Home » বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা।

বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা।

by admin

বাঁশের খুঁটি আর লোহার পাইপ পুতে তার মাধ্যমে বিদ্যুৎ লাইন নামিয়ে নিগমের বেসরকারী সংস্থার কর্মী গিলে খেলো এক পরিবারের পনেরো হাজার টাকা। অবৈধভাবে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে পুরো টাকা হাফিজ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠলো ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট নিগম অফিসে কর্মরত বেসরকারী সংস্থার কর্মী তপন দাসের বিরুদ্ধে। দাবী উঠছে তদন্তের। বিদ্যুৎ লাইন নামাতে গিয়ে পাকা খুঁটির বদলে এখন গ্রাহকরা পাচ্ছেন বাঁশের খুটি এবং নলকূপে ব্যাবহৃত লোহার সরু পাইপ। হ্যা, এসবের উপর ভর করেই গ্রাহকদের বাড়ীতে এখন বিদ্যুতের পরিষেবা পৌছে দিচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম। আর এরজন্য গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে পনেরো হাজার টাকা। এই ঘটনা বিদ্যুৎ নিগমের ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট অফিসের অধীন নিদেবী দুই নম্বর ওয়ার্ডে।
অভিযোগে জানাগেছে এলাকার বাসিন্দা অনিতা দাস তার বাড়ীতে নতুন বিদ্যুৎ লাইন নামানোর জন্য ছুটে যান নিগমের কুমারঘাট অফিসে। পরে অফিস থেকে তপন দাস নামের এক বেসরকারী সংস্থার কর্মীকে পাঠানো হয় তার বাড়ীতে জায়গা পরিদর্শনের জন্য। অনিতা দাস জানিয়েছেন, লাইন নামাতে গিয়ে অনেক ঝামেলার জুজু দেখিয়ে মহিলার কাছ থেকে সরকারীভাবে খুঁটি সমেত লাইন নামানোর কথা বলে পনেরো হাজার টাকা নেয় বিদ্যুৎ নিগমের অধীনে থাকা তপন দাস নামের ঐ বেসরকারী সংস্থার কর্মী। এরপরই ঐ মহিলার বাড়ীতে স্থায়ী খুঁটির বদলে নলকূপের পাইপ এবং বাঁশের খুটি পুতে বিদ্যুৎ নিগমের মিটার এবং সার্ভিস তার লাগিয়ে ন্যুনতম একশো মিটার লাইন টেনে দেয় তপন দাস সহ আরো এক কর্মী। আর লোহার পাইপ দিয়ে রাস্তার উপর লাইন এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যাতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। মহিলা জানান, লাইন নামাতে গিয়ে মাঝ রাস্তায় মিটার বসিয়ে দিয়েছে সংস্থার কর্মীরা। এতে রিচার্জ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। শুধু তাইনয়, পনেরো হাজার টাকা দেবার বিষয়টি কারো কাছে না জানিয়ে গ্রাহককে চেপে যাবার আবেদন করেছেন ঐ সংস্থার কর্মী। নিগমের এমন কাণ্ডে ক্ষোভ জানান ঐ মহিলা গ্রাহক।সুত্রের খবর এই সার্ভিস কানেকশন বাবদ কোন তথ্য বা টাকা জমা পড়েনি কুমারঘাটের নিগম অফিসের সরকারী খাতায়। এই ঘটনার পর স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের দায় সারাতে কর্তৃপক্ষ দাবী করবে অফিস থেকে দেওয়া হয়নি এই বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইন। প্রশ্ন হলো, তাহলে দপ্তরের অনুমতি ব্যাতিত নিগমের মিটার এবং তার কিভাবে লাগানো হলো পনেরো হাজার টাকার বিনিময়ে? অফিসের পদস্থদের সবুজ সংকেত ছাড়া কিভাবেই বা অফিসের স্টোর থেকে বের হলো নিগমের এতো এতো তার এবং মিটার?
যদিও এধরনের ঘটনা নিগমের একাংশ অফিসে হামেশাই চলে আসছে বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের। আর এভাবে তার বিক্রির মাধ্যমে একাংশ বড়োবাবু থেকে ছোটবাবুরা তাদের পকেট ভরার ফলে অফিসে প্রায়শই মেলেনা তার এবং মিটার। ফলে ন্যায্য টাকা জমা দিয়ে বৈধ কানেকশন নিতে গিয়ে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরতে হয় অধিকাংশ গ্রাহককেই।
দাবী উঠছে কুমারঘাটের এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে সর্ষের মাঝে লুকানো ভূতকে বের করুক বিদ্যুৎ নিগম।

You may also like

Leave a Comment