প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জল সম্পদ দপ্তর কৈলাসহর বিভাগের তত্ত্বাবধানে ফটিকরায় বিধানসভার রাইসিংপাড়া এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে উন্নয়নমূলক কাজ হয়।অভিযোগ মূলে জানা যায়,এই কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হলেও ওয়াটার রিসোর্স দপ্তর কাজের বিল দেয়নি।গত ৮ই অক্টোবর সন্ধ্যায় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী রণজয়ের কুমারঘাট স্থিত বাসভবনে হামলা চালায় এবং মন্ত্রীর নাম ব্যাবহার করে।এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা হয় বলে জানা যায়।এনিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যে বাইট দিয়েছে রনজয় দেববর্মা তার সাথে বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই।কিন্তু নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা ফটিকরায়ের বিধায়ক তথা প্রানী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস ও ওনার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হিমাংশু দাসের নাম উল্লেখ করায় এনিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।আজ বিকেলে ঊনকোটি জেলা ঠিকাদার সংঘের উদ্যোগে শতাধিক ঠিকাদার কৈলাসহর থানায় বাস্তকার রনজয় দেববর্মার বিরুদ্ধে ডেপুটেশন প্রদান করে।এরপর আজ সন্ধ্যায় ঊনকোটি কলাক্ষেত্রে ঠিকাদার সংঘের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার সংঘের সদস্য ভাস্কর রায়,দীপেন্দ্র মালাকার,বিমলেন্দু পাল,সুব্রত ঘোষ,প্রশান্ত সরকার এবং অজিত আচার্য্য।সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঠিকাদার ভাস্কর রায় বলেন,সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন কাজের চুক্তি হয় দপ্তর এবং ঠিকাদারি এজেন্সির মধ্যে।সেখানে মন্ত্রী সুধাংশু দাসের নাম উল্লেখ করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা পরিকল্পিতভাবে উনাকে হেয় প্রতিপন্ন করেন।বামমার্গী বাস্তুকার রনজয় দেববর্মার এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ঠিকাদার সংঘ।একই সাথে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঠিকাদার সংঘের তরফ থেকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয় রণজয় দেববর্মাকে।এই মিথ্যা বক্তব্যের স্বপক্ষে ওনাকে যুক্তি দেখাতে হবে, নতুবা সংঘের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ভাস্কর বাবু। এই সাংবাদিক সম্মেলনে রণজয়ের অনেক কীর্তিকলাপও তুলে ধরা হয়। যে কোন কাজ করতে গেলে তাকে কুড়ি শতাংশ কমিশন দিয়ে কাজ করতে হয়।নতুবা তিনি কোন বিলে সই করেন না।এখানেই শেষ নয় ঠিকাদার সংগঠনের তরফে গুরুতর অভিযোগ আনা হয় যে,জল সম্পদ বিভাগের ডিভিশন-৬ শাখায় সরকার প্রদত্ত ১০ কোটি টাকা থাকলেও এই শারদীয় উৎসবে ঠিকাদারদের বিল দেয়নি এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রনজয় দেববর্মা। তাকে কমিশন না দিলে কোন বিল দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।এর ফলে পুজোর আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয় এই কাজের সাথে যুক্ত কর্মীরা।সরকারের নির্দেশিকাকে অমান্য করে এই টাকা অব্যায়িত রেখে কি বুঝাতে চাইছে রনজয় বাবু?এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ঠিকাদার সংগঠন।রণজয়ের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংগঠনের তরফে সামগ্রিক বিষয়ের সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করা হয়েছে পূর্তমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে।ভাস্কর রায় উনার বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেন সম্প্রতি রনজয় দেববর্মা সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন গত ৮ই অক্টোবর উনার উপর প্রাণঘাতী হামলা সংঘটিত হয়েছে এবং নিগৃহীত করা হয়েছে।কিন্তু উনার বক্তব্যের স্বপক্ষে উনি থানায় যে অভিযোগ দিয়েছেন সেখানে এ ধরনের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।এখানেই শেষ নয় ঊনকোটি জেলায় উনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই কখনো দপ্তরের সামনে ক্ষোভের মুখে বাইক পোড়ানো,কখনো প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিকদের সামনেই কাজে গাফিলতির জন্য স্থানীয়দের দ্বারা নিগৃহীত হয়েছিলেন।যা থেকে প্রমাণিত হয় উনার দায়িত্বে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে এবং দপ্তরকে কালিমালিপ্ত করা তার পরিকল্পিত কাজের ধারাবাহিক প্রতিফলন।
ঠিকাদার সংঘের প্রতিবাদ ও সাংবাদিক সম্মেলন কৈলাসহরে
36