ধর্মনগর প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার এক পুত্র হারা মা তার নিখোঁজ হওয়া পুত্রের সন্ধানে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানু পদ চক্রবর্তী শরণাপন্ন হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় পদ্মপুরের ত্রিপুরেশ্বরী শিশু মন্দির বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র দেবরাজ দে, বয়স দশ বছর গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে চারটা থেকে নিখোঁজ। তার মা বেবি দে ছেলেকে পাওয়ার জন্য এক মাস যাবত ধর্মনগর থানায় প্যারেড করার পর যখন থানার থানা বাবুরা নানা রকম কাজ দেখিয়ে উনাকে প্রত্যাখ্যান করে গেছে শেষে নিরুপায় হয়ে উত্তর জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী শরণাপন্ন হয়েছে ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। দেবরাজ এবং তার এক বন্ধু দুজনে মিলে একটি রাস্তার কুকুরকে নিয়ে আসলে তা নিয়ে পাশের বাড়ির এক ভদ্রলোকের সাথে গন্ডগোল সৃষ্টি হয় ।লোকটি দেবরাজ এবং তার সাথের নাবালক ছেলেটিকে কুকুর চুরির অপরাধে কিছু চড় থাপ্পড় দিয়ে পদ্মপুর ক্লাবের হাতে তুলে দেয়। ক্লাব অভিভাবকদেরকে শাসন করে দুটোকে থানায় পাঠিয়ে দেয়। দেবরাজের মা 9 ফেব্রুয়ারি খবর পায় যে দেবরাজের সাথের ছেলেটিকে থানা থেকে তার মা গিয়ে ছুটিয়ে নিয়ে এসেছে। নিজের ছেলেকে ফিরে পাবার জন্য বেবি দে থানায় ছুটে যায়। কিন্তু তখন খানা কর্তৃপক্ষ বেবিদের ছেলে দেবরাজকে দিতে অপারগ হয়। অনেক দৌড়াদৌড়ির পর বেবি দে ধর্মনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে। তারপর থেকে শুরু করে প্রতিদিন থানায় যাওয়া আর তার ছেলের কোন খোঁজ খবর আছে নাকি তা জানা। কিন্তু এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে এখন দেড় মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পথে ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে মা বিমর্ষ হয়ে মঙ্গলবার উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী দারস্ত হয়। বেবি দে আরো জানান থানা কর্তৃপক্ষ নাকি বলেছে এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর আর এই ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। নির্বাচন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তারপর ছেলের খোঁজ নিতে যাওয়ার জন্য। নির্বাচন কমিশনের কোন ধরনের এই আশ্চর্যজনক সার্কুলার আছে কিনা তা কারোর জানা নেই। দায়িত্ব এরাতে থানা কর্তৃপক্ষ অদ্ভুত অদ্ভুত যুক্তি প্রদর্শন করে চলেছে। থানা থেকে একটি ১০ বছরের শিশু কেমন করে হারিয়ে যায় তা কর্তৃপক্ষই ভালো জানেন। প্রশ্ন উঠছে তারা অর্থাৎ থানা কর্তৃপক্ষ ছোট 10 বছরের শিশুটিকে নিয়ে কি করেছে বা কোথায় পাঠিয়েছে কেমন অবস্থায় ছেলেটি রয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ধর্মনগরবাসীর মনে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ছি ছি রব করেছে ধর্মনগরের আরক্ষা দপ্তরকে নিয়ে এবং ধিক্কার জানাচ্ছে ধর্মনগর বাসী ধর্মনগরের থানা কর্তৃপক্ষকে।
দেড় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে পুত্র হারা মান পুত্রের সন্ধানে এখন উত্তর জেলা পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন।
103