
নেশার বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের অভিযান অপারেশন সঞ্জীবনি অব্যাহত রয়েছে। নেশা সামগ্রী এবং নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশের অভিযান। এতে সাফল্যও আসছে। সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পৌষণ কান্তি মজুমদারের নেতৃত্বে সোমবার ভোর পাঁচটায় রতনপুর এডিসি ভিলেজ এর জুমিয়া কলোনি এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযানে নামে খোয়াই থানার পুলিশ। অভিযান কালে দুটি বাগান থেকে প্রায় আট হাজার গাঁজা গাছ কেটে ধ্বংস করা হয়।পরবর্তী সময়ে কাটা গাছগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে এগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পুলিশি অভিযান চলাকালীন সময়ে এলাকার কিছু লোক পুলিশের কাজে বাধার সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের কঠোর মনোভাবের ফলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই দিনের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মহাকমা পুলিশ আধিকারিক পৌষণ কান্তি মজুমদার, খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার, পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনীর জোয়ানরা। অপারেশন সঞ্জীবনী প্রসঙ্গে খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পৌষন কান্তি মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, নেশার বিরুদ্ধে মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন চলছে পুলিশের অভিযান। তাতে বেশ সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য এর জন্য তিনি বিভিন্ন এলাকার জনগণকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সাধারণ জনগণ নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না তুললে এই সাফল্য আসতো না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি । আগামী দিনগুলিতেও নেশার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে ব্রাউন সুগার সহ ধৃত দীপঙ্কর দাস কে সোমবার আদালতে প্রেরণ করে খোয়াই থানার পুলিশ। পুলিশ আদালতে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানায়। কিন্তু খোয়াই এর সি জে এম আদালত পুলিশের আবেদন খারিজ করে দিয়ে অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠায়। উল্লেখ্য গতকাল সন্ধ্যায় খোয়াই এর উত্তর দুর্গানগর এলাকা থেকে ১২ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ দীপঙ্কর দাস কে গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি মোবাইল নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং একটি স্কুটি।