
আঠারোয় বিজেপির সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়ন শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে রয়েছে নানা সরকারি সুবিধা। এরমধ্যে অন্যতম হলো সুপার থার্টি।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করছে সুপার থার্টি প্রকল্প । এই প্রকল্পে প্রতি বছর রাজ্যের ৩০ জন ছাত্র ছাত্রীকে সরকারি খরচে বহির্রাজ্যে গিয়ে দ্বাদশ মান পর্যন্ত পড়াশোনার পাশাপাশি নিট এবং জেইই প্রবেশিকা পরিক্ষার জন্য কোচিং দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। থাকা খাওয়া পড়াশোনার খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। বিশালগড় চন্দ্রনগরের মাদ্রাসা শিক্ষক মহরম আলির পুত্র মাসুদ আলি ২০১৯ সালে সুপার থারটি প্রকল্পে পড়াশোনার সুযোগ পায়। সে রাজস্থানে পড়াশোনা করে। জেইই প্রবেশিকা পরিক্ষায় মাসুদ আইআইটি পাটনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছে। বিশালগড় চন্দ্রনগরের ছাত্র মাসুদের সাফল্যের খবর জানতে পেরে স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত দেব ছুটে যান মহররম আলীর বাড়িতে । মহরমের ছেলে মাসুদের পড়াশোনার যাবতীয় খোঁজখবর নেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। মাসুদকে আরো ভালো করে পড়াশুনা করে বিশালগড় এবং রাজ্যের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি । মাসুদের বাবা মহরম আলি সুপার থার্টি প্রকল্প চালু করায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।এই প্রকল্পের সুবিধা না পেলে মাসুদ আজ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেতোনা। এছাড়া এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করছে বলেই মাসুদ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। পুত্রের সাফল্যের খবর পেয়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব বাড়িতে এসেছেন। এতে খুশি ছাত্র মাসুদের বাবা মা সহ পাড়াপড়শিরা।