শান্তিরবাজার প্রতিনিধি :ঘটনার বিবরণে জানা যায় প্রায় গত দেড় মাস নিখোঁজ ছিলেন সুরেশ রিয়াং তথা(ঐ এলাকার কুমার শানু), জানা যায় সুরেশ রিয়াং কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি সুরেশ রিয়াং এর। শান্তির বাজার মহকুমা এলাকায় বিভিন্ন বাজার এবং রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কুমার শানুর গান পরিবেশন করে থাকেন পাশাপাশি পথ চলতি এবং বাজার এলাকার মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকেন সুরেশ রিয়াং। বাড়ি ৩৬ শান্তির বাজার মহকুমা অন্তর্গত গঙ্গারায় পাড়ায়। জানা যায় গত দেড় মাস আগে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে নিখোঁজ সুরেশ রিয়াং শান্তির বাজার রেলস্টেশন থেকে রেলে চেপে চলে আসেন কুমারঘাট রেল স্টেশনে। এরপরে পায়ে হেঁটে কুমারঘাট রেল স্টেশন থেকে কৈলাশহর চলে যায়। এরপর কৈলা শহরের আপতাফ আলী নামে এক যুবক সুরেশ রিয়াংকে রাস্তায় ঘুরতে দেখি জিজ্ঞাসাবাদ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান উদার মানসিকতা এবং সহৃদয় ব্যক্তি আপতাফ আলী। উনার বাড়িতে রেখে সুরেশা রিয়াংকে সেবা যত্ন করার পরে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেন নিখোঁজ সুরেশ রিয়াং এর সন্ধানে। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও নজরে আসতেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের লোকপ্রিয় বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, এবং আইপিএফটি অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মানিক ত্রিপুরা এবং জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রামবাবু রিয়াং সামাজিক উদার মানসিকতায় কৈলাস শহর থেকে ঘরে ফিরে আনা হলো নিখোঁজ সুরেশ রিয়াংকে। নিখোঁজ সুরেশ রিয়াংকে কৈলাসহর থেকে ফিরিয়ে এনে পরিবারের হাতে অবশেষে সুরেশ রিয়াংকে তুলে দেন জনজাতি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য রামবাবুর রিয়াং এবং আইপিএফটি অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মানিক ত্রিপুরা। এই সময়ে মানুষ যখন নিজে নিজের জন্য ভাবছেন তখন কৈলাস শহরের যুবক আপতাফ আলীর পাশাপাশি ৩৬ শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী মানিক ত্রিপুরা, রাম বাবু রিয়াং মতন মানুষের এই ধরনের সামাজিক মানসিকতা মহকুমা সহ বিস্তির এলাকার মানুষ তাদের সামাজিক মানসিকতা প্রশংসা করছেন। দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছাশক্তি থাকলে সামাজিকতা করা সম্ভব এবং মানুষ মানুষের জন্য।
আপতাফ আলীর উদার মানসিকতা ৩৬ শান্তির বাজারের নিখোঁজ যুবককে পাওয়া গেল কৈলাশহরে। বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং এর সহযোগিতায় ফিরে আনা হলো ঘরে।
by admin
written by admin
314
previous post