Home » অভেক্ষা প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের নিয়ে একটি চেরিটেবল ট্রাস্ট, বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিক ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে নিয়ে তাদের আত্মপ্রকাশ।

অভেক্ষা প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের নিয়ে একটি চেরিটেবল ট্রাস্ট, বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিক ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে নিয়ে তাদের আত্মপ্রকাশ।

by admin

ধর্মনগর প্রতিনিধি।
দিব্যংগো জানেরা বিশেষ করে বিভিন্ন দিকে যেসব বাচ্চারা জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধী একটা অসহায় জীবন তারা নিজেদেরকে মনে করে তাদের অসহায় ভাব কাটিয়ে তারাও সমাজের আরো দশটা স্বাভাবিক বাচ্চার থেকে কোন দিকে কম নয় এই মনোভাব নিয়ে কিছু সংখ্যক অভিভাবক একটি ট্রাস্ট গঠন করেছে যার নাম অভেক্সা চেরিটেবল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্ট মার্চের ২৩ তারিখ থেকে শুরু হলেও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে রবিবার অর্থাৎ ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে। এই মহতী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাশ উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্যামল নাথ সহ ধর্মনগরের হৃদয়বান বিশিষ্ট নাগরিকরা। এই ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০০২৩ সালের মার্চে এই ট্রাস্টের কাজ শুরু হয়। কিন্তু বাচ্চাদেরকে নিয়ে কোথায় ক্লাস করাবে তা নিয়ে জায়গার সমস্যায় পড়ে যায় ট্রাস্টের কর্মকর্তারা। অবশেষে কাঠিয়া বাবা গুরুকুলম ট্রাস্টের সম্পাদক মান্না দে তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের চন্দ্রপুরে একটি স্কুল রয়েছে। সেই স্কুলে ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুই ঘন্টা এই দিব্যাঙ্গ বাচ্চাদেরকে নিয়ে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকে। এখানে মোট বারোটি বাচ্চা রয়েছে। লক্ষনীয় যে যখন বাচ্চাগুলো র স্কুল টাইম হয় তখন স্কুলে যাওয়ার জন্য বাচ্চাগুলি উদগীব হয়ে পড়ে। তাদের আরো একটু ভালোভাবে জীবন-যাপন করানো এবং শিক্ষাব্যবস্থা করার জন্য আরো জায়গা এবং অর্থের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ট্রাস্ট এর সদস্যরা তাই একটা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা গ্রহণ করে যার মাধ্যমে ধর্মনগর শহরের মানুষের কাছে অর্থের জন্য তারা যেতে পারবে। কমটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যেখানে তারা গিয়েছে সেখানেই মানুষ তাদের সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ধর্মঘরবাসীর কাছে ট্রাস্ট এর সদস্যরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। উদ্বোধক বিশ্ববন্ধু সেন বলেন এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য প্রথমেই যারা এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন উনার মনেও প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের জন্য একটা কিছু করার পরিকল্পনা নিয়ে চন্দ্রপুর স্কুলে একটা স্কুল শুরু করেছিলেন। কিন্তু কভিডের পর বিভিন্ন কারণে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। তাই উনার মনের একটা সুপ্ত আশাকে এই সংস্থা পুনাঙ্গ রূপ দিতে চলেছে এতে তিনি ভগবানের কাছে নিজেকে ঋণী বলে উল্লেখ করেন। বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে যোগাযোগ করে তিনি দেখছেন এই সংস্থাকে পাঁচ লক্ষ টাকার অনুরান দিয়ে তিনি সাহায্য করতে পারেন কিনা। সোমবার তিনি এসডিএম এর সাথে যোগাযোগ করে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলবেন। কারণ দিব্যাঙ্গ শিশুদের জীবন কেমন করে যায় তিনি নিজেও তার ভুক্তভোগী কারণ উনার এক নাতি রয়েছে যে এই ধরনের শিশুদের একটি পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাই তাদের জন্য কিছু করতে পারা মানে ভগবানের সেবা করা বলে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন। এই অনুষ্ঠানে দিব্যঙ্গ শিশুদের অভিভাবকরা যেভাবে নাচ সংগীত এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে তা উপস্থিত বিজ্ঞ জনেদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

You may also like

Leave a Comment