ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রবিবার একবার বিকেল বেলা একবার রাত বারোটার পর বীভৎস কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ধর্মনগর তছনছ হয়ে গেল। কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ এসেছে ৩০ ঘন্টা পরে কোথায় কোথায় ও ২৪ ঘন্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পথে কখন বিদ্যুৎ আসবে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই। ধর্মনগরের জেলরোড পদ্মপুর নয়াপাড়া রাগনা চন্দ্রপুর সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় কালকে বিকেলে কিছুটা কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ চলে এসেছিল কিন্তু রাত্রে সাড়ে বারোটার পর যখন কালবৈশাখীর বীভৎস রূপ ধর্মনগরের উপর আছড়ে পড়ে তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙ্গে ভূপতিত , গাছের ডাল পরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়ার পর সারাদিনে ও বিদ্যুৎ বিভাগ অনেক ক্ষেত্রে তার শাড়ি উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি নিগমের হাতে বিদ্যুৎ বিভাগ চলে যাওয়ার পর মানুষের আশা ছিল এখন বিদ্যুৎ পরিষেবা আগের থেকে অনেক ভালো হবে কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত চিত্র ফুটে উঠলো। ইচ্ছে হলে কাজ করে ইচ্ছে হলে কাজ বন্ধ করে রেখে দেয়। সামান্য বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে এত আধুনিক ব্যবস্থার মূল্য কি থাকলো। তার থেকে আগের প্রাগৈতিহাসিক ব্যবস্থা ভুল অংশে ভালো ছিল বলে ধর্মনগরবাসীর অভিমত। এমনকি সামান্য দুই ফোঁটা বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর যে অভিযোগের নাম্বার রয়েছে তাতে ঘন্টার পর ঘন্টা ডায়াল করলেও কেউ তুলে ন্যূনতম জবাব দেওয়ার পর্যন্ত প্রয়োজন মনে করে না। রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নের বিভিন্ন শ্বেতপত্র মানুষের সামনে তুলে ধরলেও কখনো নিজেদের দুর্বলতার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার যে চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা তা তুলে ধরার সাহস বোধহয় করে না। তাই লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও রাজ্যের এবং অভিরাজ্যের নেতাদের মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে ভালো পরিষেবা দিচ্ছে এমন কোন বড়াই শোনা যায় না। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধর্মনগর তথা ত্রিপুরা রাজ্যের সাধারণ মানুষ। রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী কাগজপত্রে বড় বড় কথা বললে বল বাস্তব ক্ষেত্রে তার কোন মিল নেই বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। আর কতদিন চালাবে এভাবে বিদ্যুতের নিম্নমানের পরিষেবা দিয়ে। সবকিছুর পরিবর্তনের সাথে সাথে বিদ্যুৎ পরিষেবারও উন্নয়ন বর্তমানে একটা আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে মানব জীবন প্রায় একরকম স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে তবুও বিদ্যুৎ দপ্তর অর্থাৎ নিগমের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের উত্তর জেলা সদর ধর্মনগর তছনছ, বিদ্যুৎ চপলতায় বিভ্রান্ত ধর্মনগর বাসী।
140