প্রতিনিধি ধর্মনগর,, ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পান্নালাল দাস বয়স ৩৩ পিতা প্রমোদ চন্দ্র দাস বাড়ি খোয়াই চেব্রি। এর বিরুদ্ধে কাঞ্চনপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয় নাম্বার হলো case no 2019 kcp 016।ঘটনা শুরুতে জানা যায়, এই ঘটনাটি ঘটে ৮ জানুয়ারি ২০১৯ সালে তৃতীয় শ্রেণীর নাবালিকাছাত্রী বয়স নয় বছর। নাবালিকা ঐদিন অসুস্থ ছিল বলে বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি,তখন ওই ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক পান্নালাল দাস ঔষধ খাওয়ানোর ছলে নাবালিকার কাছে আসে এবং ধর্ষণ করে। নাবালিকাটি রতন মনি মেমোরিয়াল আশ্রমের বিদ্যালয়ে ছাত্রী এবং সে এই ছাত্রীবাসেই থাকতো। ছাত্রী তৃতীয় শ্রেণীর তারপর সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যালয় ও ছাত্রী বাসের কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না তারপর মেয়ের বাবা ২০/০১/২০১৯তারিখে যখন মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে আসে তখন মেয়ে তার বাবাকে সব কথা বলে। তখন নাবালিকার বাবা কাঞ্চনপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। আইও ছিলেন দীপাঞ্জনা সিনহা কিন্তু তিনি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি এই মামলার এবং অন্যান্য মামলা গুলিরও যার ফলে উনাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তদন্ত করেন ওসি পরিতোষ দাস ডিসেম্বর ২০১৯ চার্জ না করেন সিট জমা করেন। এবং দিনের শুনানির পর ১৪/০২/২০২৫শুক্রবারে এই বিশেষ আদালতের বিচারক অংশুমান দেববর্মা মহাশয় চূড়ান্ত রায় প্রদান করলেন মামলার আসামি পান্নালাল দাস কে u/s-376AB IPC এই ধারায় যাবত জীবন কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকার জরিমানা অনাদায় আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং U/S-4 of pocso এই ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং কুড়ি হাজার টাকার জরিমান অনা দায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড case no. Spl.pocso-31/2019. লক্ষ্যনীয় বিষয় এই মামলায় দুইটি ধারায় আসামি সাজা পায়। এই মামলায় বিচারপতি লক্ষ্য করলেন অতদন্তের মধ্যে অনেক গাফিলতি আছে তদন্তকারীদের। তার জন্য ছাত্রীবাসের সুপার ও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের উপরও তদন্তের আদেশ করেন কাঞ্চনপুর থানাকে।তদন্তের এত অবহেলা সত্বেও কিন্তু এই মামলার সবচেয়ে ভালো দিকটা হলো অনেক অবহেলা থাকা সত্বেও অনেক তথ্য প্রমাণ সরিয়ে ফেললেও সত্বেও দক্ষতার সঙ্গে বিবেচনা করে এক দৃষ্টান্তমূলক বার্তা পৌঁছে দিলেন বিচারপতি মহাশয়। এই মামলার সরকারি পক্ষের আইনজীবীছিলেন সুদর্শন শর্মা।
48
previous post