বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুই দিনের জন্য উত্তর জেলা সফরে আসেন মন্ত্রী সুধাংশু দাস। প্রথম দিন সমস্ত আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেন এবং কি করে মৎস্য উৎপাদন ও পশুপালনের প্রতি মানুষের মনোযোগ বাড়ানো যায় এবং রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন স্ব উদ্যোগী যারা রয়েছে তাদের সাথে দেখা করেন এবং কি করে আরো বেশি ফলন বাড়ানো যায় তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দুপুর দুইটায় ধর্মনগর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কর্মসূচিতে কি কি কাজ চলছে এবং কেমন করে আরো ভালো কাজ করা যায় তা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে বিশদ আলোচনা করেন। মৎস্য চাষ সম্পর্কে তিনি প্রচন্ড উৎসাহী কি করে রাজ্যকে মৎস্যের উপর স্বয়নির্ভর করে তোলার যায় তার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা সাংবাদিকদের সাথে শেয়ার করেন। অন্ততপক্ষে রাজ্যের মানুষ যাতে বহি রাজ্য থেকে মৎস্য আমদানি না করে নিজেদের যা অপরিহার্য তা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রাখে। যারা যারা পশু পালন বা মৎস্য পালনের উপর নির্ভর করে স্বনির্ভর হতে চায়, তাদের জন্য সরকার কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাও স্ববিস্তারে বলেন। রাজ্যে দুধের কতটুকু যোগান রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ যোগান দেওয়া সম্ভব হয়েছে বাকি ৩০ শতাংশ এখনো অপূর্ন রয়ে গেছে। তাই প্রত্যেক জেলায় একটি দুগ্ধ সংগ্রহ কেন্দ্র বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের গরু উপাচার চক্রের কথা বলতে গিয়ে জানান সর্ষের মধ্যে এখনো ভূত লুকিয়ে আছে। ২৫ বছর যে দুর্নীতিকে আশ্রয় করে বামফ্রন্ট সরকার পরিচালিত হয়েছিল গত পাঁচ বছর তা কিছুটা পরিমার্জিত হবে সম্পূর্ণরূপে পরিমার্জিত করা সম্ভব হয়নি। তাই সরকার চাইছে এই পাঁচ বছরে আগে যা পারেনি তা শুধরে একটা স্বচ্ছ প্রশাসন মানুষকে দেওয়ার জন্য। তবে রাজ্যের মানুষ সঠিকভাবে সরকারকে সাহায্য করলে ছোট রাজ্য ত্রিপুরা ভারতবর্ষে মানচিত্রে অনেক ক্ষেত্রেই স্বনির্ভর হয়ে উজ্জ্বল হবে চলতে থাকবে।
111