প্রতিনিধি কৈলাসহর:-উড়িষ্যার কিয়ার ব্যাঙ্ক মঠের অধ্যক্ষ তথা মহাযোগী গোরক্ষনাথ যোগাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
যোগীগুরু মহন্ত স্বামী শিবনাথজী মহারাজের উপস্থিতিতে ২০ডিসেম্বর মঙ্গলবার কৈলাসহর পূর্ব কাউলিকুড়া রাখাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহা রুদ্রযজ্ঞ।সমগ্র অনুষ্ঠানে ভক্তপ্রান নাগরিকদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহন ছিল লক্ষনীয়।শিবনাথজী মহারাজ ছাড়াও এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন উনার শিষ্য স্বামী কৈবল্যনাথজী।
উত্তর পূর্বাঞ্চল তথা সারা ভারতবর্ষে নাথ ধর্মের গুরু ও একনিষ্ঠ প্রচারক এবং উড়িষ্যার কিয়ার ব্যাঙ্ক মঠের অধ্যক্ষ শিবনাথজী মহারাজ শৈব নাথ ধর্ম প্রচার ও প্রসারে ৯ই ডিসেম্বর রাজ্যে শুভ পদার্পণ করেন।উনার পৌরহিত্যে ইতিমধ্যে খোয়াই, মোহনপুর,বিশালগড়, উদয়পুর,রানীর বাজার সহ কৈলাসহর ও কুমারঘাটে পর্যায়ক্রমে আগামী ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত দশদা, আনন্দবাজার,কাঞ্চনপুর, কদমতলা,ধর্মনগরে শৈব নাথ ধর্ম প্রচার ও প্রসারে মহা রুদ্রযজ্ঞ,দীক্ষা ও উপনয়ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষভাবে উল্ল্যেখযোগ্য যে ধর্মনগর পদ্মপুরস্থিত শ্রী শ্রী শিব ও গোরক্ষনাথ মঠে ৩১ শে ডিসেম্বর শিবনাথজী মহারাজের শুভ আবির্ভাব দিবস পালিত হবে দুদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে।শিবনাথজী মহারাজ ১৯৮১ সালে আগরতলা শহরে প্রথম পদার্পণ করেছিলেন।সেই সময় থেকে প্রতিবছরই শিবনাথজী মহারাজ উত্তর-পূর্বাঞ্চল পরিক্রমায় আসেন।এর ফলে আসাম ও ত্রিপুরায় শৈব নাথ ধর্মের নবজাগরণের সূচনা হয়। বিশেষ করে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ,আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে নাথ ধর্মের পুনরুত্থানে শিবনাথজীর অক্লান্ত পরিশ্রম কার্যকরী রুপ নিয়েছে।নাথ ধর্মাবলম্বীদের জন্য শিবনাথজী-ই একমাত্র আলোক বর্তিকা।মহারাজের উদ্যোগে এবং আশীর্বাদে আগরতলা ধলেশ্বরে এবং ধর্মনগর পদ্মপুরে সুবিশাল, সুরম্য মহাযোগী শ্রী শ্রী গোরক্ষনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।বর্তমানে রানীর বাজারে বড় মাপের মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। খোয়াই,বিশালগড়, কাঞ্চনপুর,কৈলাসহর সহ একাধিক জায়গায় মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ও পরিকল্পনা চলছে।ত্রিপুরা সফর শেষে ২রা জানুয়ারি থেকে ৩১ শে জানুয়ারি ২০২৩ ইং পর্যন্ত শিবনাথজী আসামের বিভিন্ন স্থানে ধর্ম প্রচারে পরিভ্রমন করবেন। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং পর্যন্ত তিনি পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
সংক্ষিপ্ত প্রবচন রাখতে গিয়ে শিবনাথ জী মহারাজ নাথ ধর্মের উৎপত্তি,বিস্তৃতি, সমাজে নাথ সম্প্রদায়ের অবদান,প্রভাব সহ নাথ সম্প্রদায়ের মঠ,মন্দির ও কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করেন।
শৈব নাথ ধর্মপ্রচারে স্বামী শিবনাথজী মহারাজ
132