চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি ১৮ ডিসেম্বর:– বর্তমান বাংলাদেশে অস্থির পরিবেশের মধ্যেও অবাধে অবৈধ বাংলাদেশীর আনাগোনা চলছে ভারতে। একমাত্র ত্রিপুরা রাজ্যকে করিডোর বানিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবাধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবেশ করছে এই বাংলাদেশী নাগরিকেরা। তবে বাংলাদেশে নথিপত্র ছাড়াই মোটা অর্থের বিনিময়ে কিছু দালাল চক্র একাজে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই সব দালাল চক্র মুখে ভারত প্রেম দেখালেও আদৌ অর্থের কাছে দেশের নিরাপত্তাকে বিক্রি করতে দ্বিধাবোধ করছে না। এতে প্রায় পুলিশ প্রশাসনকে অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে এই চোরা চক্রটি। এদিকে, গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত দুইটা নাগাদ ইন্দো-বাংলা সীমান্তের কদমতলা থানা এলাকার ইচাই টুলগাঁও এলাকায় পুলিশের পেট্রোলিংয়ের টহলধারীর সময় অপরিচিত এক বৃদ্ধা ও নাবালিকাকে ঘুরাঘুরি করতে দেখে, কর্তব্য পুলিশ তাদের আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে তারা ওই এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে কোন এক দালাল চক্রের মাধ্যমে। তখন এএসআই ডি,এম চাকমা তাদের আটক করে কদমতলা থানায় নিয়ে যান এবং জোর জিজ্ঞাসাবাদের পর বাংলাদেশী নাগরিক নিশ্চিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ৮১/২৪ নম্বরে ও ১৯২০ সালের ভারতীয় পাসপোর্ট আইনের ০৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।ধৃত মহিলার নাম মোছা রুবেয়া (৬০) ও অপরজন পনেরো বছরের এক নাবালিকা। দুজনের বাড়ি বাংলাদেশের নিরা থানাধীন সিন্ডারপারা গ্ৰামে। বুধবার কদমতলা পুলিশ ধৃতদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করেছে বলে জানা যায়। এদিকে এই ঘনঘন বাংলাদেশী অবৈধ নাগরিক ভারতে প্রবেশ করায় জেলা প্রশাসন অনেকটা হুমকির মুখে রয়েছে। বারবার প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর উপর ! এত কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কি করে বাংলাদেশী নাগরিক দালাল চক্রের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করছে ? তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির পরিবেশের কারণে সীমান্তো অনেকটা আঁটোসাঁটো রয়েছে, কিন্তু এতেও বাংলাদেশী প্রবেশ কমছে না। বরং চলছে অবাধ বিচরণ। এখন দেখার জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
গভীর রাতে ইন্দো-বাংলা সীমান্ত থেকে আটক দুই বাংলাদেশি নাগরিক। নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে !
by admin
written by admin
37
previous post