ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের শুভ উদ্বোধন হল ধর্মনগরের অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য্য স্মৃতি ভবনে। এবারের নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব প্রয়াত বিশাল শর্মার স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির প্রয়াত সদস্য বিশাল শর্মার স্মৃতিতে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের শুরুতে নার্সারি থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত কচিকাঁচাদের জন্য ছিল যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ধর্মনগরে ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবকে কেন্দ্র করে নাট্যোৎসবের লোগো উন্মোচিত হয়। লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ধর্মনগরে নাট্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এদিনের
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালী দাস সেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক সমর চক্রবর্তী, বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অমিতাভ নাগ,উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত নাট্যকার বিশাল শর্মার পরিবারের সদস্য সহ অন্যান্যরা।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লারনার্সের সভাপতি মনিদীপ দাস সুমন, সহ সভাপতি সন্তোষ ভট্টাচার্য্য, সম্পাদক রত্নদীপ চক্রবর্ত্তী, সৃষ্টি দাস, মনীষ,রুদ্র,সম্রাট,রিয়া,হিমাদ্রী,কৌস্তভ,সিমন্তিনী,দেবযনী সহ সকল সদস্য সদস্যারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাট্য প্রতিভা ২০২৪-২৫ সম্মান তুলে দেওয়া হয় ত্রিপুরা ধর্মনগরের নাট্য অভিনেতা সঞ্জয় চন্দ ও আসামের হাইলাকান্দির বিপ্লব দাসের হাতে।
এই নাট্যোৎসবে ত্রিপুরা,পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আগত মোট সাতটি দল নয় টি নাটক মঞ্চস্থ করবে।
এবারের লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব ছিল ধর্মনগর বাসীর কাছে একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। এই দশম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব কে কেন্দ্র করে আমরা অর্ধেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতি ভবনের বাইরে একটি শান্তিনিকেতনের মেলার আয়োজন করে। পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন থেকে বেশ কয়েকটি স্টল এখানে আসে। শিল্পীদের তৈরি হস্ত তাঁত ও কারুশিল্পীদের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, চাদর, অলঙ্কার, চামড়ার ব্যাগ, কাপড়ের তৈরি ব্যাগ ইত্যাদি নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করে। এই নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবে মেলা দুপুর ৩ টা থেকে চলবে রাত্রি ৮ পর্যন্ত, এবং এই মেলা প্রাঙ্গনে রয়েছে মুক্তমঞ্চ। সেই মুক্তমঞ্চে ধর্মনগরের স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। সকলেই মেলা মেলাতে এবং মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। নাটক মানবজীবনে এবং সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং মানুষের চিন্তা, সংস্কৃতি, এবং মানসিকতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাটক মানুষের মানসিক বিকাশে সহায়ক। এটি সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করে, কারণ একজন অভিনেতা বা দর্শক উভয়কেই কল্পনার জগতে ডুব দিতে হয়। নাটক সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিফলন ঘটায়।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির প্রতিটি নাটক মানুষকে অতীতের ঘটনাবলির সঙ্গে পরিচিত করে। নাটক সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে।লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটি আয়োজিত ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসবের নাটক শুধু মঞ্চ বা পর্দার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, ত্রিপুরা তথা ধর্মনগরের মানুষের মনের যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ধর্মনগরে শুরু হল লারনার্স এডুকেশনাল সোসাইটির জাতীয় স্তরের ১০ম নাট্যমঞ্চ নাট্যোৎসব
35