প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া।২২আগষ্ট।ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ তেলিয়ামুড়া দক্ষিণ হদ্রাই এ.ডি.সি ভিলেজের অধীন মুড়িসিং পাড়া স্থিত বুদ্ধিয়া সন্যাসী আশ্রমে শিবলিঙ্গের কলস যাত্রা এবং জলাভিষেক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আজ আশ্রম প্রাঙ্গণে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ আশ্রমে উপস্থিত হয়। আজকে শুধু সাধারণ অংশের মানুষই নয় রাজ্যের তিন তিনজন মন্ত্রী, মুখ্য সচেতক সহ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় তেলিয়ামুড়া আর ডি ব্লকের অধীন , দক্ষিণ হদ্রাই এ.ডি.সি ভিলেজের মুড়িসিং পাড়া স্থিত বুদ্ধিয়া সন্যাসী আশ্রমটি প্রায় ১০৩ বছর পুরনো। গত শিব পূজার দিন আশ্রম প্রাঙ্গণ শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়। আজ সেই শিবলিঙ্গের জল অভিষেক এবং কলস যাত্রা মাধ্যমে পূজা অর্চনা করা হয়।আজ আশ্রমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই হিন্দু সনাতনী মতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ধর্মগুরু গৌতম মিশ্রজী শিবলিঙ্গের পূজার্চনা এবং অভিষেক শুরু করেন। এই বিশেষ পূজার্চনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ সহ রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। এদিনের এই বিশেষ পূজার্চনায় উপস্থিত সকল মন্ত্রী ও মুখ্য সচেতক ভক্তি-শ্রদ্ধা ভরে শিবের মাথায় জল ঢালেন। এদিনের এই বিশেষ পূজার্চনা’টি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ধর্মগুরু গৌতম মিশ্রজী’র পৌরহিত্যে দিনভর চলে এই পূজার্চনা।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় নিজ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন,, দেশ-দশ ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের মঙ্গলার্থে এদিনের এই পুজোয় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন এবং আপামর রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনার্থে তিনি ভগবান শিবের নিকট প্রার্থনা করেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,, ভগবান শিবের প্রতি হিন্দু ধর্মের মানুষজনদের আলাদাই একটা আবেগ রয়েছে। তাছাড়া এই মন্দির গোটা রাজ্যের মধ্যে উৎকৃষ্ট এবং বিশিষ্ট ধর্মীয় স্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হবে। হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্যই এ ধরনের প্রয়াস বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিনের এই বিশেষ পূজার্চনায় দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর দর্শনার্থী এই মন্দিরে ভিড় জমাতে প্রত্যক্ষ করা যায়। এখানে প্রসঙ্গতার উল্লেখ্য তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের হ্যদ্রাই, তারা চান রূপিনি, দুষ্কি, বড় মুড়া পাদদেশের একটা বড় অংশের মানুষদের ধর্মীয় আবেগ রয়েছে এই আশ্রমটিকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়ের আর্থিকভাবে সাহায্য দিয়ে মন্দিরের পাকা ভবনের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আজ সকাল থেকেই বিধায়িকা শ্রীমতি রায় স্থানীয় জনগণের এবং উদ্যোক্তাদের সাথে হাত মিলিয়ে জলবিষেক এবং পলাশ যাত্রা কে সফল করতে শেষ সময় পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন মন্দিরে। আজকের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বুধাই সন্ন্যাসী আশ্রমে জাতি- জন উপজাতি উভয় অংশের মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়.
