেন। এই ২১টি গ্রাম পঞ্ছায়েতে টিবি রোগীর সংখ্যা বেশী। এইগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। সহকারী সভাধিপতি সুজন সেন জানান যক্ষ্মা রোগের সংক্রমণের চেইনকে ভাঙ্গতে হবে। এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
চিকিৎসকরা জানান, যে প্রথম ডোজ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগের সংক্রমণের মাত্রা এবং ক্ষমতা কমতে থাকে। সুতরাং যে সব টিবি রোগীর চিকিৎসা চলছে তাদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ঠিক নয়। রোগীকে কেবলমাত্র মাস্ক পড়ে থাকলেই হবে।
সভাধিপতি দেবল দেবরায় জেলা, মহকুমা, ব্লক এবং গ্রাম স্থরের সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক, জন প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদেরকে নিঃক্ষয় মিত্র হওয়ার জন্য আহ্বান জানান । ৬ মাসের জন্য যে কোন একজন রোগীকে পৌষ্টিক সম্পূরক খাওয়ার দেওয়াটাই হল মূল লক্ষ। গোমতী জেলায় বর্তমানে ৩৩৪ জন টিবি রোগী রয়েছে যাদের চিকিৎসা চলছে। অফিস বা বিভিন্ন কর্মস্থলে ধূমপান বা তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর হতে পরামর্শ দেন।