Home » রাজ্যপালের ঝটিকা সফরেগুচ্ছ প্রকল্পের পরিদর্শন

রাজ্যপালের ঝটিকা সফরেগুচ্ছ প্রকল্পের পরিদর্শন

by admin

প্রতিনিধি কৈলাসহর:-জেলা সদরে দুদিনের সফরে এসেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু।বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি প্রায় ২৪ টিরও বেশি সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।তার সাথে সাথে কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলোর কাজ কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তার রিপোর্ট কার্ড চেয়েছেন এবং অসমাপ্ত কাজগুলো শীঘ্রই সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যপাল শ্রী রেড্ডি বলেন ঊনকোটি জেলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা কমিয়ে আনার জন্য প্রশাসনিকভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন, নারকোটিকস আইনে গাজা ব্যবসায়ী কিংবা ড্রাগস ব্যবসায়ীরা জেল খাটার পরে পুনরায় সেই ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল দীর্ঘ সময় নিয়ে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে সার্কিট হাউসে।আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গৌরনগর এবং চন্ডিপুর আরডি ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন প্রকল্প এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন।প্রথমেই কৈলাসহর পুর পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আবর্জনা (বর্জ) ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মহামহিম রাজ্যপাল। গত তিন মাস পূর্বে এই বর্জ্য পৃথকীকরণ সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল সোনামুখী এলাকায়।বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে এই সেন্টারটি এখনো চালু হয়নি। তবে কিভাবে প্লাস্টিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন আবর্জনা কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পৃথকীকরণ করা হবে তা বিশদভাবে রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন কাউন্সিলর সিকিম সিনহা।সমস্ত বিষয়ে খুটিয়ে খুঁটিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল শ্রী নাল্লু।এই টারসিয়ারি সেন্টার পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল সোজা চলে যান চন্ডিপুর ব্লকের অন্তর্গত সমরুরপাড় এলাকায় ডিপ টিউবেল পরিদর্শনে।সেখানে পাঁচ হাজার ফিল্টার ক্যাপাসিটির এই ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে ১২০ টি পরিবার এখান থেকে জলের সহায়তা পাবে।সেখান থেকে চলে যান মূর্তিরপাড় সিনিয়র বেসিক স্কুলে।সেখানে গ্রামবাসী এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন চন্ডিপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপারসন সন্দীপ কূর্মী। তিনি বলেন মূর্তিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অনেকটাই বিস্তৃত যেখানে ৭০০ পরিবারের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৪ হাজার ৮০০ নাগরিক বসবাস করেন।এই এলাকার মানুষ কৃষিজীবী এবং পশু পালনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।এখানে ৪৬ টি সেলফ হেল্প গ্রুপ রয়েছে এবং এই গ্রুপ গুলোতে সমস্ত জাতি ধর্মের মানুষ যুক্ত আছেন। এরপর রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলেছেন।যারা পশু পালন প্রকল্পে হাঁস মোরগ পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ঘর পেয়েছেন,কিষান সম্মান নিধি পাচ্ছেন,এছাড়া উজ্জ্বলা যোজনায় গ্যাস, শৌচালয়,পানীয় জল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর,সামাজিক ভাতা,সেলাই মেশিন,মুদ্রা লোন,প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা,সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন।তার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা প্রিম্যাট্রিক্স স্কলারশিপ পায় কিনা সে বিষয়েও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন।মূর্তির পাড় সিনিয়র বেসিক স্কুলে আয়োজিত কথোপকথন কর্মসূচিতে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে ভারত মাতা স্ব-সহায়ক দল এবং আরো দুটো সেলফ হেল্প গ্রুপকে দেড় লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দিয়েছেন এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে আয়ুষ্মান কার্ড তুলে দিয়েছেন সুবিধাভোগীদের হাতে। সামগ্রিক অনুষ্ঠান শেষে মহামান্য রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন মাননীয়া রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুসারে প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের যথার্থতা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই সফর।যে প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের জন্য সহায়ক প্রকল্প রয়েছে যা থেকে সকলকে লাভ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।তার পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা সম্পর্কে অবগত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।যেখানে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা সকল ব্যক্তিরাই বিনামূল্যে ১৫ হাজার টাকা করে পাবেন। এরপর স্কুল থেকে বেরিয়ে মূর্তিছড়া এলাকার নবনির্মিত শ্মশান ঘাট পরিদর্শন করেন এবং এরপর সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকা বিস্তৃত রাবার বাগান পরিদর্শন করে রাবার ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন।তারপর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকের গৃহপ্রবেশ কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং মনুভ্যালী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনের পর উত্তর ত্রিপুরা জেলার উদ্দেশ্যে…

You may also like

Leave a Comment