
প্রতিনিধি কৈলাসহর:-ঊনকোটি জেলার পুলিশ সুপারের অফিসে থাকা ৬ কর্মীর অর্থনৈতিক তছরুপের ঘটনায় কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন পুলিশ সুপার কান্তা জাঙ্গীর।যা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে রাজ্যে।গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের চেম্বারে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জানান ত্রিপুরা পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতিকে মর্যাদা দিয়ে ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা করেছেন ভিডিও ফিরোজ মিয়া। আত্মসাৎ করা অর্থ ফিরিয়ে দিলেও বিষয়টিকে কোনভাবেই ধামাচাপা দেওয়া হয়নি।যে ৬ জন কর্মী দোষ করেছেন তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের জন্য সাথে সাথেই ভূমিকা নেওয়া হয়েছে।এই ৬ জন কর্মীর মধ্যে দীপঙ্কর সিনহা,পূর্ণেন্দু ঘোষ,বিশ্বনাথ সিনহা,সুজন সেন,জাহির উদ্দিন এবং আলকামা আলীর বিরুদ্ধে গতকাল কৈলাসহর থানায় মামলা করা হয়।মামলা নং ১১৭/২০২৩।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯,৪৬৮,৪৭১,১২০বি ইত্যাদি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।গতকাল উক্ত ৬ অভিযুক্ত কে সিজিএম কোর্টে তোলা হলে মাননীয় বিচারক আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর অব্দি জেল কাস্টডিতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।আর্থিক কেলেংকারীর ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশ সুপার জানান ২০২২ এর জুন মাস থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। উক্ত ছয় জন কর্মীরা এক হাজার টাকা করে যে এলাউন্স পেয়ে থাকেন সেই নথীতে স্বাক্ষর করে থাকেন ভিডিও ফিরোজ মিয়া। কাগজে পত্রে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ডিজিটাল সিস্টেমে এই ১০০০ টাকা কে আরো অনেক বেশি দেখিয়ে এক বছর যাবত প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিল উক্ত ৬ গুণধর কর্মী।ফিনান্সিয়াল অডিট শুরু হলে জেলাশাসকের অফিস থেকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং চাপে পড়ে ওই ছয় কর্মী ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয়।পুলিশ সুপার ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই হাই লেভেল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করেন এবং তৎক্ষণাৎ ওই ছয় কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।তবে এই ঘটনায় সঠিকভাবে তদন্ত হলে আরো অনেক রাঘব বোয়ালের নাম চলে আসার সম্ভাবনা প্রবল।