প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ওড়িষ্যার কিয়ার ব্যাঙ্ক মঠের অধ্যক্ষ তথা মহাযোগী গোরক্ষনাথ যোগাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
যোগীগুরু মহন্ত স্বামী শিবনাথজী মহারাজের উপস্থিতিতে কৈলাসহর পূর্ব কাউলিকুড়া রাখাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহা রুদ্রযজ্ঞ,দীক্ষা ও উপনয়ন কর্মসূচি।এই ধর্মানুষ্টানে ভক্তপ্রান নাগরিকদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহন ছিল লক্ষনীয়।অনুষ্ঠানের পূর্বে মহারাজজী কে নিয়ে এক বন্যার্ঢ্য বাইক রেলি কৈলাসহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে কাউলীকুড়া অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে সমাপ্ত হয়। শিবনাথজী মহারাজ ছাড়াও আজকের এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন উনার শিষ্য স্বামী কৈবল্যনাথজী ও স্বামী ভক্তি নাথজী।উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা সমগ্র ভারতবর্ষে নাথ ধর্মীয় গুরু ও একনিষ্ঠ প্রচারক এবং উড়িষ্যার কিয়ার ব্যাঙ্ক মঠের অধ্যক্ষ শিবনাথজী মহারাজ শৈব নাথ ধর্ম প্রচার ও প্রসারে ৯ই ডিসেম্বর রাজ্যে পদার্পণ করেছেন।উনার উপস্থিতিতে মহাযোগী গোরক্ষনাথ যোগাশ্রম সংঘ কৈলাসহর শাখার ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার কৈলাসহর পূর্ব কাউলিকুড়া রাখাল ঠাকুর বাড়িতে নাথ ধর্ম প্রচার ও প্রসারে মহা রুদ্রযজ্ঞ, দীক্ষা ও উপনয়ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।মহারাজজীর শুভাগমনকে কেন্দ্র করে ১০ ডিসেম্বর থেকে খোয়াই, সিধাই মোহনপুর, রানিরবাজার,উদয়পুর এবং বিশালগড়ে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।২০ ও ২১শে ডিসেম্বর কুমার ঘাট ও পর্যায়ক্রমে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দশদা,আনন্দবাজার, কাঞ্চনপুর,কদমতলা, ধর্মনগর,রামনগর, পানিসাগর,গঙ্গানগর ও খেরেঞ্জুরিতে অনুরুপ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।আখামী ৩১শে ডিসেম্বর শিবনাথজী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবস ধর্মনগর পদ্মপুরস্থিত শ্রী শ্রী শিব ও গোরক্ষনাথ মঠে পালিত হবে দুদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে।শিবনাথজী মহারাজ ১৯৮১ সালে আগরতলা শহরে প্রথম পদার্পণ করেন।সেই সময় থেকে প্রতিবছরই শিবনাথজী মহারাজ উত্তর-পূর্বাঞ্চল পরিক্রমায় আসেন।এর ফলে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে শৈব নাথ ধর্মের নবজাগরণের সূচনা হয়। বিশেষ করে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ,আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে নাথ ধর্মের পুনরুত্থানে শিবনাথজীর অক্লান্ত পরিশ্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।নাথ সম্প্রদায় ভুক্তদের জন্য শিবনাথজী-ই একমাত্র আলোক বর্তিকা।মহারাজের উদ্যোগে এবং আশীর্বাদে আগরতলা ধলেশ্বরে এবং ধর্মনগর পদ্মপুরে সুবিশাল, সুরম্য মহাযোগী শ্রী শ্রী গোরক্ষনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বর্তমানে রানীর বাজারে বড় মাপের মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। খোয়াই,বিশালগড়, কাঞ্চনপুর,কৈলাসহর সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ও পরিকল্পনা চলছে। ত্রিপুরা সফর শেষে আগামী ৮ই জানুয়ারি থেকে ৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিবনাথ জী আসাম রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারে পরিভ্রমন করবেন। ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তিনি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
প্রবচন রাখতে গিয়ে শিবনাথ জী মহারাজ বলেন নাথ শুধুমাত্র একটি জাতি নয় নাথ একটি ধর্ম।নাথ ধর্ম শুধুমাত্র একটি জাতিতে সীমাবদ্ধ নয়। সমাজে নাথ সম্প্রদায়ের অবদান অনস্বীকার্য।এদের মধ্যে মুখ্য অবদান ৪টি,যোগ, তন্ত্র,আয়ুর্বেদ ও সাহিত্য।নাথ সম্প্রদায়কে যোগী সম্প্রদায় ও বলা যায়।যোগী মানে যারা আসন,প্রানায়াম ধ্যান ইত্যাদি করে।নাথ যোগী ও সিদ্ধারা যোগমার্গ প্রচার করেন।তিনি নাথ ধর্মের উৎপত্তি,বিস্তৃতি, সমাজে নাথ সম্প্রদায়ের অবদান,প্রভাব সহ নাথ সম্প্রদায়ের মঠ,মন্দির ও কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। মহারাজজী ছাড়াও আজকের এই ধর্মীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উনার শিষ্য স্বামী কৈবল্যনাথজী ও স্বামী ভক্তিনাথজী।
নাথ ধর্ম প্রচারে মহারাজ
198
previous post