Home » বেকারত্ব দূর করতে পানিসাগর এর এক যুবকের নয়া উদ্যোগ।।

বেকারত্ব দূর করতে পানিসাগর এর এক যুবকের নয়া উদ্যোগ।।

by admin

প্রতিনিধি ধর্মনগর,, বানিজ্যিক ভাবে আপেল কুল চাষ করে সাবলম্বী হয়ে তাক লাগালো এক যুবক।ঘটনাটি ঘটে পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত রৌয়া গ্রামে। জানা যায় যে,ঐ এলাকার পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালমান হোসেন,পিতা সামসুল উদ্দিন বিগত প্রায় দুই বৎসর পূর্বে রৌয়া এলাকার চামটিলা জলাবাসা সড়কের রৌয়া স্থিত সুরেন্দ্র নাথ স্মৃতি কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় প্রায় পাঁচ কানি কৃষি জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় বারোশো কুলের চারা রোপন করেন। সালমান জানায় কুলের চারা রোপনের প্রায় সাত মাসের মাথায় ফলন পেতে শুরু করে সে।সালমান জানায় ধর্মনগর মহকুমার কদমতলা স্থিত ওর এক নিকটাত্মীয়ের পরামর্শে সূদূর পশ্চিম বঙ্গ থেকে উন্নত প্রযুক্তির কুলচারা এনে নিজ জমিতে রোপন করে সে।এই ধরনের ফলন পাবে সে নিজেও তেমনটা আশা করেনি বলে জানিয়েছে।তবে অতি অল্প সময়ে কুল চাষ করে বানিজ্যিক ভাবে এতটা সফল হবে বলে তেমনটা আশা করেনি। স্থানীয় এলাকার লোকজন সকলেই প্রথমদিকে সালমান কে অবহেলা করতো আর ভবঘুরে ভাবতো।মাএ দুই বৎসরের মাথায় কুলচাষ করে বর্তমানে সালমানের বাগানের সংগ্রহে রয়েছে চার প্রজাতির উন্নত আপেল কুলের এর বারোশো গাছ।এগুলো হলো কুল বরই,আপেল কুল ভারত সুন্দরী,বল সুন্দরী এবং কাশ্মীরি আপেল কুলের মতো প্রজাতি।প্রথম বৎসরেই বাগানের এক চতুর্থাংশ জমিতে উৎপাদিত কুলবরই বাজার জাত করে আয় হয় প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা।এবারে দ্বিতীয় বৎসরে পাঁচ কানি জমিতে সবগুলো গাছে ফলন হওয়াতে বিগত বৎসরের চাইতে আয় দ্বি গুন কিংবা তিন গুন ছড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছে সালমান।সালমান এর এই ধরনের সফলতায় গোটা পানিসাগর মহকুমা জোরে এক অনন্য নজির সৃষ্টি হলো বলে মনে করছেন তথ্যবিজ্ঞমহল।তাই বেকারত্বের জালায় না ভূগে নিজ নিজ উদ্যোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজে থেকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উটতে পানিসাগর মহকুমা সহ রাজ্য জোরে বেকার যুবক যুবতীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।সল্প পুঁজিতে সল্প সময়ে দুই তিন গুন আয় বৃদ্ধি করতে এই ধরনের কুল চাষে এগিয়ে এসে নিজেকে সহ অপরকে সাবলম্বী করে তুলতে বর্তমান যুব প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহবান জানান সফলতম কুল ব্যাবসায়ী সালমান।

You may also like

Leave a Comment