ধর্মনগর প্রতিনিধি।
রবিবার থেকে শুরু হয়েছিল বুধবার পর্যন্ত সারারাত্রি ব্যাপী চলল মানুষের জন্য ঢল। বৃহস্পতিবার কিছু কিছু বৃষ্টির মধ্যেই মানুষ ন এন্ট্রি না থাকায় ধর্মনগরে কালী পূজার বিভিন্ন প্যান্ডেল গুলি যানবাহন নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে ধর্মনগর তথা উত্তর জেলা জুড়ে শুরু হল মুষলধারে বৃষ্টি। এবার এই বৃষ্টির কারণে যে দীর্ঘ কালী পূজা দেখার জনসল চলছিল তা সাঙ্গ হল। শুধুমাত্র ধর্মনগর নয় বা উত্তর জেলা নয় মানুষ এসেছিল ঊনকোটি জেলা, ধলাই জেলা, খোয়াই জেলা, রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাগুলি থেকেও। ৩-৪ দিন যাবত জনটলে শামিল হয়েছিল পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের কাছার জেলা, করিমগঞ্জ জেলা এবং হাইলাকান্দি জেলার বৃহৎ অংশের মানুষ। আর এই এত এত মানুষের সুরক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে পুরো পরিষদ এবং স্থানীয় বিধায়কের হস্তক্ষেপে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গঠন করে মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। যেমন ভাবে জোরদার করা হয়েছিল তেমনি এত এত মানুষের সমরোহে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংবাদ আসেনি কালী পূজার চার পাঁচ দিনের মধ্যে। নিরলস পরিশ্রম করেছে উত্তর জেলার পুলিশ বাহিনী সাথে ছিল টিএসআর বাহিনী এবং সিআরপিএফের জওয়ানরা। আলোর উৎসব দেওয়ালিতে শুরু হয়েছিল শ্যামা পূজা। পাঁচ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ছয় দিনের দিন যেভাবে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মানুষ আর ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ না পেয়ে কালী পূজার আনন্দের এখানেই সাময়িক স্বস্তি দিল। তবে বিবিআই মাঠে ওয়াই এম এ সি ক্লাবের উদ্যোগে, ডি এন ভি মাঠে অ্যাথলেটিক ক্লাবের উদ্যোগে এবং রাজ্য খাদ্য গোডাউনের মাঠে উদ্যোগে মেলা যথারীতি এগিয়ে চলেছে। এ যেন কালীপূজা নয় সপ্তাহব্যাপী ধর্মনগর মানুষের জন্য উৎসব। বাঙালির মহান উৎসব দুর্গাপূজাকে হার মানিয়ে ধর্মনগরে চলতে থাকে কালী পূজার উৎসব। এই উৎসবে শামিল হয় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আবাল বৃদ্ধ বণিতার মিলনের সমারোহ। আবার তাকিয়ে থাকতে হবে একটি বছর কখন শুরু হবে ধর্মনগরে শ্যামা মায়ের পুজোর নামে মিলন উৎসব।
বৃষ্টির প্রকোপে সাঙ্গ হল ধর্মনগরে দীর্ঘ কালী পূজার উৎসব।
140
previous post