Home » ছোট্ট আরুষের সাফল্যে গর্বিত ঊনকোটি জেলা

ছোট্ট আরুষের সাফল্যে গর্বিত ঊনকোটি জেলা

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-যার মুখে এখনও আধো আধো কথা শোনা যায়, যেখানে দুষ্টুমি আর খেলাধুলাতেই চলে যায় প্রতিটা দিন,এখনো যার স্কুলে যাবার বয়সই হয়নি,টেনে টুনে বড়জোড় ৩ হবে সেরকমই এক ছোট্ট শিশু তার বিরল প্রতিভার মাধ্যমে গর্বিত করেছে তার নিজের মহকুমা কুমারঘাট তথা গোটা ঊনকোটি জেলাকে।বলা যায় ফের ঊনকোটি জেলায় শিক্ষা জগতের মুকুটে নতুন পালকের সংযোজন।মাত্র তিন বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলে নিয়ে কুমারঘাট মহকুমার নাম উজ্জ্বল করলো আরুষ দাস। আরুষের বাবা বিপ্লব দাস ও মা অন্তরা পাল উভয়েই ব্যবসায়ী।চলতি বছরের মে মাসে আবেদনের (ID-75485) ভিত্তিতে আয়ুষ আই বি আর এ জায়গা করে নেয়।ছোট্ট আয়ুস তার অভাবনীয় মেধার প্রকাশের মাধ্যমে কুড়িটি ফল, কুড়িটি সবজি,১০ টি জাতীয় প্রতীক,দশটি পশু,১০টি পাখি,দশটি রং এবং পেছন থেকে সপ্তাহের প্রতিটি বার ও ছয়টি ঋতুর নাম সহ নৃত্য ইত্যাদি ১২টি বিষয়ের উপস্থাপনার এই সাপেক্ষে ভিডিও করে পাঠানো হয় ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের দিল্লি স্থিত দপ্তরে।এরপর ২৬শে মে আরুষের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ স্থান হয়। যা ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।সেই সাথে চলতি জুন মাসের ৬ তারিখ আরুষের নামে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের চিফ এডিটর বিশ্বরূপ রায় চৌধুরী শংসাপত্র প্রদান করেন।শিশু ও অভিভাবক মহলে আরুষের এই অভাবনীয় প্রতিভার জন্য সকলেই প্রশংসিত করছেন তাকে।আরুষের দাদু কৈলাসহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঠিকাদার প্রণব পাল ও দিদিমা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অর্চনা পাল।এখানে উল্লেখ্য ফটিকরায়ের অবসরপ্রাপ্ত রেল আধিকারিক বাবুল দাস ও ঠাকুমা গৃহীনি সতী দাস সকলেই গর্বিত ছোট্ট আরুষের সাফল্যে।আরুষের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তার মা অন্তরা পাল জানান সর্বদা খেলার মধ্যেই সে নিজেকে ব্যস্ত রাখে এবং অন্যান্য শিশুদের থেকে তার খেলার সামগ্রী ভিন্ন থাকে।সব সময়ই শিক্ষামূলক খেলাধুলা যেমন কালার ও ম্যাপ ইত্যাদি আইডেন্টিফিকেশন।সে ধরনের ভাবনাগুলো অবিরাম তার মনে চলতে থাকে এবং প্রতিনিয়ত মা-বাবার কাছে জানার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

You may also like

Leave a Comment