
রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আসার পর যতগুলি জনকল্যাণে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কৃষকদের উৎপাদিত ধান সরাসরি সহায়ক মূল্যে এফ সি আই এর মাধ্যমে ক্রয় করা।কৃষকদের উন্নয়ন কে মাথায় রেখে সরকার এফ সি আই এর মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে সুলভ মূল্যে ধান ক্রয় করায় লাভের মুখ দেখছেন রাজ্যের কৃষক কূল। এতে খুশি সমগ্র অংশের কৃষক।অন্যান্য বছরে ন্যায় এবছর ও এফসি আই এর মাধমে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা শুরু করেছ। বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়া এগ্রিপ্রডিউস মার্কেট এর শেড ঘরে সকাল থেকেই শুরু হয় এই ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া।
তবে লক্ষনীয় বিষয় হল, তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তর এবং কৃষি দপ্তর কৃষকদের কাছ থেকে যে পরিমান ধান ক্রয়ের টার্গেট ধরা হয়েছিল সেই তুলনায় অনেকটা কম ধান আসছে। এর কারন হিসাবে চাকমাঘাট এলাকার কৃষক জানান, সরকার ধান ক্রয় করার ফলে কৃষকরে দীর্ঘদিন পর লাভের মুখ দেখতে পারছে। অন্য দিকে খোলাবাজারে ব্যবসায়ীদের ধানের ক্রয় কমে যাচ্ছে। এর ফলে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকদের বাড়ি ঘর থেকে অধিক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করে নিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে সুযোগে সেই ব্যবসায়ীরা তাদের মর্জিমাফিক দামে সেই ধান বিক্রি করতে পারবে। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের ফাঁদে কিছু সরল সাধারণ কৃষকরাও পা দিচ্ছেন বলেও ধারনা করাহচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের একটা অংশের অভিমত এফ সি আই প্রতি কুইন্টাল ধানে ওজন পিরিমাপের সময়ে ওয়ান থেকে টু পার্সেন্ট কম ধরে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এর ফলে কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে এই সুযোগটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে একটা,শ্রেনীর খোলাবাজারের ব্যবসায়ী। কৃষক রা চাইছে ওজন পরিমাপ করার সময় যেন তাদের কোন অংশ বাদ নাওদেওয়া হয়। তাহলে কৃষকরা একদিকে যেমন সম ওজনের দাম পেয়েযাবে অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ফাঁদেও পা বারাবে না। এবং সরকারি ভাবে মজুতেরও ঘাটতির প্রশ্ন থাকবেনা।
তেলিয়ামুড়া মহকুমা খাদ্য দপ্তরের আধীকারিক ভুট্টু জমাতিয়া জানান যত জন কৃষক ধান নিয়ে আসার কথা তাদের সকলে এখন পর্যন্ত আসেননি। তবে তিনি আশা করছেন বিগত বছরের ন্যায় এবছরও সমস্ত কৃষকরাই সরকারের এই সুযোগটা গ্রহন করবে।