প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ত্রিপুরা আর্ট সোসাইটির উদ্যোগে ঊনকোটি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বাৎসরিক অঙ্কনমেধা কৃতিদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।আজ কৈলাসহরে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। অনুষ্ঠানে শিল্পকলায় অবদানের জন্য ৮৫ জন অঙ্কন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সংবর্ধিত করা হয় এবং ঊনকোটি জেলার সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সম্মান জানানো হয়।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে।এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, চণ্ডীপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা পাল দাস, ত্রিপুরা আর্ট সোসাইটির রাজ্য সভাপতি কপিল কান্তি দাস ও কৈলাসহর শাখা সভাপতি নির্মল সিনহা,কেন্দ্রীয় সম্পাদক অপাংশু দেব,আইনজীবি সুনির্মল দেব সহ আরও অনেকেই।স্বাগত বক্তব্যে কপিল দাস বলেন,সংগঠনের কাজের বিস্তৃতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে শিশুদের অঙ্কন শিক্ষা এবং ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠন।সংগঠনটি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২২ বছর ধরে শিশু ও শিক্ষকদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজীব সরকার অঙ্কন প্রতিযোগিতার নামে চলমান অনৈতিক ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশের নামে কেউ যেন প্রতারণা করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা ও পুরস্কারের মাধ্যমে শিক্ষকদের অবদানকে সম্মান জানানো হয় যা শিশুদের মধ্যে শিল্পকলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক হবে।
এই উদ্যোগ ত্রিপুরা আর্ট সোসাইটির সামাজিক দায়বদ্ধতার একটি উদাহরণ। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পী অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রয়াসের যে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তা আগামী প্রজন্মের জন্য নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক।এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসো মা বিষয়ের উপর আগমনীকে সামনে রেখে বসো আঁকো প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পুরস্কার সহ অন্যান্য পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে ত্রিপুরা আর্ট সোসাইটির প্রাক্তন সদস্যা মুক্তিরানী চৌধুরী সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করে ৫ হাজার টাকার অর্থরাশি তুলে দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে।
ত্রিপুরা আর্ট সোসাইটির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান কৈলাসহরে
27