ধর্মনগর প্রতিনিধি। ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়ে গেল পানিসাগর মহকুমা অধীন পেকু ছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে ৮৩ টি পরিবার দখল করে বসে আছে বনদপ্তরের জায়গা। কোনভাবেই তাদেরকে উৎখাত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বনদপ্তরের পিসিসিএফ অনিমেষ দাস আইএফএস, সুমন মল্ল উত্তর জেলা বনদপ্তরের আধিকারিক, অশোক কুমার বনদপ্তর এর মহকুমা আধিকারিক, ধর্মনগর এবং পানিসাগর পর্যায়ের রেঞ্জাররা মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তাদের উচ্চ অধিকারী এর কাছে রিপোর্ট পাঠান। জানা গেছে মোট ৮৩ টি পরিবার এই বনভূমির জায়গা দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাসের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে এক মুসলিম পরিবার এখানে বসবাস শুরু করেছিল। এক এক করে হতে হতে 83 টি পরিবার এখন এই পাঁচ নং ওয়ার্ডে বসবাস করছে বলে জানানো হয়েছে এবং প্রতিক্ষেত্রেই জায়গার মালিক হচ্ছে বন দপ্তর। কাঞ্চনপুরের দশদা লালজুরী সুভাষ নগর বড় হলদি থেকে এইসব ৮৩ পরিবার এসে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। তাদের দাবি হচ্ছে এর া বিভিন্ন জনবসতি নিয়ে সেখানে বিয়াঙদের কারণে বসবাস করা অযোগ্য ভাবায় নিজেদের বাঁচাতে এবং মানসম্মান সহ নিজেদেরকে রক্ষা করতে এরা এসে সরকারি জায়গা দখল করেছে। বন দপ্তর থেকে দীর্ঘদিন যাবত এদের উৎখাতের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে গেছেন বনদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। ২৫-৩০ বছর আগে যে মুসলিম পরিবার বসবাস শুরু করেছিল তাদের ভাষাগঞ্জ নেই বলল ই চলে। শনিবার ১৪ টি পরিবার এসে বসবাস শুরু করেছিল এখন তা বাড়তে বাড়তে ৮৩ টি পরিবার বলে বিবেচিত হচ্ছে। কাঞ্চনপুরের ভিন্ন এলাকায় এদের বসবাস দুর্বিষহ করে রেখেছে রিয়াং পরিবারের জনকয়েক সদস্য। তাই বাধ্য হয়ে এখন সেটি পরিবার পানিসাগর বনদপ্তরের জায়গা দখল করে নিজেদের বসবাসভূমি সৃষ্টি করেছে। বনদপ্তর তাদেরকে ছড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে স্বাভাবিক মহলের অভিযোগ। এখন সরকার তাদের প্রতি কি ধরনের মনোবৃত্তি গ্রহণ করে অথবা তাদেরকে কি ব্যবস্থা করে দিতে পারে তার ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
পানিসাগর মহকুমাধীন পেকুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নং ওয়ার্ডে ৮৩ টি পরিবার মানছে না বন আইন।
127