Home » বিশালগড় দ্বাদশে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব

বিশালগড় দ্বাদশে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব

by admin

প্রতিনিধি, বিশালগড় , ১০ জানুয়ারি।। ঐতিহ্যবাহী বিশালগড় দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । শনিবার বিশালগড় নতুন টাউন হলে সাড়া জাগানো অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুশান্ত দেব। এছাড়া ছিলেন বিশালগড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন অতসী দাস, বিশালগড় ব্লক শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তপন দাস, স্কুলের এসএমসি চেয়ারম্যান নিতাই চৌধুরী, সম্পাদক ভাস্কর চক্রবর্তী, জেলা শিক্ষা আধিকারিক মলয় ভৌমিক, রাউৎখলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমারানী সাহা প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিচার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি বিশ্বজিৎ দেববর্মা। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক তথা অনুষ্ঠানের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার দাস প্রতিবেদন পেশ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্রীড়া সংস্কৃতি প্রভৃতি বিষয়ে রাজ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের তথ্য তুলে ধরেন। বিধায়ক তথা এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সুশান্ত দেব ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন মায়ের চেয়ে আপন কেউ নেই। আর বাবা যতই গরীব হোক তিনি সন্তানের স্বপ্ন পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করে। তাই জীবনে যত বড়ই হও না কেন মা-বাবার স্থান যেন বৃদ্ধাশ্রমে না হয়ে হৃদয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের শ্রদ্ধা সম্মান জানাতে হবে । সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্বপ্ন জাগিয়ে তোলার জন্য অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ভারতবর্ষ ছিল একমাত্র শিক্ষার পিঠস্থান। সারা পৃথিবী থেকে শিক্ষার্থীরা এসে নালন্দা তক্ষশীলায় পড়াশোনা করতেন । নালন্দা কে পুনরাই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেনি কেউ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতবর্ষের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের বাহক নালন্দা কে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার চলে যাওয়ার পরেও ব্রিটিশের দ্বারা চালু করা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই উপনিবেশিক ভাবধারা থেকে বেরিয়ে নয়া শিক্ষা নীতি চালু করেছেন। অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একক এবং দলগত সংগীত নৃত্য পরিবেশন করেন। সংগীত, নৃত্য, আকস্মিক ভাষণ, আবৃতি ইত্যাদি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলি আগেই স্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল। এদিন প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথি এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাছাড়া স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীতে বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। গত বছরের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাদের স্মারক এবং নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। সবশেষে বর্ষসেরা দুজন ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। বর্ষসেরা ছাত্র নির্বাচিত হয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের দেবজিৎ দেবনাথ। বর্ষসেরা ছাত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী মৌসুমী পাল। স্কুলের এনসিসি এবং এনএসএস ইউনিটের ছাত্রছাত্রীদের সহায়তায় সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরলস প্রচেষ্টায় অত্যন্ত শৃঙ্খলা পরায়ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এ বছরের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

You may also like

Leave a Comment