প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ স্মৃতি বিদ্যাভবন দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে এবং বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় শুক্রবার ২০২৩ ইং সনের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিন বিদ্যালয়ের কালচারাল হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং,গন্ডাছড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল শ্রীমন্ত রায়, ডুম্বুরনগর বিদ্যালয় পরিদর্শক থৈসা মগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কলই, প্রাক্তন ইএম পতিরাম ত্রিপুরা, সমাস সেবক আদিত্য সরকার, সমাজ সেবিকা সতী চাকমা, বর্ণা দাস মন্ডল, বিদ্যালয়ের এসএমসি চেয়ারম্যান অতীশ চন্দ্র দাস প্রমুখ। সেখানে আলোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা বলেন ক্লাস টেন, এলিভেন, টুয়েলভ থেকে ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিন কি করবে এই নিয়ে নিজের জীবন চিন্তা করতে শুরু করে। এই সময়টা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। তিনি বলেন আগে একটা সময় বলা হত পড়াশুনা করে যে গাড়ি ঘোড়া চলে সে। এখন আর এই সব কথা চলে না। বর্তমান সময়ে পড়াশোনা করে মানুষ শ্রেষ্ঠ হতে চায়, সমাজের কাজ করতে চায়। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে ভাল ডাক্তার ,ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর হওয়া দরকার। এর চেয়ে বড় দরকার ভাল নাগরিক হওয়া। এই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী এবছর সুপার থার্টিতে চান্স পেয়েছে। তার এই অভূতপূর্ব ফলাফলে খুশি উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন সরকার কোয়ালিটি এডুকেশনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এইসব ছাত্রছাত্রীরা সরকারের আশা পূরণ করছে। তিনি বলেন স্কুল তো রেশন দোকান নয় যে পাড়ায় পাড়ায় খুলে দেব চললে চলবে না চললে নাই । স্কুল একটা সমাজ গঠন করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সমাজকে উন্নতি করা, গন্ডাছড়া’কে উন্নতি করা, ত্রিপুরাকে উন্নতি করা, ভারতবর্ষকে উন্নতি করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হল শিক্ষা। কারণ সেখানে ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ তৈরি হয়। এই দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে দারুন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।